Ajker Patrika

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

গণভোট বা বিশেষ আদেশে হতে পারে সনদ বাস্তবায়ন

  • অধ্যাদেশ জারি করে সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • গণভোট চাইলে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে হতে পারে।
  • রাজনৈতিক মতৈক্য না হলে সব বিকল্পই দুর্বল।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ০৫
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা। ছবি: পিআইডি
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা। ছবি: পিআইডি

জুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে গণভোট অথবা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ (স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গণভোটের মাধ্যমে করতে চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এই ভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।

রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নিতে আলোচনার আয়োজন করা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই আয়োজনে চার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে এর আগে ১০ আগস্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসেছিল কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট বা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইনি দিক বিবেচনা করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের বাস্তবায়নের চিন্তা থেকে সরে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সংবিধানে নিষেধাজ্ঞা আছে।

বিদ্যমান রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দুটো কার্যকর পদ্ধতি আছে বলে বৈঠকে জানান বিশেষজ্ঞরা। সেগুলো হলো—গণভোট বা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করা। বৈঠকে থাকা একজন বলেন, এগুলো নির্ভর করছে জাতীয় সংসদের ওপর। পরবর্তী সংসদ চাইলে তা বাতিল করে দিতে পারে কিংবা আদালতও চাইলে বাতিল করে দিতে পারে।

সে ক্ষেত্রে টেকসই সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে বৈঠকে থাকা ওই ব্যক্তি বলেন, এ দুটো ছাড়া কোনো কিছুই তেমন টেকসই না। সে ক্ষেত্রে কিছু যুক্তি দাঁড় করানো যাবে। গণভোটের ক্ষেত্রে বলা যাবে, জনগণ যেটার পক্ষে ভোট দিয়েছে, সেটাকে ওপরে স্থান দিতে হবে। ‍বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের ক্ষেত্রে বলা যাবে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং বিগত ১৫-১৬ বছরের আন্দোলনে মানুষের ত্যাগ, হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তন তাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদালতে যুক্তি দেওয়া যাবে।

বৈঠকে উপস্থিত আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটে গেলে জুলাই সনদের বিষয়ে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয় থাকবে। সে ক্ষেত্রে একটা চাপ থাকবে। শেষ পর্যন্ত গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্যালটে নির্বাচনী প্রতীকের পাশাপাশি জুলাই সনদের বিষয়টি থাকতে পারে। সেই আলোচনা বৈঠকে হয়েছে। গণভোটে কিছু অনিশ্চয়তা আছে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সেদিকে যাওয়া কতটুকু উত্তম হবে, সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে আইন বা সংবিধান জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। যেটা একাদশ সংবিধান সংশোধনীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন; যা পরে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি কখনো। রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়ায় তা হয়নি। এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে সমাধান হয়ে যাবে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজও জানিয়েছেন, জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে গণভোটসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে গণভোট একটি বিকল্প ছিল। এ ছাড়া একাধিক বিকল্প নিয়ে আমরা বিবেচনা করছি।’

বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা ও অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার দ্রুততার সঙ্গে কী করতে পারে, সেগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার কী কী বিষয় বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সেগুলোর বাস্তবায়নের পথ ও পদ্ধতি বিবেচনা করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন চাইছে কমিশন। সেটা সরকারকেই করতে হবে। আইন মন্ত্রণালয় সেগুলো চিহ্নিত করছে বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে। সে জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একাধিক বিকল্প পদ্ধতি ঠিক করতে চায় কমিশন। যেগুলো সামনে রেখেই সংলাপে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা কমিশনের।

আইন মন্ত্রণালয় থেকে ১০ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম, বিশেষ করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের কাজে সহযোগিতার জন্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওনকে বিশেষ পরামর্শক (অবৈতনিক) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ হতে ছয় মাস মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থাকবে তাঁর। এদিকে তানিম হোসেন শাওন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য। তিনি ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছিলেন। তবে রোববারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার প্রভাবশালী কূটনীতিক নিয়ে এয়ারবাসের ‘ঢাকা মিশন’

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৭
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।

তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।

আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।

রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।

রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজালাল বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির অভিযোগ তদন্তাধীন, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।

পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০ বছর সাজা ভোগ করা ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দিল সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৫
২০ বছর সাজা ভোগ করা ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দিল সরকার

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।

কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’

কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।

তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত