গৌতম আদানি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের। কেবল ভারতের বললে ভুল বলা হবে, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ধনী তিনি। সম্প্রতি তাঁর নজর পড়েছে ভারতের অন্যতম স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভির ওপর। কী অর্জন করতে চায় আদানি গ্রুপ এই চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাধ্যমে?
গৌতম আদানির মালিকানাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্ক এনডিটিভির ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার দাবি করে টেলিভিশনটিকে নোটিশ দিয়েছে। আরও ২৬ শতাংশের মালিকানা কিনে নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে, প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৫ শতাংশের মালিকানা অধিগ্রহণ করতে চায় আদানি। এই পদক্ষেপ টেলিভিশন চ্যানেলটির অংশীদারত্বে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেবে আদানি গ্রুপকে। কিন্তু একটি মুনাফামুখী কনগ্লোমারেটের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না অনেকেই।
গৌতম আদানি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘খাস দোস্ত’ বলে পরিচিত। ফলে আদানি গ্রুপ কর্তৃক ভারতে ‘নিরপেক্ষ’ বলে পরিচিত এই চ্যানেলটির অধিগ্রহণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ‘একটি সুপরিচিত টিভি নিউজ নেটওয়ার্কের দখল নেওয়ার খবর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাধীন গণমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখার একটি নির্লজ্জ পদক্ষেপ।’ বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সবাই প্রায় একই মত দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এনডিটিভিকে বিজেপি ঘেঁষা গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি অপপ্রয়াস চলছে।
রাজনৈতিক বিরোধিতার বাইরেও যেসব প্রশ্ন সামনে আসছে তা হলো—এনডিটিভিকে কি কেবলই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কিনছে আদানি গ্রুপ নাকি আরও একটি বিজেপিপন্থী টিভি চ্যানেল বাজারে আনতে যাচ্ছে। যেমনটা করা হয়েছিল ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিক টিভির ক্ষেত্রে। রিপাবলিক টিভির দুই প্রতিষ্ঠাতার একজন রাজীব চন্দ্রশেখর অপরজন বিতর্কিত সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামী। রাজীব ২০১৬ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। চন্দ্রশেখরের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে রিপাবলিক টিভি বিজেপিপন্থী চ্যানেলে পরিণত হয়।
ফলে এই প্রশ্নটি অবধারিতভাবেই সামনে চলে আসে যে, আরও একটি বিজেপিপন্থী টিভি চ্যানেলের আদৌ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না। আপাতদৃষ্টিতে এই বিষয়টি সহজ মনে হলেও বিষয়টি ততটা সহজ নয়। যুগে যুগে গণমাধ্যম ব্যবহার করে জনমত প্রভাবিত করার উদাহরণ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা গেছে। ফলে, বিজেপি হয়তো তার মিত্র চ্যানেলের মাধ্যমে নিজেদের এজেন্ডা আরও জোরালোভাবে প্রচারের প্রয়াস পাবে।
তবে এখানেই আসে দ্বিতীয় তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ, আদানি গ্রুপ এনডিটিভি কিনে নেওয়ার পর চ্যানেলটির টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট) আগের মতোই থাকবে কি? বিশেষ করে, চ্যানেলটি যদি তার নিরপেক্ষ চরিত্র হারিয়ে কোনো দলীয় আদর্শভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলে পরিণত হয়? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক সুজিত নায়ার। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, আদানি গ্রুপ এনডিটিভি কিনে নেওয়ার পর যদি টিআরপি কমে যায় তবে তা চ্যানেলটির ক্রেতা এবং দল (বিজেপি) উভয়ের জন্যই তা নেতিবাচক প্রকল্পে পর্যবসিত হবে।
সুজিত নায়ার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, যদি আদানি মিডিয়ার লক্ষ্য এনডিটিভিকে ধ্বংস করা তবে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। কারণ হিসেবে সুজিত উল্লেখ করেছেন, ‘এনডিটিভি একটি কাঠামো মাত্র। এবং এই কাঠামোর আত্মা হলেন—শ্রীনিবাসন জৈন, নিধি রাজদান, রবিশ কুমার এবং অতি অবশ্যই প্রণয় রায়। ফলে আদানি গ্রুপ এনডিটিভির নিয়ন্ত্রণ কব্জা করুক বা না করুক তাঁরা আগের স্পিরিট নিয়েই সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে পারবেন।’
দেখা যাচ্ছে, আদানির এনডিটিভি ক্রয় একপ্রকার অলাভজনক প্রকল্প বলেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকেরা। বাকি থাকে, মোদির ‘খাস দোস্ত’ আদানিকে দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি। এই দিকেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
গৌতম আদানি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের। কেবল ভারতের বললে ভুল বলা হবে, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ধনী তিনি। সম্প্রতি তাঁর নজর পড়েছে ভারতের অন্যতম স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভির ওপর। কী অর্জন করতে চায় আদানি গ্রুপ এই চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাধ্যমে?
গৌতম আদানির মালিকানাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্ক এনডিটিভির ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার দাবি করে টেলিভিশনটিকে নোটিশ দিয়েছে। আরও ২৬ শতাংশের মালিকানা কিনে নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে, প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৫ শতাংশের মালিকানা অধিগ্রহণ করতে চায় আদানি। এই পদক্ষেপ টেলিভিশন চ্যানেলটির অংশীদারত্বে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেবে আদানি গ্রুপকে। কিন্তু একটি মুনাফামুখী কনগ্লোমারেটের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না অনেকেই।
গৌতম আদানি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘খাস দোস্ত’ বলে পরিচিত। ফলে আদানি গ্রুপ কর্তৃক ভারতে ‘নিরপেক্ষ’ বলে পরিচিত এই চ্যানেলটির অধিগ্রহণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ‘একটি সুপরিচিত টিভি নিউজ নেটওয়ার্কের দখল নেওয়ার খবর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাধীন গণমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখার একটি নির্লজ্জ পদক্ষেপ।’ বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সবাই প্রায় একই মত দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এনডিটিভিকে বিজেপি ঘেঁষা গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি অপপ্রয়াস চলছে।
রাজনৈতিক বিরোধিতার বাইরেও যেসব প্রশ্ন সামনে আসছে তা হলো—এনডিটিভিকে কি কেবলই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কিনছে আদানি গ্রুপ নাকি আরও একটি বিজেপিপন্থী টিভি চ্যানেল বাজারে আনতে যাচ্ছে। যেমনটা করা হয়েছিল ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিক টিভির ক্ষেত্রে। রিপাবলিক টিভির দুই প্রতিষ্ঠাতার একজন রাজীব চন্দ্রশেখর অপরজন বিতর্কিত সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামী। রাজীব ২০১৬ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। চন্দ্রশেখরের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে রিপাবলিক টিভি বিজেপিপন্থী চ্যানেলে পরিণত হয়।
ফলে এই প্রশ্নটি অবধারিতভাবেই সামনে চলে আসে যে, আরও একটি বিজেপিপন্থী টিভি চ্যানেলের আদৌ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না। আপাতদৃষ্টিতে এই বিষয়টি সহজ মনে হলেও বিষয়টি ততটা সহজ নয়। যুগে যুগে গণমাধ্যম ব্যবহার করে জনমত প্রভাবিত করার উদাহরণ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা গেছে। ফলে, বিজেপি হয়তো তার মিত্র চ্যানেলের মাধ্যমে নিজেদের এজেন্ডা আরও জোরালোভাবে প্রচারের প্রয়াস পাবে।
তবে এখানেই আসে দ্বিতীয় তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ, আদানি গ্রুপ এনডিটিভি কিনে নেওয়ার পর চ্যানেলটির টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট) আগের মতোই থাকবে কি? বিশেষ করে, চ্যানেলটি যদি তার নিরপেক্ষ চরিত্র হারিয়ে কোনো দলীয় আদর্শভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলে পরিণত হয়? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক সুজিত নায়ার। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, আদানি গ্রুপ এনডিটিভি কিনে নেওয়ার পর যদি টিআরপি কমে যায় তবে তা চ্যানেলটির ক্রেতা এবং দল (বিজেপি) উভয়ের জন্যই তা নেতিবাচক প্রকল্পে পর্যবসিত হবে।
সুজিত নায়ার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, যদি আদানি মিডিয়ার লক্ষ্য এনডিটিভিকে ধ্বংস করা তবে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। কারণ হিসেবে সুজিত উল্লেখ করেছেন, ‘এনডিটিভি একটি কাঠামো মাত্র। এবং এই কাঠামোর আত্মা হলেন—শ্রীনিবাসন জৈন, নিধি রাজদান, রবিশ কুমার এবং অতি অবশ্যই প্রণয় রায়। ফলে আদানি গ্রুপ এনডিটিভির নিয়ন্ত্রণ কব্জা করুক বা না করুক তাঁরা আগের স্পিরিট নিয়েই সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে পারবেন।’
দেখা যাচ্ছে, আদানির এনডিটিভি ক্রয় একপ্রকার অলাভজনক প্রকল্প বলেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকেরা। বাকি থাকে, মোদির ‘খাস দোস্ত’ আদানিকে দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি। এই দিকেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিয়েছে। আর এই দ্বন্দ্বে চীনের অবস্থান হয়ে উঠছে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিং এই সংকটে এমন এক কৌশলী অবস্থান নিয়েছে, যেখানে একদিকে ইরানের প্রতি কৌশলগত সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্কের সেতু ধরে
৩ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল শনিবার নবম দিনে গড়িয়েছে। এই ৯ দিনে দুপক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, যদিও ইরানের ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে..
১ দিন আগেইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
১ দিন আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
১ দিন আগে