অনলাইন ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং এর জবাবে তেল আবিব ও অন্য শহরে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধ-ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইরাক যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রাণহানি ও বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল। ওই যুদ্ধ ইরাকের রাষ্ট্রকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে দেয়। এ ছাড়া আফগানিস্তানে দুই দশকের দীর্ঘ দখলদারির পর যুক্তরাষ্ট্রকে চরম অপমানজনকভাবে সরে যেতে হয়, যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ব্যর্থতা পরিষ্কার হয়ে যায়।
তবে অনেকের নজর এড়িয়ে গেলেও লিবিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপ সম্ভবত ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধে কী হতে পারে, তার একটি উপযুক্ত উদাহরণ। ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে মিলে মার্কিন বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। কিন্তু এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও চরমপন্থী গোষ্ঠীর হাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। সেই যুদ্ধের রেশ ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে; যা গোটা মহাদেশকেই অস্থিতিশীল করে তোলে।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যে আশঙ্কাগুলো রয়েছে, সেগুলোর একটি হলো—অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরন থেকে এই যুদ্ধে অস্থিরতা ও তাৎক্ষণিক আবেগে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সম্প্রতি তিনি নিজেকে ‘যুদ্ধবিমুখ’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি হঠাৎ নিজেকে এই যুদ্ধে যুক্ত করে ফেলছেন।
ট্রাম্পের আগের অবস্থান ছিল আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি সীমিত রাখা, কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসা তাঁর ভেতরের অসংলগ্নতা ও ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাকেই তুলে ধরছে। ইসরায়েলের ইরানে হামলার বিষয়ে প্রথমে সতর্ক অবস্থান নিলেও পরবর্তীকালে তিনি ইসরায়েলের সামরিক সাফল্যের কৃতিত্ব নিজে নিতে শুরু করেন এবং বলেন, ‘আমরা এটা করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যদি যুদ্ধ করে ইরানে পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করতেও সক্ষম হয়, তবু প্রশ্ন থেকে যায়—জ্ঞান কি ধ্বংস করা যায়? ইরানের বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে পুনরায় এই কর্মসূচি শুরু করলে তা রোধ করা কি সম্ভব হবে?
এ ছাড়া যদি হামলায় ইরানের বর্তমান ইসলামি নেতৃত্বকে উৎখাত করাও যায়, তাহলে পরবর্তী নেতৃত্ব আরও উগ্র সামরিকতন্ত্র হতে পারে, অথবা দেশটি একেবারে ভেঙে পড়তে পারে; ফলে দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধ, অপরাধ ও শরণার্থী সংকট। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক আরব দেশ ইতিমধ্যে এই শঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
অন্যদিকে, বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক হস্তক্ষেপে বিরক্ত। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি যতই বিতর্কিত হোক না কেন, তার মধ্যে হস্তক্ষেপবিরোধী যে প্রবণতা ছিল, তা এখন তিনি নিজেই ধ্বংস করছেন।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই ট্রাম্প যদি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন, তাহলে তা মার্কিন সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত হবে। এই সিদ্ধান্ত হবে একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত আবেগ ও রাজনৈতিক ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। ফলে ‘রাজতন্ত্রবিরোধী’ মার্কিন আদর্শেই আঘাত আসবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘নো কিংস’ স্লোগানে বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ ট্রাম্পের ‘রাজকীয় প্রেসিডেন্ট’ ভাবনার প্রতিবাদে পথে নামেন। কিন্তু যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে সেটা হবে ঠিক এমনই এক সিদ্ধান্ত, যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে উপেক্ষা করে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এতে মার্কিন গণতন্ত্র আরও দুর্বল হবে।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং এর জবাবে তেল আবিব ও অন্য শহরে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধ-ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ইরাক যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রাণহানি ও বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল। ওই যুদ্ধ ইরাকের রাষ্ট্রকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে দেয়। এ ছাড়া আফগানিস্তানে দুই দশকের দীর্ঘ দখলদারির পর যুক্তরাষ্ট্রকে চরম অপমানজনকভাবে সরে যেতে হয়, যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ব্যর্থতা পরিষ্কার হয়ে যায়।
তবে অনেকের নজর এড়িয়ে গেলেও লিবিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপ সম্ভবত ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধে কী হতে পারে, তার একটি উপযুক্ত উদাহরণ। ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে মিলে মার্কিন বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। কিন্তু এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও চরমপন্থী গোষ্ঠীর হাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। সেই যুদ্ধের রেশ ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে; যা গোটা মহাদেশকেই অস্থিতিশীল করে তোলে।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যে আশঙ্কাগুলো রয়েছে, সেগুলোর একটি হলো—অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরন থেকে এই যুদ্ধে অস্থিরতা ও তাৎক্ষণিক আবেগে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সম্প্রতি তিনি নিজেকে ‘যুদ্ধবিমুখ’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি হঠাৎ নিজেকে এই যুদ্ধে যুক্ত করে ফেলছেন।
ট্রাম্পের আগের অবস্থান ছিল আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি সীমিত রাখা, কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসা তাঁর ভেতরের অসংলগ্নতা ও ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাকেই তুলে ধরছে। ইসরায়েলের ইরানে হামলার বিষয়ে প্রথমে সতর্ক অবস্থান নিলেও পরবর্তীকালে তিনি ইসরায়েলের সামরিক সাফল্যের কৃতিত্ব নিজে নিতে শুরু করেন এবং বলেন, ‘আমরা এটা করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যদি যুদ্ধ করে ইরানে পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করতেও সক্ষম হয়, তবু প্রশ্ন থেকে যায়—জ্ঞান কি ধ্বংস করা যায়? ইরানের বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে পুনরায় এই কর্মসূচি শুরু করলে তা রোধ করা কি সম্ভব হবে?
এ ছাড়া যদি হামলায় ইরানের বর্তমান ইসলামি নেতৃত্বকে উৎখাত করাও যায়, তাহলে পরবর্তী নেতৃত্ব আরও উগ্র সামরিকতন্ত্র হতে পারে, অথবা দেশটি একেবারে ভেঙে পড়তে পারে; ফলে দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধ, অপরাধ ও শরণার্থী সংকট। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক আরব দেশ ইতিমধ্যে এই শঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
অন্যদিকে, বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সামরিক হস্তক্ষেপে বিরক্ত। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি যতই বিতর্কিত হোক না কেন, তার মধ্যে হস্তক্ষেপবিরোধী যে প্রবণতা ছিল, তা এখন তিনি নিজেই ধ্বংস করছেন।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই ট্রাম্প যদি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন, তাহলে তা মার্কিন সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত হবে। এই সিদ্ধান্ত হবে একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত আবেগ ও রাজনৈতিক ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। ফলে ‘রাজতন্ত্রবিরোধী’ মার্কিন আদর্শেই আঘাত আসবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘নো কিংস’ স্লোগানে বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ ট্রাম্পের ‘রাজকীয় প্রেসিডেন্ট’ ভাবনার প্রতিবাদে পথে নামেন। কিন্তু যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে সেটা হবে ঠিক এমনই এক সিদ্ধান্ত, যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে উপেক্ষা করে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এতে মার্কিন গণতন্ত্র আরও দুর্বল হবে।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১০ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
২ দিন আগে১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
২ দিন আগে