কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
আমাদের সবকিছু এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। নারীদের সুরক্ষার বিষয়টিও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়। বলা হয়, প্রযুক্তি আমাদের নিরাপদ রাখবে। কিন্তু সেই আশার গুড়ে কিছুটা হলেও বালি পড়েছে। ‘খোলা ও বন্ধে’র খেলা এখন চলছে নারী সুরক্ষার এই ডিজিটালাইজেশনের যুগে।
বন্ধ হয়েছে
বিপদের মুহূর্তে শুধু ‘বাঁচাও’ লেখা লাল বাটন চাপলে তৎক্ষণাৎ বিপদের খবর পৌঁছে যাবে আপনার বিশ্বস্ত আপনজন, পুলিশ ও নিকটস্থ স্বেচ্ছাসেবীদের মোবাইল ফোনে। তারপর জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে বিপদগ্রস্তের লোকেশন অনুসরণ করে চলে আসবেন উদ্ধারকর্মীরা। অন রাখতে হবে মোবাইল ফোনের লোকেশন। বিপন্মুক্ত হলে ‘আমি নিরাপদ’ সবুজ বাটন চেপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া হেল্পলাইন নম্বর খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। ধর্ষণ কিংবা নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের জন্য এমন একটি অ্যাপ বানানো হয়েছিল। ‘বাঁচাও’ নামে বাঁচাও লাইফ ফাউন্ডেশনের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছিল সেই অ্যাপ। সালটা ছিল ২০২১। ‘আর একটাও ধর্ষণ হতে দেব না’ স্লোগান সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাঁচাও অ্যাপ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবন্ধিত, ট্রেডমার্কযুক্ত ছিল এই অ্যাপ। এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সরকার, পুলিশ, এনজিও এবং করপোরেট সম্প্রদায়কেও অংশীদার করা হয়েছিল। তবে প্লে স্টোরে সেই অ্যাপের কোনো অস্তিত্ব এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি বাঁচাও লাইফ ফাউন্ডেশনের হেল্পলাইনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই নম্বর থেকে মো. রাসেল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, প্রকল্পটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘অ্যাপ চালু করার পর সেকেন্ড ভার্সনে যাওয়ার আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সে কারণে অ্যাপটি আর আপডেট করা হয়নি এবং সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানেন না রাসেল ইসলাম।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী মোবাইল অ্যাপ ‘জয়’ তৈরি করা হয়। বর্তমানে সেই অ্যাপও পাওয়া যাচ্ছে না গুগল প্লে স্টোরে।
আসছে ‘হেল্প’
১৫ মার্চ জানানো হয়েছে, গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তায় সহায়তা করবে ‘হেল্প’ নামের একটি অ্যাপ। পুরো নাম হ্যারাসমেন্ট এলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম। এটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। বলা হয়েছে, এই অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্প রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে বাস্তবায়ন করা হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলাচলকারী বাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে এই সেবা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট রুটে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় এই সেবা নিতে পারবেন নারীরা।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন জানান, বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো এবং পত্রিকার মাধ্যমে জনগণকে তাঁরা অ্যাপটি সম্পর্কে জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে দু-একটি টিভি চ্যানেলে এই অ্যাপ নিয়ে টক শো করেছি। সামনে আরও করা হবে। সেখানে অ্যাপের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে—পুলিশ ও বাস মালিক সমিতি, তাদের নিয়ে আমরা অ্যাডভোকেসি সভা করব বিভিন্ন স্পটে গিয়ে। দিন দিন অ্যাপটি উন্নত করা হবে।’
অ্যাপটি আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে পুরোপুরি চালু করার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ব্যাপকভাবে এই অ্যাপ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই বলে জানান ইলিয়াস হোসেন। তবে এসব বিষয়ে তাঁরা ‘ভাবছেন’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অ্যাপগুলো মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বাজেট ও লোকবলের অভাবকে দায়ী করেন। তবে ‘হেল্প’ অ্যাপটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া এবং এর স্থায়িত্ব নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আশ্বাস দেন তিনি। ধীরে ধীরে হেল্প অ্যাপটির সঙ্গে জাতীয় পরিষেবা হেল্পলাইন ৯৯৯-এর সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানিয়েছেন, এই অ্যাপে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হলে সেটি সরাসরি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করবে থানা। এটিই হবে মামলার এজাহার।’
ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানিয়েছেন, এই অ্যাপে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হলে এফআইআর হিসেবে সেটি সরাসরি গ্রহণ করবে থানা। এটিই হবে মামলার এজাহার। ইলিয়াস হোসেন, সদস্যসচিব, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার
কিছুটা স্বস্তি রয়েছে
‘হটলাইন’ কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। ১০৯ হেল্পলাইনে কল করে যেকোনো সময় সহায়তা পাওয়া যায়। তবে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরটি বেশি জনপ্রিয়। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশের ‘হটলাইন’ সেবার পাশাপাশি ‘শর্ট কোড’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১১ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ইনসিডেন্টস ট্র্যাকিং সফটওয়্যার, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্ট কোড, অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অনলাইন বা শর্ট কোডের মাধ্যমে মামলা, এফআইআরসহ বহু আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে সচল রয়েছে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩। এটির সঙ্গে আরেকটি ৩ যোগ করে ৩৩৩৩ ডায়াল করে নারী নির্যাতনবিষয়ক যেকোনো অভিযোগ করা যাবে। তবে ৯৯৯ নম্বরটি জীবন রক্ষাকারী এসওএস সেবা হওয়ায় আপাতত ৩৩৩৩ সেবাকে ৯৯৯-এর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। ৩৩৩৩-এর কল সেন্টারের রিসিভার হিসেবে শতভাগ নারী কর্মী রাখার চিন্তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ কিংবা নির্যাতন বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো অ্যাপ ও হেল্পলাইন চালু করা। হেল্পলাইনগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে চালানো হয় বলে মানুষ কিছুটা নির্ভার। কিন্তু অ্যাপগুলো সেই জায়গা পূরণ করতে ব্যর্থ।
আমাদের সবকিছু এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। নারীদের সুরক্ষার বিষয়টিও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়। বলা হয়, প্রযুক্তি আমাদের নিরাপদ রাখবে। কিন্তু সেই আশার গুড়ে কিছুটা হলেও বালি পড়েছে। ‘খোলা ও বন্ধে’র খেলা এখন চলছে নারী সুরক্ষার এই ডিজিটালাইজেশনের যুগে।
বন্ধ হয়েছে
বিপদের মুহূর্তে শুধু ‘বাঁচাও’ লেখা লাল বাটন চাপলে তৎক্ষণাৎ বিপদের খবর পৌঁছে যাবে আপনার বিশ্বস্ত আপনজন, পুলিশ ও নিকটস্থ স্বেচ্ছাসেবীদের মোবাইল ফোনে। তারপর জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে বিপদগ্রস্তের লোকেশন অনুসরণ করে চলে আসবেন উদ্ধারকর্মীরা। অন রাখতে হবে মোবাইল ফোনের লোকেশন। বিপন্মুক্ত হলে ‘আমি নিরাপদ’ সবুজ বাটন চেপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া হেল্পলাইন নম্বর খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। ধর্ষণ কিংবা নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের জন্য এমন একটি অ্যাপ বানানো হয়েছিল। ‘বাঁচাও’ নামে বাঁচাও লাইফ ফাউন্ডেশনের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছিল সেই অ্যাপ। সালটা ছিল ২০২১। ‘আর একটাও ধর্ষণ হতে দেব না’ স্লোগান সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাঁচাও অ্যাপ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবন্ধিত, ট্রেডমার্কযুক্ত ছিল এই অ্যাপ। এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সরকার, পুলিশ, এনজিও এবং করপোরেট সম্প্রদায়কেও অংশীদার করা হয়েছিল। তবে প্লে স্টোরে সেই অ্যাপের কোনো অস্তিত্ব এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি বাঁচাও লাইফ ফাউন্ডেশনের হেল্পলাইনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই নম্বর থেকে মো. রাসেল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, প্রকল্পটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘অ্যাপ চালু করার পর সেকেন্ড ভার্সনে যাওয়ার আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সে কারণে অ্যাপটি আর আপডেট করা হয়নি এবং সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানেন না রাসেল ইসলাম।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী মোবাইল অ্যাপ ‘জয়’ তৈরি করা হয়। বর্তমানে সেই অ্যাপও পাওয়া যাচ্ছে না গুগল প্লে স্টোরে।
আসছে ‘হেল্প’
১৫ মার্চ জানানো হয়েছে, গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তায় সহায়তা করবে ‘হেল্প’ নামের একটি অ্যাপ। পুরো নাম হ্যারাসমেন্ট এলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম। এটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। বলা হয়েছে, এই অ্যাপে দেওয়া নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্প রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে বাস্তবায়ন করা হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলাচলকারী বাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে এই সেবা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট রুটে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় এই সেবা নিতে পারবেন নারীরা।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন জানান, বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো এবং পত্রিকার মাধ্যমে জনগণকে তাঁরা অ্যাপটি সম্পর্কে জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে দু-একটি টিভি চ্যানেলে এই অ্যাপ নিয়ে টক শো করেছি। সামনে আরও করা হবে। সেখানে অ্যাপের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে—পুলিশ ও বাস মালিক সমিতি, তাদের নিয়ে আমরা অ্যাডভোকেসি সভা করব বিভিন্ন স্পটে গিয়ে। দিন দিন অ্যাপটি উন্নত করা হবে।’
অ্যাপটি আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে পুরোপুরি চালু করার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ব্যাপকভাবে এই অ্যাপ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই বলে জানান ইলিয়াস হোসেন। তবে এসব বিষয়ে তাঁরা ‘ভাবছেন’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অ্যাপগুলো মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বাজেট ও লোকবলের অভাবকে দায়ী করেন। তবে ‘হেল্প’ অ্যাপটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া এবং এর স্থায়িত্ব নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আশ্বাস দেন তিনি। ধীরে ধীরে হেল্প অ্যাপটির সঙ্গে জাতীয় পরিষেবা হেল্পলাইন ৯৯৯-এর সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানিয়েছেন, এই অ্যাপে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হলে সেটি সরাসরি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করবে থানা। এটিই হবে মামলার এজাহার।’
ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানিয়েছেন, এই অ্যাপে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হলে এফআইআর হিসেবে সেটি সরাসরি গ্রহণ করবে থানা। এটিই হবে মামলার এজাহার। ইলিয়াস হোসেন, সদস্যসচিব, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার
কিছুটা স্বস্তি রয়েছে
‘হটলাইন’ কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। ১০৯ হেল্পলাইনে কল করে যেকোনো সময় সহায়তা পাওয়া যায়। তবে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরটি বেশি জনপ্রিয়। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশের ‘হটলাইন’ সেবার পাশাপাশি ‘শর্ট কোড’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১১ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ইনসিডেন্টস ট্র্যাকিং সফটওয়্যার, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্ট কোড, অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অনলাইন বা শর্ট কোডের মাধ্যমে মামলা, এফআইআরসহ বহু আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে সচল রয়েছে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩। এটির সঙ্গে আরেকটি ৩ যোগ করে ৩৩৩৩ ডায়াল করে নারী নির্যাতনবিষয়ক যেকোনো অভিযোগ করা যাবে। তবে ৯৯৯ নম্বরটি জীবন রক্ষাকারী এসওএস সেবা হওয়ায় আপাতত ৩৩৩৩ সেবাকে ৯৯৯-এর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। ৩৩৩৩-এর কল সেন্টারের রিসিভার হিসেবে শতভাগ নারী কর্মী রাখার চিন্তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ কিংবা নির্যাতন বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো অ্যাপ ও হেল্পলাইন চালু করা। হেল্পলাইনগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে চালানো হয় বলে মানুষ কিছুটা নির্ভার। কিন্তু অ্যাপগুলো সেই জায়গা পূরণ করতে ব্যর্থ।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে