বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
১ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের। বয়সের তুলনায় যোগ্যতায় দায়িত্ব পেলেন বেশ বড়! ক্লোয়ে এতদিন ভোগ ওয়েবসাইটের সম্পাদক ও এর পডকাস্টের সহসঞ্চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।
মার্কিন তারকা দম্পতির কন্যা ক্লোয়ে ম্যালে। বাবা প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক লুই মাল্লে আর মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা তাঁর। পড়েছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্য ও তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে। পরে দ্য নিউইয়র্ক অবজারভারে কাজ শুরু করেন এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় লিখেছেন। তিন বছর বয়সে প্রথমবার তাঁর নাম প্রকাশিত হয় দ্য টাইমস-এর পাতায়।
এক দশক ধরে ফ্যাশন ও গণমাধ্যম শিল্পে জল্পনা চলছিল, ৭৫ বছর বয়সী অ্যানা উইন্ট্যুরের উত্তরসূরি কে হবেন?
নতুন ‘সম্পাদক’ ক্লোয়ে ম্যালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিনার পার্টির আড্ডা মানেই যেন এই প্রশ্ন। সত্যি বলতে, অ্যানাকে কেউই প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
মজার ব্যাপার হলো, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে গত মে মাসের ১ তারিখে এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার ১ সপ্তাহ আগে থেকে ম্যালে জানতেন, তিনিই হচ্ছেন ভোগের নতুন সম্পাদক। কিন্তু অ্যানা উইন্ট্যুরের কড়া নির্দেশে কাউকেই এসব কথা জানাননি। এমনকি নিজের মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেনকেও তখনো কিছু বলেননি।
তবে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা অনেক জটিল। কেন না অ্যানা উইন্ট্যুর ভোগ-এর প্রকাশনা সংস্থা কনডে ন্যাস্টে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।
সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও অ্যানা এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তিনি এখনো কনডে ন্যাস্টের চিফ কনটেন্ট অফিসার। বাস্তবে তিনি ম্যালের সরাসরি সুপারভাইজার। ভোগ-এর ২৮টি আন্তর্জাতিক সংস্করণের সব কটি তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এমনকি নিজের অফিস থেকেও সরছেন না তিনি।

এই হস্তান্তর ব্যবস্থা কিছুটা অস্বাভাবিক দুজনেই স্বীকার করেছেন। কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে উইন্ট্যুর নিজেকে একই সঙ্গে ম্যালের ‘গুরু এবং শিক্ষার্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যালে বলেন, ‘আমি যেন উঁচু কোনো দড়ির ওপর কসরত দেখাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, এই পদে আগ্রহী অনেকেই অ্যানার ঠিক পাশের করিডরে থাকার বিষয়টি ভেবে একটু ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি খুশি যে তিনি সেখানেই আছেন, তাঁর ক্ল্যারিস ক্লিফ পটারি নিয়ে।’
নিজেকে ‘নেপো কিড’ হিসেবে অভিহিত করে ম্যালে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠায় যে বিশেষ সুবিধা ছিল, তা অস্বীকার করা বোকামি হবে। তবে এটা আমাকে আরও পরিশ্রমী করেছে। জীবনের অনেকটা সময় আমি চেষ্টা করেছি প্রমাণ করতে যে আমি শুধু ক্যান্ডিস বার্গেনের মেয়ে নই কিংবা বেভারলি হিলসের কোনো বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত মানুষও নই।’

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়ার সময় ম্যালে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এ পদে যে আসবেন, তিনি যদি ‘অ্যানা লাইট’ হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে কখনোই সফলতা পাবেন না। তিনি যোগ করেন, ‘নিজের ছাপ রেখে যাওয়াটাই হবে এই ভূমিকায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এমন এক দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে বোঝা যায়—এটি আমার ভোগ।’
আর ‘ভোগ’-এর সম্পাদক হিসেবে ক্লোয়ের পদবি ‘সম্পাদক’ নয়, বরং ‘হেড অব এডিটোরিয়াল কনটেন্ট’ বা সম্পাদকীয় কনটেন্টের প্রধান দেওয়া হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে এসে অন্যান্য পুরনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মতো ভোগও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এখনকার সম্পাদকদের কাজ শুধু লেখা বা কনটেন্ট সম্পাদনা নয়, তাঁদের নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে হয়, বড় মাপের চমকপ্রদ ইভেন্ট আয়োজন করতে হয়, এমনকি পণ্য বিক্রির কৌশলও ভাবতে হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো ডিজিটাল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি, তারা হারিয়েছে অর্থ ও প্রভাব। এখন তারা মরিয়া হয়ে নতুন পাঠকগোষ্ঠী খুঁজছে এবং পুরনো পাঠকদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

ভোগের নতুন সম্পাদক নিজেকে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে বেশি দেখেন। যদিও ভোগ ঐতিহ্যগতভাবে ফ্যাশন ভিজ্যুয়ালসের জন্য বেশি পরিচিত। কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে অ্যানা উইন্ট্যুর তাঁকে ‘একজন তৃষ্ণার্ত-নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, যাঁর চোখ নির্ভুল ছবিতে আটকায়’—বলে প্রশংসা করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভোগ-এর ওয়েব বিভাগের দায়িত্ব নেন ম্যালে। তখন থেকে তিনি বেশ কিছু আলোচিত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে কুকুরদের নিয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ কভার প্রতিযোগিতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নাতি জ্যাক শ্লসবার্গকে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।
বর্তমান সময়ে ভোগ-এ ম্যালে বেশির ভাগ সময় বিয়ে সংক্রান্ত স্টোরিগুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের পর থেকে অনলাইনে ভোগ ওয়েডিংস-এর কভারেজ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি লরেন সানচেজ বেজোসকে নিয়ে তাঁর ডিজিটাল কভার স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, জেফ বেজোসের নববধূ হিসেবে তিনি ভোগ কভারের মর্যাদা ‘অর্জন করেননি’। এ নিয়ে ম্যালে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভোগ-এর কাভারে আসা মানে এক ধরনের স্বীকৃতি। তবে কখনো কখনো হিসাব করে ঝুঁকি নেওয়াও জরুরি। এটা আমাদের জন্য বড় মুহূর্ত ছিল। সবাই সেই নিয়ে কথা বলছিল। আমরা সেই মুহূর্তটিকে ধরতে পেরেছিলাম।’
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মেলানিয়া ট্রাম্পকে কখনো ভোগের কভারে দেখা যাবে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান নতুন সম্পাদক। তবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে ভোগে কি পরিবর্তন আসছে তা অনেকেই দেখার অপেক্ষায়।
ম্যালের সম্পাদনায় প্রথম প্রিন্ট সংখ্যা সম্ভবত আগামী বছর প্রকাশিত হবে। তিনি মনে করেন, ভোগ–এর সংখ্যাগুলো মাসিক নিয়মে প্রকাশের পরিবর্তে নির্দিষ্ট থিম বা সাংস্কৃতিক মুহূর্তকে ঘিরে প্রকাশিত হওয়া উচিত, যেন উচ্চমানের পুরু কাগজে মুদ্রিত এই ম্যাগাজিনের প্রতিটি সংখ্যা হয় সংগ্রহযোগ্য সংস্করণ।
ম্যালে বলেন, আজকের ভোগ ‘কৌশলী, চটপটে এবং তীক্ষ্ণ’। পপ সংস্কৃতিতে প্রচলিত ‘ঝলমলে কিন্তু নির্মম ফ্যাশন সাম্রাজ্য’-এর চিত্র থেকে অনেকটা আলাদা। সেই পুরোনো ঠান্ডা, প্রতিযোগিতামূলক গ্ল্যামার যুগ মূলত শেষ হয়ে গেছে।
এই পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ম্যালে নিজেও অনেকটা ভিন্ন ধাঁচের। নিউইয়র্কের তারকা পরিবারে বেড়ে ওঠা হলেও তিনি সহজ-স্বভাব, প্রাণবন্ত ও অহংবর্জিত। ফ্যাশন অভিজাতদের তিনি বিশেষ পছন্দ করেন না। একবার টমি হিলফিগারের ফ্যাশন শোতে তিনি সংগীতশিল্পী জন বাতিস্তের অনুরোধে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেছিলেন। তাঁর অফিসে ডিজনির দুই ভিলেন ম্যালিফিসেন্ট ও ক্রুয়েলা দে ভিল-এর লেগো মডেল সাজানো, যেগুলো তাঁর পাঁচ বছরের ছেলের তৈরি।

ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের। বয়সের তুলনায় যোগ্যতায় দায়িত্ব পেলেন বেশ বড়! ক্লোয়ে এতদিন ভোগ ওয়েবসাইটের সম্পাদক ও এর পডকাস্টের সহসঞ্চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।
মার্কিন তারকা দম্পতির কন্যা ক্লোয়ে ম্যালে। বাবা প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক লুই মাল্লে আর মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা তাঁর। পড়েছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্য ও তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে। পরে দ্য নিউইয়র্ক অবজারভারে কাজ শুরু করেন এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় লিখেছেন। তিন বছর বয়সে প্রথমবার তাঁর নাম প্রকাশিত হয় দ্য টাইমস-এর পাতায়।
এক দশক ধরে ফ্যাশন ও গণমাধ্যম শিল্পে জল্পনা চলছিল, ৭৫ বছর বয়সী অ্যানা উইন্ট্যুরের উত্তরসূরি কে হবেন?
নতুন ‘সম্পাদক’ ক্লোয়ে ম্যালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিনার পার্টির আড্ডা মানেই যেন এই প্রশ্ন। সত্যি বলতে, অ্যানাকে কেউই প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
মজার ব্যাপার হলো, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে গত মে মাসের ১ তারিখে এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার ১ সপ্তাহ আগে থেকে ম্যালে জানতেন, তিনিই হচ্ছেন ভোগের নতুন সম্পাদক। কিন্তু অ্যানা উইন্ট্যুরের কড়া নির্দেশে কাউকেই এসব কথা জানাননি। এমনকি নিজের মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেনকেও তখনো কিছু বলেননি।
তবে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা অনেক জটিল। কেন না অ্যানা উইন্ট্যুর ভোগ-এর প্রকাশনা সংস্থা কনডে ন্যাস্টে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।
সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও অ্যানা এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তিনি এখনো কনডে ন্যাস্টের চিফ কনটেন্ট অফিসার। বাস্তবে তিনি ম্যালের সরাসরি সুপারভাইজার। ভোগ-এর ২৮টি আন্তর্জাতিক সংস্করণের সব কটি তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এমনকি নিজের অফিস থেকেও সরছেন না তিনি।

এই হস্তান্তর ব্যবস্থা কিছুটা অস্বাভাবিক দুজনেই স্বীকার করেছেন। কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে উইন্ট্যুর নিজেকে একই সঙ্গে ম্যালের ‘গুরু এবং শিক্ষার্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যালে বলেন, ‘আমি যেন উঁচু কোনো দড়ির ওপর কসরত দেখাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, এই পদে আগ্রহী অনেকেই অ্যানার ঠিক পাশের করিডরে থাকার বিষয়টি ভেবে একটু ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি খুশি যে তিনি সেখানেই আছেন, তাঁর ক্ল্যারিস ক্লিফ পটারি নিয়ে।’
নিজেকে ‘নেপো কিড’ হিসেবে অভিহিত করে ম্যালে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠায় যে বিশেষ সুবিধা ছিল, তা অস্বীকার করা বোকামি হবে। তবে এটা আমাকে আরও পরিশ্রমী করেছে। জীবনের অনেকটা সময় আমি চেষ্টা করেছি প্রমাণ করতে যে আমি শুধু ক্যান্ডিস বার্গেনের মেয়ে নই কিংবা বেভারলি হিলসের কোনো বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত মানুষও নই।’

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়ার সময় ম্যালে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এ পদে যে আসবেন, তিনি যদি ‘অ্যানা লাইট’ হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে কখনোই সফলতা পাবেন না। তিনি যোগ করেন, ‘নিজের ছাপ রেখে যাওয়াটাই হবে এই ভূমিকায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এমন এক দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে বোঝা যায়—এটি আমার ভোগ।’
আর ‘ভোগ’-এর সম্পাদক হিসেবে ক্লোয়ের পদবি ‘সম্পাদক’ নয়, বরং ‘হেড অব এডিটোরিয়াল কনটেন্ট’ বা সম্পাদকীয় কনটেন্টের প্রধান দেওয়া হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে এসে অন্যান্য পুরনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মতো ভোগও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এখনকার সম্পাদকদের কাজ শুধু লেখা বা কনটেন্ট সম্পাদনা নয়, তাঁদের নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে হয়, বড় মাপের চমকপ্রদ ইভেন্ট আয়োজন করতে হয়, এমনকি পণ্য বিক্রির কৌশলও ভাবতে হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো ডিজিটাল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি, তারা হারিয়েছে অর্থ ও প্রভাব। এখন তারা মরিয়া হয়ে নতুন পাঠকগোষ্ঠী খুঁজছে এবং পুরনো পাঠকদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

ভোগের নতুন সম্পাদক নিজেকে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে বেশি দেখেন। যদিও ভোগ ঐতিহ্যগতভাবে ফ্যাশন ভিজ্যুয়ালসের জন্য বেশি পরিচিত। কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে অ্যানা উইন্ট্যুর তাঁকে ‘একজন তৃষ্ণার্ত-নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, যাঁর চোখ নির্ভুল ছবিতে আটকায়’—বলে প্রশংসা করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভোগ-এর ওয়েব বিভাগের দায়িত্ব নেন ম্যালে। তখন থেকে তিনি বেশ কিছু আলোচিত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে কুকুরদের নিয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ কভার প্রতিযোগিতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নাতি জ্যাক শ্লসবার্গকে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।
বর্তমান সময়ে ভোগ-এ ম্যালে বেশির ভাগ সময় বিয়ে সংক্রান্ত স্টোরিগুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের পর থেকে অনলাইনে ভোগ ওয়েডিংস-এর কভারেজ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি লরেন সানচেজ বেজোসকে নিয়ে তাঁর ডিজিটাল কভার স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, জেফ বেজোসের নববধূ হিসেবে তিনি ভোগ কভারের মর্যাদা ‘অর্জন করেননি’। এ নিয়ে ম্যালে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভোগ-এর কাভারে আসা মানে এক ধরনের স্বীকৃতি। তবে কখনো কখনো হিসাব করে ঝুঁকি নেওয়াও জরুরি। এটা আমাদের জন্য বড় মুহূর্ত ছিল। সবাই সেই নিয়ে কথা বলছিল। আমরা সেই মুহূর্তটিকে ধরতে পেরেছিলাম।’
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মেলানিয়া ট্রাম্পকে কখনো ভোগের কভারে দেখা যাবে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান নতুন সম্পাদক। তবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে ভোগে কি পরিবর্তন আসছে তা অনেকেই দেখার অপেক্ষায়।
ম্যালের সম্পাদনায় প্রথম প্রিন্ট সংখ্যা সম্ভবত আগামী বছর প্রকাশিত হবে। তিনি মনে করেন, ভোগ–এর সংখ্যাগুলো মাসিক নিয়মে প্রকাশের পরিবর্তে নির্দিষ্ট থিম বা সাংস্কৃতিক মুহূর্তকে ঘিরে প্রকাশিত হওয়া উচিত, যেন উচ্চমানের পুরু কাগজে মুদ্রিত এই ম্যাগাজিনের প্রতিটি সংখ্যা হয় সংগ্রহযোগ্য সংস্করণ।
ম্যালে বলেন, আজকের ভোগ ‘কৌশলী, চটপটে এবং তীক্ষ্ণ’। পপ সংস্কৃতিতে প্রচলিত ‘ঝলমলে কিন্তু নির্মম ফ্যাশন সাম্রাজ্য’-এর চিত্র থেকে অনেকটা আলাদা। সেই পুরোনো ঠান্ডা, প্রতিযোগিতামূলক গ্ল্যামার যুগ মূলত শেষ হয়ে গেছে।
এই পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ম্যালে নিজেও অনেকটা ভিন্ন ধাঁচের। নিউইয়র্কের তারকা পরিবারে বেড়ে ওঠা হলেও তিনি সহজ-স্বভাব, প্রাণবন্ত ও অহংবর্জিত। ফ্যাশন অভিজাতদের তিনি বিশেষ পছন্দ করেন না। একবার টমি হিলফিগারের ফ্যাশন শোতে তিনি সংগীতশিল্পী জন বাতিস্তের অনুরোধে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেছিলেন। তাঁর অফিসে ডিজনির দুই ভিলেন ম্যালিফিসেন্ট ও ক্রুয়েলা দে ভিল-এর লেগো মডেল সাজানো, যেগুলো তাঁর পাঁচ বছরের ছেলের তৈরি।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
৬ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে