স্মরণ
গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার একটি সড়কের নাম রোমেনা আফাজ সড়ক। কে এই রোমেনা আফাজ? এ যুগের মানুষ তাঁকে খুব একটা না চিনলেও ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকে যাঁরা বড় হয়েছেন এবং যাঁদের ‘আউট বই’ পড়ার অভ্যাস ছিল, তাঁরা ঠিকই চেনেন তাঁকে।
‘ধ্বংস পাহাড়’ দিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজ প্রকাশ শুরু হয় ১৯৬৬ সাল থেকে। ‘দস্যু বনহুর’ সিরিজের প্রথম প্রকাশ তার এক বছর আগে, ১৯৬৫ সালে। এই সিরিজ লিখেছিলেন রোমেনা আফাজ।
১৩৮টি বইয়ের জনপ্রিয় সিরিজ ছিল সেটি। একদিকে মাসুদ রানার দাপট, অন্যদিকে দস্যু বনহুরের রোমাঞ্চকর ডাকাতির কাহিনি সে সময় বাংলা ভাষার পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে রেখেছিল। এই বিপুল জনপ্রিয়তার পরেও যেন অন্তরালে চলে গেছেন তিনি। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিন নীরবে কেটে যায়। দস্যু বনহুরের মতো জনপ্রিয় সিরিজই তিনি লেখেননি; লিখেছিলেন উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতাসহ আড়াই শ বই। দস্যু বনহুর সিরিজ তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া তিনি লিখেছিলেন ১২ পর্বের ‘দস্যুরানী’ সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে। নাম ‘রক্তে আঁকা ম্যাপ’। এটি তাঁর সাহিত্যিক জীবনেরও প্রথম বই। বগুড়ার ‘সাহিত্য কুঠির’ নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা সেই বই প্রকাশ করেছিল।
শুধু কি তাই? রোমেনা আফাজের লেখা উপন্যাস থেকে তৈরি করা হয়েছিল ছয়টি চলচ্চিত্র। সেগুলো হলো ‘কাগজের নৌকা’, ‘মোমের আলো’, ‘মায়ার সংসার’, ‘মধুমিতা’, ‘মাটির মানুষ’ ও ‘দস্যু বনহুর’। বাংলা ভাষার কোনো নারী লেখকের জীবনে সম্ভবত এতটা জনপ্রিয়তা কখনো আসেনি।
পুলিশ অফিসার বাবার পেশাগত অভিজ্ঞতা শুনে ক্রাইম ফিকশন ও থ্রিলার লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রোমেনা খাতুন খুকি।
কাজেম উদ্দিন ও আছিয়া খাতুন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান হিসেবে রোমেনা আফাজ জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর, বগুড়ার শেরপুরে। ব্রিটিশ ভারতে কাজেম উদ্দিন কলকাতার একটি থানায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করতেন। ৯ বছর বয়সে রোমেনার লেখা ‘বাংলার চাষী’ নামের একটি ছড়া প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকায়। সেই শুরু। পরিণত বয়সে তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য বই। ১১-১২ বছর বয়সে তিনি বাবার সঙ্গে চলে আসেন বগুড়ার শেরপুরে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এখনকার শাজাহানপুর থানার ফুলকোর্ট গ্রামের চিকিৎসক আফাজ উল্লাহর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রোমেনা। বিয়ের পর তাঁর নামের সঙ্গে স্বামীর নাম যোগ করে তিনি পরিচিতি পান রোমেনা আফাজ নামে। ১৯৬০ সালের দিকে স্বামীর সঙ্গে তিনি চলে আসেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। সেই বাড়িতে প্রায় ৭৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ১২ জুন মারা যান তিনি।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় রোমেনা আফাজের বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। সাত ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছেন অনেক আগে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের মধ্যে ছোট ছেলে মন্তেজার রহমান আঞ্জু বগুড়া শহরে বসবাস করেন। অন্য ছেলেমেয়েদের কেউ কানাডা, কেউ আমেরিকায় প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন।
রোমেনা আফাজের নাতনি উম্মে ফাতেমা লিসা জানান, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাড়িটি ‘রোমেনা আফাজ স্মৃতিঘর’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বই ছাড়াও রোমেনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত হয়েছে। তবে বছরখানেক আগে বগুড়া জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পাঠাগারটি আলতাফুনেচ্ছা খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ক্লাবে স্থানান্তর করা হয়। বগুড়া পৌরসভা রোমেনা আফাজের সম্মানে তাঁর বাড়ির সামনের সড়কটির নামকরণ করে ‘রোমেনা আফাজ সড়ক’ হিসেবে।
২০১০ সালে রোমেনা আফাজ স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এর বাইরে জীবদ্দশায় ২৭টি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছিলেন তিনি।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার একটি সড়কের নাম রোমেনা আফাজ সড়ক। কে এই রোমেনা আফাজ? এ যুগের মানুষ তাঁকে খুব একটা না চিনলেও ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকে যাঁরা বড় হয়েছেন এবং যাঁদের ‘আউট বই’ পড়ার অভ্যাস ছিল, তাঁরা ঠিকই চেনেন তাঁকে।
‘ধ্বংস পাহাড়’ দিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজ প্রকাশ শুরু হয় ১৯৬৬ সাল থেকে। ‘দস্যু বনহুর’ সিরিজের প্রথম প্রকাশ তার এক বছর আগে, ১৯৬৫ সালে। এই সিরিজ লিখেছিলেন রোমেনা আফাজ।
১৩৮টি বইয়ের জনপ্রিয় সিরিজ ছিল সেটি। একদিকে মাসুদ রানার দাপট, অন্যদিকে দস্যু বনহুরের রোমাঞ্চকর ডাকাতির কাহিনি সে সময় বাংলা ভাষার পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে রেখেছিল। এই বিপুল জনপ্রিয়তার পরেও যেন অন্তরালে চলে গেছেন তিনি। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিন নীরবে কেটে যায়। দস্যু বনহুরের মতো জনপ্রিয় সিরিজই তিনি লেখেননি; লিখেছিলেন উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতাসহ আড়াই শ বই। দস্যু বনহুর সিরিজ তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া তিনি লিখেছিলেন ১২ পর্বের ‘দস্যুরানী’ সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে। নাম ‘রক্তে আঁকা ম্যাপ’। এটি তাঁর সাহিত্যিক জীবনেরও প্রথম বই। বগুড়ার ‘সাহিত্য কুঠির’ নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা সেই বই প্রকাশ করেছিল।
শুধু কি তাই? রোমেনা আফাজের লেখা উপন্যাস থেকে তৈরি করা হয়েছিল ছয়টি চলচ্চিত্র। সেগুলো হলো ‘কাগজের নৌকা’, ‘মোমের আলো’, ‘মায়ার সংসার’, ‘মধুমিতা’, ‘মাটির মানুষ’ ও ‘দস্যু বনহুর’। বাংলা ভাষার কোনো নারী লেখকের জীবনে সম্ভবত এতটা জনপ্রিয়তা কখনো আসেনি।
পুলিশ অফিসার বাবার পেশাগত অভিজ্ঞতা শুনে ক্রাইম ফিকশন ও থ্রিলার লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রোমেনা খাতুন খুকি।
কাজেম উদ্দিন ও আছিয়া খাতুন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান হিসেবে রোমেনা আফাজ জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর, বগুড়ার শেরপুরে। ব্রিটিশ ভারতে কাজেম উদ্দিন কলকাতার একটি থানায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করতেন। ৯ বছর বয়সে রোমেনার লেখা ‘বাংলার চাষী’ নামের একটি ছড়া প্রকাশিত হয় কলকাতার ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকায়। সেই শুরু। পরিণত বয়সে তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য বই। ১১-১২ বছর বয়সে তিনি বাবার সঙ্গে চলে আসেন বগুড়ার শেরপুরে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এখনকার শাজাহানপুর থানার ফুলকোর্ট গ্রামের চিকিৎসক আফাজ উল্লাহর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রোমেনা। বিয়ের পর তাঁর নামের সঙ্গে স্বামীর নাম যোগ করে তিনি পরিচিতি পান রোমেনা আফাজ নামে। ১৯৬০ সালের দিকে স্বামীর সঙ্গে তিনি চলে আসেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। সেই বাড়িতে প্রায় ৭৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ১২ জুন মারা যান তিনি।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় রোমেনা আফাজের বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। সাত ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছেন অনেক আগে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের মধ্যে ছোট ছেলে মন্তেজার রহমান আঞ্জু বগুড়া শহরে বসবাস করেন। অন্য ছেলেমেয়েদের কেউ কানাডা, কেউ আমেরিকায় প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন।
রোমেনা আফাজের নাতনি উম্মে ফাতেমা লিসা জানান, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাড়িটি ‘রোমেনা আফাজ স্মৃতিঘর’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বই ছাড়াও রোমেনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত হয়েছে। তবে বছরখানেক আগে বগুড়া জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পাঠাগারটি আলতাফুনেচ্ছা খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ক্লাবে স্থানান্তর করা হয়। বগুড়া পৌরসভা রোমেনা আফাজের সম্মানে তাঁর বাড়ির সামনের সড়কটির নামকরণ করে ‘রোমেনা আফাজ সড়ক’ হিসেবে।
২০১০ সালে রোমেনা আফাজ স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এর বাইরে জীবদ্দশায় ২৭টি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছিলেন তিনি।
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
৬ দিন আগেগ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
৬ দিন আগেচাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
৬ দিন আগেচলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
৬ দিন আগে