বার্ড ফ্লু (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক দিন বয়সের হাই-লাইন ব্রাউন জাতের মুরগির বাচ্চা আমদানির অনুমতি দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অনুমতি দেওয়ার মাত্র আট দিনের মধ্যে তড়িঘড়ি মুরগির বাচ্চাগুলো দেশে নিয়ে আসা হয়েছে।
যশোরে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে আট বছর বয়সী এক শিশুর রক্ত ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকালে এ নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় মুরগির খামার ও আশপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিধিদলটি।
যশোরে একটি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ার পর দেশের পোলট্রিশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ওই খামারে ৩ হাজার ৯৭৮টি মুরগির মধ্যে ১ হাজার ৯০০টি মারা গেছে এবং বাকি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে, যাতে ভাইরাস আরও ছড়িয়ে না পড়ে। বিগত সময়ে বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে বহু খামার বন্ধ হয়ে গেছে, লাখ লাখ
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসক বনি হেনরি জানান, আক্রান্তের আগে কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। এই ভাইরাসটি অল্পবয়সীদের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং গুরুতর অসুস্থ করে ফেলতে পারে।
দক্ষিণ ভিয়েতনামের দুটি চিড়িয়াখানায় বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুই চিড়িয়াখানায় এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লুতে ৪৭টি বাঘ ছাড়াও মারা পড়েছে তিনটি সিংহ এবং একটি চিতা বাঘ। গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ইদানীং খুব অদ্ভুত আচরণ করছে বার্ড ফ্লু। যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি রাজ্যে দুগ্ধজাত গরুতে উচ্চ প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (এইচ ৫ এন১) এর একটি ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রামিত গাভীর দুধে খুব বেশি মাত্রায় ভাইরাসটি দেখা গেছে। আর এই ভাইরাসের ফলে মানুষের মধ্যে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ দেখা গিয়ে
অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ডে পাখিদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লুর একটি বিধ্বংসী ধরন (এইচ৫ এন ১ সাব টাইপ) হানা দিয়েছে। ভাইরাসটির জের ধরে রীতিমতো উজাড় হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে মহাদেশটির দক্ষিণাঞ্চলের পেঙ্গুইনের বিশাল বসতি। বৈজ্ঞানিক গবেষণাকেন্দ্র ‘স্পেনস হায়ার
বার্ড ফ্লু মহামারিতে এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ‘সমুদ্রের জলদস্যু’ খ্যাত গ্রেট স্কুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলের শক্তিশালী এ পাখির সংখ্যা ৭৬ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব বার্ডস (আরএসপিবি)।
H3 N 2 এবং H10 N 5 বার্ড ফ্লু-এরই দুটি ধরন। সম্প্রতি এই দুটি ধরনের সম্মিলিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক চীনা নারী। পরে ওই নারীর মৃত্যু হয়। আজ বুধবার তাঁর শরীরে সম্মিলিত সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
মানবদেহে বিরল এক ধরনের বার্ড ফ্লুতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো চীনা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এটা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার আলামত মেলেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
চিলির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। তাঁর মধ্যে গুরুতর ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণও রয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
ঝেনজিয়াং শহরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি গত ২৮ এপ্রিল জ্বর ও অন্যান্য লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৮ মে তাকে এইচ১০এন৩ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়। তবে কীভাবে তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।