নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যশোরে একটি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ার পর দেশের পোলট্রিশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ওই খামারে ৩ হাজার ৯৭৮টি মুরগির মধ্যে ১ হাজার ৯০০টি মারা গেছে এবং বাকি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে, যাতে ভাইরাস আরও ছড়িয়ে না পড়ে। বিগত সময়ে বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে বহু খামার বন্ধ হয়ে গেছে, লাখ লাখ মুরগি নিধন করতে হয়েছে এবং হাজার হাজার খামারি তাঁদের জীবিকা হারিয়েছেন।
বার্ড ফ্লু শনাক্ত করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ মার্চ আমরা বার্ড ফ্লু শনাক্ত করেছি। এটা মৃদু প্রকৃতির বার্ড ফ্লু। আমরা খামারিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠিয়েছি। ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করতে বলেছি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এদিকে বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়। বিপিএর তথ্য অনুসারে, দেশে প্রথমবার ২০০৭ সালের মার্চে বার্ড ফ্লু দেখা দেয় এবং সে বছর ১০ লাখের বেশি মুরগি মেরে ফেলা হয়। ওই সময় বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০টি খামার বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় খামারিরা আর্থিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হন। ২০০৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পোলট্রিশিল্পের জন্য ব্যাপক ক্ষতির পর খামারিরা দীর্ঘ সময় ধরে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন।
পরে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আবারও বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটে, তখন তেমন বড় আকারে ক্ষতির মুখে পড়েনি পোলট্রিশিল্প। তবে ২০১৭ সালের শেষের দিকে আবার বেশ কিছু এলাকায় বার্ড ফ্লু দেখা দেয়, যার ফলে বেশ কিছু খামার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৫০ লাখ মুরগি নিধন করা হয় এবং আরও কিছু খামার বন্ধ হয়ে যায়। বারবার বার্ড ফ্লুর সংক্রমণে ১৫ থেকে ১৬ হাজার প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে যায়।
জানতে চাইলে পোলট্রি খাত বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বার্ড ফ্লু বিগত সময়েও বাংলাদেশে হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়ায় খামারিদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বার্ড ফ্লু কীভাবে এসেছে, সেটাও বের করতে হবে। এটার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে ভোক্তা ও খামারি দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যশোরে একটি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ার পর দেশের পোলট্রিশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ওই খামারে ৩ হাজার ৯৭৮টি মুরগির মধ্যে ১ হাজার ৯০০টি মারা গেছে এবং বাকি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে, যাতে ভাইরাস আরও ছড়িয়ে না পড়ে। বিগত সময়ে বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে বহু খামার বন্ধ হয়ে গেছে, লাখ লাখ মুরগি নিধন করতে হয়েছে এবং হাজার হাজার খামারি তাঁদের জীবিকা হারিয়েছেন।
বার্ড ফ্লু শনাক্ত করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ মার্চ আমরা বার্ড ফ্লু শনাক্ত করেছি। এটা মৃদু প্রকৃতির বার্ড ফ্লু। আমরা খামারিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠিয়েছি। ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করতে বলেছি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এদিকে বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়। বিপিএর তথ্য অনুসারে, দেশে প্রথমবার ২০০৭ সালের মার্চে বার্ড ফ্লু দেখা দেয় এবং সে বছর ১০ লাখের বেশি মুরগি মেরে ফেলা হয়। ওই সময় বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০টি খামার বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় খামারিরা আর্থিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হন। ২০০৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পোলট্রিশিল্পের জন্য ব্যাপক ক্ষতির পর খামারিরা দীর্ঘ সময় ধরে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন।
পরে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আবারও বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটে, তখন তেমন বড় আকারে ক্ষতির মুখে পড়েনি পোলট্রিশিল্প। তবে ২০১৭ সালের শেষের দিকে আবার বেশ কিছু এলাকায় বার্ড ফ্লু দেখা দেয়, যার ফলে বেশ কিছু খামার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৫০ লাখ মুরগি নিধন করা হয় এবং আরও কিছু খামার বন্ধ হয়ে যায়। বারবার বার্ড ফ্লুর সংক্রমণে ১৫ থেকে ১৬ হাজার প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে যায়।
জানতে চাইলে পোলট্রি খাত বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বার্ড ফ্লু বিগত সময়েও বাংলাদেশে হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়ায় খামারিদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বার্ড ফ্লু কীভাবে এসেছে, সেটাও বের করতে হবে। এটার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে ভোক্তা ও খামারি দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে