Ajker Patrika

নুরাল পাগলার দাফনকে কেন্দ্র করে যেভাবে সহিংসতা ঘটল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ১২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দাফন শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দেওয়া হয়েছে, তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করেন—এমন অভিযোগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে আস্তানায় (দরবার শরিফ) হামলা হয়। এতে একজন নিহত এবং ১০-১২ জন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় আস্তানায় তাঁর লাশ দাফন করেন ভক্তরা। পবিত্র কাবাঘরের আদলে তৈরি করা হয় কবর। এর পর থেকেই উত্তেজনা চলছিল জেলাজুড়ে, ফুঁসে ওঠে স্থানীয় আলেমসহ ‘তৌহিদি জনতা’। তাঁরা কবর সমতল করাসহ কয়েকটি দাবি জানায়।

২৫ আগস্ট জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বিক্ষুব্ধ জনতা এবং নুরাল পাগলার পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনায় কোনো সুরাহা হয়নি। ওই দিন তৌহিদি জনতা ও নুরাল পাগলার পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের সঙ্গে আলোচনা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদুর রহমান। তাতেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে বিক্ষোভের চাপে পড়ে কবরের রং পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় নুরাল পাগলার পরিবারের সদস্যরা।

২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে অনৈতিক কার্যকলাপ হয়, এমন অভিযোগ তোলে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। কয়েক ফুট উঁচুতে কবর শরিয়ত পরিপন্থী দাবি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রামাণিক। সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় রীতিনীতি বিকৃত ও কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে তাঁর আস্তানায় (দরবার শরিফ) ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ করা হয়।

পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) একই দাবিতে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। লিখিত বক্তব্যে জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি ইলিয়াস মোল্লা বলেন, গত ২৩ আগস্ট নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁকে গোয়ালন্দ পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লার পাড়া এলাকায় মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে বেদি তৈরি করে দাফন করা হয় এবং পবিত্র কাবার আদলে রং করা হয়েছে ওই বেদির, যা শরিয়তবিরোধী। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আগামী বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় নেয় ওই কবর ১২ ফুট থেকে নামিয়ে স্বাভাবিক কবরের মতো করা হবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।

লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস মোল্লা আরও বলেন, আগামীকালের মধ্যে কবর স্বাভাবিক না হলে শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরের শুক্রবার কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় বিক্ষোভ হবে। তারপরের শুক্রবার ঢাকা থেকে সারা দেশব্যাপী ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজবাড়ী জেলা আমির মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী শাখার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে দরবার শরিফে ‘অপপ্রচারের বিরুদ্ধে’ সংবাদ সম্মেলন করেন নুরাল পাগলার ভক্তরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভক্ত মেহেদি আল আমিন বলেন, আলেম ওলামাদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় নুরাল পাগলার কবর উঁচু থেকে নিচু করা হয়েছে, কবরের দেয়ালের রং পরিবর্তন ও ‘ইমাম মেহেদি দরবার শরিফ’ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে মুসলমান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়া এখানে খ্রিষ্টান ধর্মের কেউ আসে না।

দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম।

পরিদর্শন শেষে জেলা জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, দাবির মধ্যে কবর নিচু করা হয়েছে। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে এবং মূল দাবি মেনে নেওয়ায় আগামী শুক্রবারের মার্চ ফর গোয়ালন্দসহ অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় দুপুরে জুমার পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলার দরবার শরীফে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা ৩টার দিকে মঞ্চ থেকে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রামাণিক, সদস্যসচিব বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী খান সবাইকে সমাবেশে থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু উত্তেজিত জনতা মিছিল নিয়ে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা করে। ভেতর থেকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ভক্তরা। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।

নুরাল পাগলার দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এ সময় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে দরবার থেকে কিছুটা দূরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর রাখা হয়। এরপর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। সংঘর্ষে আহত হয় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি। নিহত হয় রাসেল মোল্লা নামে একজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এ মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দরবার শরীফে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নুরাল পাগলার দরবার শরীফ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলেও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীতে সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাঁকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিএমপি এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে। রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আন্তধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনোরূপ বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা, কর্মকর্তাসহ আহত ৩

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খবর পেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান নির্বাচন কার্যালয়ে যান। এ সময় নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক কর্মী আমজাদ হোসেনের গায়ে আঘাত করেন। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এসে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এসে নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনজন আহত হন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আজ সকালে হঠাৎ করে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন অফিসারের ওপর হামলা করেন। তাঁরা স্টাফদের মারধর করেন। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। এ সময় নির্বাচন অফিসের বাইরেও শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি অফিসের কিছু দালাল চক্র সুবিধা করতে পারছিল না। এ জন্য হামলা হতে পারে।

হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী বহুবার অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের না ভোগানোর জন্য। অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা ভুক্তভোগীদের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের কেউ তাঁদের ওপর হামলা করেনি।’

উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন অফিসের আমজাদ হোসেন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আমরা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি।’

ইউএনও তুহিন হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের কাচের দরজা ভেঙেছে। একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার গায়ে আঘাত করার কারণে একটি মামলা করা হবে, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম, সরকারি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। যদি নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারত। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা বলেন, ‘আহত একজনকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উখিয়ায় বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। ইতিমধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৫টা) আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা।

স্থানীয়দের বরাতে ডলার ত্রিপুরা বলেন, বিকেলে উখিয়া সদর স্টেশনের একরাম মার্কেটে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ২টি এবং কক্সবাজার স্টেশন থেকে ১টি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতিসহ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ডলার ত্রিপুরা।

এদিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাজেদুল ইমরান শাওন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে বনদস্যুদের হাতে জেলে অপহৃত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুন্দরবনের দুবলার চরের লইট্রাখালী এলাকা থেকে হাফিজুল (৩৫) নামের এক জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু সুমন বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুবলার চরের জেলেপল্লিতে বনদস্যু আতঙ্ক বেড়েছে।

অপহৃত জেলে হাফিজুল বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে।

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ আজ দুপুরে জানান, হাফিজুলসহ অন্য জেলেরা গতকাল রোববার রাতে দুবলার চরের কাছে লইট্রাখালী খালে মাছ ধরতে যান। গতকাল দিবাগত ভোররাত ৩টার দিকে বনদস্যু সুমন বাহিনী একটি ট্রলারে করে এসে জেলে হাফিজুলকে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বনদস্যুরা হাফিজুলের ট্রলারের মাঝি শাহিনকে বনদস্যুদের সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যুদের অপতৎপরতায় দুবলার চরের জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে কামাল উদ্দিন জানান।

জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মিল্টন রায় বলেন, বনদস্যুদের হাতে অপহৃত জেলে হাফিজুল দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি থেকে মাছ ধরার পাস নিয়ে সুন্দরবনের খালে গিয়ে দস্যুদের কবলে পড়েছেন। বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে। অচিরেই বনদস্যু দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে ফরেস্ট রেঞ্জার জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত