সম্পাদকীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় আছে। দেশের একটি বড় দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। এই নির্বাচনকে একতরফা বলা হলেও, প্রচারণার শুরুতেই বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে।

ট্রেনে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঐতিহ্য কি আবার ফিরে এল? কে মারছে, কেন মারছে—এই প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই জরুরি, কিন্তু এ রকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার পর শুধু কোনো এক পক্ষকে দোষী করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া শোভন হবে না।

অভিবাসনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে গরিব দেশের মানুষেরা। এ ছাড়া ‘ব্রেইন ড্রেইন’ নামে একটি বিষয় রয়েছে, যেখানে গরিব দেশের তুখোড় মেধাবীদের অনেক বড় স্বপ্ন দেখিয়ে দেশছাড়া করে উন্নত দেশগুলো। আমাদের দেশ থেকেও অসংখ্য মানুষ বাইরে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা ভাবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসে নাম ডাকা হয়। যার যার নাম অথবা রোল নম্বর শুনে ‘উপস্থিত’ বললেই খাতায় ‘টিক চিহ্ন’ পড়ে যায়। সেই উপস্থিতির চিহ্ন আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর বাড়াতে সাহায্য করে; অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী যে পরিশ্রমটুকু করে, সেটার মূল্যায়ন বা পুরস্কার সে পায়। আহা, এমন মূ

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি তথা বিডিএস নামের এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের এক গৃহবধূ। ঋণ নিয়েছিলেন এক বছর আগে। আর্থিক অনটনের কারণে ঋণের সেই অর্থ তিনি পুরো পরিশোধ করতে পারেননি। এনজিও কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত ১৭ হাজার টাকার জন্য মামলা ঠুকে দেয় আদালতে। সেখান থেকে গ্

আমরা স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা করতে পারিনি। আইন না থাকায় এটা করা সম্ভব হয়নি। প্রায় এক দশক আগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়েছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া না-হওয়া নিয়ে এখন আর খুব সংশয় আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোরও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের মুক্তিবাহিনী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মা

সুলভ মূল্যে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য পাওয়াটা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহায়ক হয়েছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।

আজকের পত্রিকায় গাড়িবিষয়ক যে খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবার, তাতে দেখা যাচ্ছে, দামি গাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত আমাদের দেশে জাপানি নতুন বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনেন ক্রেতারা। এই ক্রেতাদের অনেকেই উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষ। ইউরোপীয় মডেলের কোটি টাকার ওপরের গাড়িগুলো কেনেন শুধুই উচ্চবিত্তের মানুষ। দেখা যাচ্ছে, ইউর

পরিকল্পনাহীন সেতু নির্মাণ করা হলে তা এলাকার জনগণের কোনো কাজে আসে না। এ রকম একটা অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীর ওপর। সেতুটি খুবই ছোট করে নির্মাণ করার কারণে তা এলাকাবাসীর উপকারে আসছে না। এ নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। 

হাতে নিয়ে শুরুতেই এই খবরের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়েছে পাঠককে। খবরের তথ্য কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে বৈকি—কয়েকজন নয়, কয়েক শ নয়, দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন! তাহলে মাদকসেবীর সংখ্যা লাখ লাখ হওয়াটা কোনো ব্যাপারই নয় মনে হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে বিপজ্জনক হচ্ছে বহুতল মার্কেটগুলো। কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বিপুল মানুষের সমাগম হয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে হতাহতের আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তো থাকেই। এমনই একটি কেনাকাটার জায়গা খিলগাঁও তালতলা মার্কেট। একে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে ঢাকা উত্

মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার—দুটো কি একই বিষয়? একটি কি অপরটির পরিপূরক? মৌলিক অধিকার বলতে আমরা সেই সব অধিকারকে বুঝি যা কোনো দেশের সংবিধানস্বীকৃত এবং যা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, মারমুখী অবস্থান নতুন কোনো বিষয় নয়। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ার প্রতিযোগিতা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকদের বিভিন্ন ধরনের বক্

পেঁয়াজের দাম নিয়েই কথা হোক। এই তো কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় ছিল গরুর মাংসের দাম। ৮০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় গোত্তা খেয়ে নামল গরুর মাংস। যাঁরা উচ্চমূল্যের কারণে গরুর মাংস খাননি অনেক দিন, তাঁদেরও কৌতূহল হয়েছিল এই দাম কমায়। অনেকেই বাজারে গিয়ে পরখ করে এসেছেন, সত্যিই কি দাম কমেছে?

টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চারজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়কেই তুলে ধরে। জমি-সংক্রান্ত বিবাদে পেশিশক্তি যাদের বেশি, তারাই অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এ রকম একটি অন্যায় করার পরও তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় মামলা হয়নি।