সম্পাদকীয়
পেঁয়াজের দাম নিয়েই কথা হোক। এই তো কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় ছিল গরুর মাংসের দাম। ৮০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় গোত্তা খেয়ে নামল গরুর মাংস। যাঁরা উচ্চমূল্যের কারণে গরুর মাংস খাননি অনেক দিন, তাঁদেরও কৌতূহল হয়েছিল এই দাম কমায়। অনেকেই বাজারে গিয়ে পরখ করে এসেছেন, সত্যিই কি দাম কমেছে? একসময় অন্তত রাজধানীর মানুষ নিশ্চিত হয়েছেন, হ্যাঁ, গরুর মাংসের দাম সত্যিই কমেছে। কোনো কোনো বিক্রেতা প্রথম কয়েক দিন গাঁইগুঁই করেছেন, বলেছেন, দাম কমানো একেবারেই সম্ভব নয়। ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। কিন্তু কী অদ্ভুত ব্যাপার, এখন দিব্যি কমে যাওয়া দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে।
মাংসবিক্রেতারা লোকসানে মাংস বিক্রি করছেন, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকাও ভাববে বলে মনে হয় না। তবে ৬০০ টাকা কেজি দরের মাংসে নাকি চর্বি আর হাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা যে বিক্রেতার অসাধুতা, সেটা বলে দিতে হয় না।
মাংসের দাম কিছুটা সহনশীল হয়েছে বটে, কিন্তু তাতে পেঁয়াজ আর আলুর মেজাজ ঠান্ডা হয়নি। এই দুই পণ্যের ব্যবসায়ীরা ঠিকই বাড়তি দাম আদায় করে নিচ্ছেন। গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিলে বা কোল্ডস্টোরেজের আশপাশে গিয়ে খোঁজ নিলে বোঝা যাবে, কত টাকায় বিকোচ্ছে এই পণ্যদ্বয়। এরপর বাজারগুলোয় কেন এই অগ্নিমূল্য, সে প্রশ্ন উঠে আসবে মানুষের মনে। এবং দেখা যাবে, সিন্ডিকেটের কাছে কতটা অসহায় হয়ে আছে মানুষের জীবন।
গরুর মাংসের দাম কমার অন্যতম কারণ ছিল, গরিব মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষও গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিল, কিংবা কিনছিল এতটাই কম, গরুর বাজারে চাহিদার চেয়ে জোগান বেড়ে গিয়েছিল অনেক। পেঁয়াজ আর আলুর দাম নাগালের মধ্যে থাকায় মানুষ হয়তো কেনা কমায়নি। কিংবা এমনও হতে পারে, দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘স্টক’ করার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করে কিনে নিচ্ছে।
নতুন আলু উঠেছে বাজারে, তারপরও পুরোনো আলুর কদর কমেনি। দামও থাকছে পঞ্চাশের ঘরে। আর পেঁয়াজ? সেঞ্চুরি করার পর আর নতুন করে ব্যাটিং করতেই নামছে না। একইভাবে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে আছে। সরকারসহ কেউই তাকে আউট করতে পারছে না।
পেঁয়াজের দাম ক্লিন বোল্ড হোক, সেটা যদি না-ও চাওয়া হয়, তার এই ছক্কা-চার মারামারির জায়গায় অন্তত মেডেন ওভার পাওয়া কিংবা ওভারপ্রতি এক-দুই রান দেওয়ার যোগ্য কোনো বোলার কি রাষ্ট্রব্যবস্থার কোথাও নেই? পেঁয়াজের দাম তিন অঙ্কে যাবে কেন, কেনই-বা ফসল ফলিয়ে কৃষক গরিব থেকে আরও গরিব হবে, আর আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে অসাধু ব্যবসায়ীরা?
আসলে বাজার থেকে এই অরাজকতা দূর করতে হলে যে শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো লক্ষণ কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এই অরাজকতা মেনে নিয়েই চলছে বাজার। সিন্ডিকেটের ঘাড়ে একটা ধাক্কা দিতে না পারলে পেঁয়াজ নামক ব্যাটসম্যান দাপটের সঙ্গেই ব্যাট করতে থাকবে!
পেঁয়াজের দাম নিয়েই কথা হোক। এই তো কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় ছিল গরুর মাংসের দাম। ৮০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় গোত্তা খেয়ে নামল গরুর মাংস। যাঁরা উচ্চমূল্যের কারণে গরুর মাংস খাননি অনেক দিন, তাঁদেরও কৌতূহল হয়েছিল এই দাম কমায়। অনেকেই বাজারে গিয়ে পরখ করে এসেছেন, সত্যিই কি দাম কমেছে? একসময় অন্তত রাজধানীর মানুষ নিশ্চিত হয়েছেন, হ্যাঁ, গরুর মাংসের দাম সত্যিই কমেছে। কোনো কোনো বিক্রেতা প্রথম কয়েক দিন গাঁইগুঁই করেছেন, বলেছেন, দাম কমানো একেবারেই সম্ভব নয়। ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। কিন্তু কী অদ্ভুত ব্যাপার, এখন দিব্যি কমে যাওয়া দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে।
মাংসবিক্রেতারা লোকসানে মাংস বিক্রি করছেন, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকাও ভাববে বলে মনে হয় না। তবে ৬০০ টাকা কেজি দরের মাংসে নাকি চর্বি আর হাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা যে বিক্রেতার অসাধুতা, সেটা বলে দিতে হয় না।
মাংসের দাম কিছুটা সহনশীল হয়েছে বটে, কিন্তু তাতে পেঁয়াজ আর আলুর মেজাজ ঠান্ডা হয়নি। এই দুই পণ্যের ব্যবসায়ীরা ঠিকই বাড়তি দাম আদায় করে নিচ্ছেন। গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিলে বা কোল্ডস্টোরেজের আশপাশে গিয়ে খোঁজ নিলে বোঝা যাবে, কত টাকায় বিকোচ্ছে এই পণ্যদ্বয়। এরপর বাজারগুলোয় কেন এই অগ্নিমূল্য, সে প্রশ্ন উঠে আসবে মানুষের মনে। এবং দেখা যাবে, সিন্ডিকেটের কাছে কতটা অসহায় হয়ে আছে মানুষের জীবন।
গরুর মাংসের দাম কমার অন্যতম কারণ ছিল, গরিব মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষও গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিল, কিংবা কিনছিল এতটাই কম, গরুর বাজারে চাহিদার চেয়ে জোগান বেড়ে গিয়েছিল অনেক। পেঁয়াজ আর আলুর দাম নাগালের মধ্যে থাকায় মানুষ হয়তো কেনা কমায়নি। কিংবা এমনও হতে পারে, দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘স্টক’ করার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করে কিনে নিচ্ছে।
নতুন আলু উঠেছে বাজারে, তারপরও পুরোনো আলুর কদর কমেনি। দামও থাকছে পঞ্চাশের ঘরে। আর পেঁয়াজ? সেঞ্চুরি করার পর আর নতুন করে ব্যাটিং করতেই নামছে না। একইভাবে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে আছে। সরকারসহ কেউই তাকে আউট করতে পারছে না।
পেঁয়াজের দাম ক্লিন বোল্ড হোক, সেটা যদি না-ও চাওয়া হয়, তার এই ছক্কা-চার মারামারির জায়গায় অন্তত মেডেন ওভার পাওয়া কিংবা ওভারপ্রতি এক-দুই রান দেওয়ার যোগ্য কোনো বোলার কি রাষ্ট্রব্যবস্থার কোথাও নেই? পেঁয়াজের দাম তিন অঙ্কে যাবে কেন, কেনই-বা ফসল ফলিয়ে কৃষক গরিব থেকে আরও গরিব হবে, আর আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে অসাধু ব্যবসায়ীরা?
আসলে বাজার থেকে এই অরাজকতা দূর করতে হলে যে শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো লক্ষণ কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এই অরাজকতা মেনে নিয়েই চলছে বাজার। সিন্ডিকেটের ঘাড়ে একটা ধাক্কা দিতে না পারলে পেঁয়াজ নামক ব্যাটসম্যান দাপটের সঙ্গেই ব্যাট করতে থাকবে!
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫