সম্পাদকীয়
রাজধানী ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে বিপজ্জনক হচ্ছে বহুতল মার্কেটগুলো। কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বিপুল মানুষের সমাগম হয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে হতাহতের আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তো থাকেই। এমনই একটি কেনাকাটার জায়গা খিলগাঁও তালতলা মার্কেট। একে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির মালিকানাধীন এই মার্কেট ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, তালতলা মার্কেটটি ১৯৮৮ সালে ৪ দশমিক ৫ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়। মার্কেটটিতে নিবন্ধিত ৮৫০টি স্থায়ী এবং ২৫০-এর বেশি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মার্কেটের সিঁড়িগুলোতে ফাটল ধরেছে এবং একাধিক দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। দোতলার ছাদের কিছু অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে এবং বেরিয়ে পড়েছে রড। বোঝাই যাচ্ছে, মার্কেটটির অবস্থা ভালো না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ডিএনসিসি মার্কেট ভাঙার যেসব কারণ বলেছে, তা যৌক্তিক। কিন্তু বিপরীতে ব্যবসায়ীদের বক্তব্যও অযৌক্তিক নয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিটি করপোরেশন ৯৯ বছরের জন্য দোকান বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ মার্কেট ভবনের বয়স মাত্র ৩৫ বছর। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে ছাদের কিছু জায়গা ড্যামেজ হয়ে গেছে। তারা প্রতিবছর ৭৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও মার্কেট সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এখন যদি মার্কেট ভেঙে ফেলা হয় এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কোনো জায়গার ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে তাঁরা কীভাবে পরিবার নিয়ে বাঁচবেন? ব্যবসায়ীরা তো এত দিন ধরে এই মার্কেটেই ব্যবসা করে আসছেন। তাঁদের অন্য পেশায় যাওয়ারও হয়তো তেমন সুযোগ
নেই। ডিএনসিসি যে মার্কেট সংস্কারে এত বছর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, সেটা স্পষ্ট। শুধু তারা প্রতিবছর মাসিক ভাড়া আর রাজস্ব আদায় করেছে মাত্র।
২০১৩ সালে বুয়েটের একদল প্রকৌশলী মার্কেটটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা মার্কেটের মধ্যে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। ফলে মার্কেটের ছাদ, দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা দ্রুত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে মার্কেটটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বোঝা গেল, ব্যবসায়ীদের অভিযোগও অসত্য নয়।
বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে ঢাকার মার্কেটগুলোর যে চালচিত্র বেরিয়ে এসেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। কেবল তালতলা মার্কেট নয়, নতুন-পুরোনো অনেক মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো নজরদারি না করার কারণে তালতলা মার্কেট পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। তবে হঠাৎ করে মার্কেট ভেঙে ফেলা যৌক্তিক সমাধান বয়ে আনবে না। আগে ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর না হয় মার্কেট ভাঙা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশা।
রাজধানী ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে বিপজ্জনক হচ্ছে বহুতল মার্কেটগুলো। কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বিপুল মানুষের সমাগম হয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে হতাহতের আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তো থাকেই। এমনই একটি কেনাকাটার জায়গা খিলগাঁও তালতলা মার্কেট। একে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির মালিকানাধীন এই মার্কেট ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, তালতলা মার্কেটটি ১৯৮৮ সালে ৪ দশমিক ৫ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়। মার্কেটটিতে নিবন্ধিত ৮৫০টি স্থায়ী এবং ২৫০-এর বেশি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মার্কেটের সিঁড়িগুলোতে ফাটল ধরেছে এবং একাধিক দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। দোতলার ছাদের কিছু অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে এবং বেরিয়ে পড়েছে রড। বোঝাই যাচ্ছে, মার্কেটটির অবস্থা ভালো না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ডিএনসিসি মার্কেট ভাঙার যেসব কারণ বলেছে, তা যৌক্তিক। কিন্তু বিপরীতে ব্যবসায়ীদের বক্তব্যও অযৌক্তিক নয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিটি করপোরেশন ৯৯ বছরের জন্য দোকান বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ মার্কেট ভবনের বয়স মাত্র ৩৫ বছর। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে ছাদের কিছু জায়গা ড্যামেজ হয়ে গেছে। তারা প্রতিবছর ৭৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও মার্কেট সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এখন যদি মার্কেট ভেঙে ফেলা হয় এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কোনো জায়গার ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে তাঁরা কীভাবে পরিবার নিয়ে বাঁচবেন? ব্যবসায়ীরা তো এত দিন ধরে এই মার্কেটেই ব্যবসা করে আসছেন। তাঁদের অন্য পেশায় যাওয়ারও হয়তো তেমন সুযোগ
নেই। ডিএনসিসি যে মার্কেট সংস্কারে এত বছর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, সেটা স্পষ্ট। শুধু তারা প্রতিবছর মাসিক ভাড়া আর রাজস্ব আদায় করেছে মাত্র।
২০১৩ সালে বুয়েটের একদল প্রকৌশলী মার্কেটটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা মার্কেটের মধ্যে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। ফলে মার্কেটের ছাদ, দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা দ্রুত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে মার্কেটটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বোঝা গেল, ব্যবসায়ীদের অভিযোগও অসত্য নয়।
বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে ঢাকার মার্কেটগুলোর যে চালচিত্র বেরিয়ে এসেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। কেবল তালতলা মার্কেট নয়, নতুন-পুরোনো অনেক মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো নজরদারি না করার কারণে তালতলা মার্কেট পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। তবে হঠাৎ করে মার্কেট ভেঙে ফেলা যৌক্তিক সমাধান বয়ে আনবে না। আগে ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর না হয় মার্কেট ভাঙা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪