Ajker Patrika

গণতন্ত্র নিয়ে আশা ও উদ্বেগ

সম্পাদকীয়
গণতন্ত্র নিয়ে আশা ও উদ্বেগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় আছে। দেশের একটি বড় দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। এই নির্বাচনকে একতরফা বলা হলেও, প্রচারণার শুরুতেই বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে।

নির্বাচনে নাশকতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সভায় বলেছেন, ‘গণতন্ত্রকে আমাদের আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এর যদি ব্যত্যয় ঘটে, ভবিষ্যতে কী হবে? বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যতটুকু উন্নতি করেছি, তা থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, গণতন্ত্র দুর্বল হলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। তাঁর এই আশঙ্কা হয়তো অমূলক নয়। গণতন্ত্রের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আকুলতার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে দুকথা না বললেই নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্র কতটুকু কার্যকর আছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে, নাকি দুর্বল হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি মজবুত করেছে, নাকি একধরনের কর্তৃত্বপরায়ণতার বিস্তার ঘটছে, সে প্রশ্নও অনেকের মধ্যেই আছে।

পৃথিবীজুড়েই এখন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংকট চলছে। একটি বিদেশি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের মতে, পৃথিবীর কমপক্ষে শতকরা ৭২ শতাংশ মানুষ এখন কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অধীনে বাস করছে। গণতন্ত্রের জন্য দেশে দেশে সংগ্রাম হয়, হচ্ছেও। তারপরও অধিকাংশ মানুষকে কেন গণতন্ত্রহীন থাকতে হচ্ছে, তা একটি বড় প্রশ্ন? তাই প্রশ্ন আসে, গণতন্ত্র আসলে কী? গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে?

আমরা জানি, যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ন্যূনতম কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো এর অন্যতম। নির্বাচন মানুষকে তাদের পছন্দমতো রাজনৈতিক দল বা আদর্শ বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু এটাও ঠিক যে নির্বাচনই গণতন্ত্রের একমাত্র হাতিয়ার নয়। আমাদের দেশে যে নির্বাচন-প্রতিক্রিয়ার সরকার গঠিত হচ্ছে, তার দুর্বলতা আর গোপন কিছু নয়। কিন্তু মতপার্থক্যের দেয়াল এতই উঁচু যে দুর্বলতাগুলো সবাই একভাবে দেখি না। বিরোধ ও বিভেদ এতটাই প্রবল যে গণতন্ত্রের সংজ্ঞায়ও একমত হওয়া যাচ্ছে না।

আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না, সে প্রশ্ন যখন অনেকের মনে, তখন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করবেন। নিজের দলের মধ্যে ঐক্য রাখবেন। যত প্রার্থী আছে সবাই জনসংযোগ করুক, স্বাধীন মতো। জনগণকে সুযোগ দেবেন, তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে ভোট দেবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে-ই নির্বাচিত হবেন।’ কোনো

সংঘাত হলে, দলের কেউ যদি করে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না; বরং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কথা ও কাজে এক হওয়ার মতো নেতৃত্ব কী আর পাওয়া যাবে না?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ২ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত