সম্পাদকীয়
পরিকল্পনাহীন সেতু নির্মাণ করা হলে তা এলাকার জনগণের কোনো কাজে আসে না। এ রকম একটা অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীর ওপর। সেতুটি খুবই ছোট করে নির্মাণ করার কারণে তা এলাকাবাসীর উপকারে আসছে না। এ নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করার পর দুই বছর ধরে পড়ে আছে। কারণ, সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই সেতু থেকে ৩০ মিটার দূরে নতুন করে আরেকটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে তিন কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্যটি আরও কৌতূহলোদ্দীপক। তারা বলছে, সেতু নির্মাণের বাজেটের সময় আলাদাভাবে সংযোগ সড়কের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
অতীতেও আমাদের দেশে এ রকম অসংখ্য সেতুর হদিস পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো জনবসতি বা রাস্তা নেই, সেখানে সেতু তৈরি করার অনেক নজির রয়েছে। যারা এসব সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পাচ্ছে, তারা জনগণের কথা যে ভাবে না, তা স্পষ্ট। সেতুর নামে যেখানে খুশি সেখানে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে জনগণের করের টাকা কীভাবে নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়, তারা সেই চিন্তায় নিমগ্ন থাকে।
অথচ দেশের অনেক জায়গায় সেতুর প্রয়োজন হলেও সেই সব জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে বছরের পর বছর চলে গেলেও কারও কোনো দুশ্চিন্তা হয় না। ফলে বাধ্য হয়েই ওই সব এলাকার জনগণকে বাঁশের সাঁকো কিংবা কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী, খাল ইত্যাদি পার হতে দেখা যায়। আবার সংস্কারের অভাবে অনেক সেতু জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
দেশের মানুষের সহজ যোগাযোগের কথা চিন্তা করে সরকারি উদ্যোগে অনেক সেতুই নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতু আদৌ জনগণের কল্যাণে আসছে কি না, তা নিয়ে মনে হয় কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই ভাবে না। তবে সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী নিজেদের লাভের জন্য এ ধরনের অপকর্ম করছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতু নির্মাণের নামে জনগণের অর্থের অপচয় বন্ধ করতে হবে, জড়িত লোভী-অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে—এমন দাবি নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু নয়, বরং যৌক্তিক। আগেও যখন এ ধরনের খবর সামনে এসেছে, তখন যদি লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। সেতু নির্মাণ করতে হবে প্রকৃত অর্থেই জনগণের কল্যাণে। যেখানে সেতু থাকলে মানুষের কল্যাণ হবে, অর্থনীতি গতি পাবে, সেখানেই সেতু নির্মাণ করা হবে যথার্থ।
পরিকল্পনাহীন সেতু নির্মাণ করা হলে তা এলাকার জনগণের কোনো কাজে আসে না। এ রকম একটা অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীর ওপর। সেতুটি খুবই ছোট করে নির্মাণ করার কারণে তা এলাকাবাসীর উপকারে আসছে না। এ নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করার পর দুই বছর ধরে পড়ে আছে। কারণ, সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই সেতু থেকে ৩০ মিটার দূরে নতুন করে আরেকটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে তিন কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্যটি আরও কৌতূহলোদ্দীপক। তারা বলছে, সেতু নির্মাণের বাজেটের সময় আলাদাভাবে সংযোগ সড়কের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
অতীতেও আমাদের দেশে এ রকম অসংখ্য সেতুর হদিস পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো জনবসতি বা রাস্তা নেই, সেখানে সেতু তৈরি করার অনেক নজির রয়েছে। যারা এসব সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পাচ্ছে, তারা জনগণের কথা যে ভাবে না, তা স্পষ্ট। সেতুর নামে যেখানে খুশি সেখানে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে জনগণের করের টাকা কীভাবে নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়, তারা সেই চিন্তায় নিমগ্ন থাকে।
অথচ দেশের অনেক জায়গায় সেতুর প্রয়োজন হলেও সেই সব জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে বছরের পর বছর চলে গেলেও কারও কোনো দুশ্চিন্তা হয় না। ফলে বাধ্য হয়েই ওই সব এলাকার জনগণকে বাঁশের সাঁকো কিংবা কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী, খাল ইত্যাদি পার হতে দেখা যায়। আবার সংস্কারের অভাবে অনেক সেতু জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
দেশের মানুষের সহজ যোগাযোগের কথা চিন্তা করে সরকারি উদ্যোগে অনেক সেতুই নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতু আদৌ জনগণের কল্যাণে আসছে কি না, তা নিয়ে মনে হয় কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই ভাবে না। তবে সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী নিজেদের লাভের জন্য এ ধরনের অপকর্ম করছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতু নির্মাণের নামে জনগণের অর্থের অপচয় বন্ধ করতে হবে, জড়িত লোভী-অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে—এমন দাবি নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু নয়, বরং যৌক্তিক। আগেও যখন এ ধরনের খবর সামনে এসেছে, তখন যদি লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। সেতু নির্মাণ করতে হবে প্রকৃত অর্থেই জনগণের কল্যাণে। যেখানে সেতু থাকলে মানুষের কল্যাণ হবে, অর্থনীতি গতি পাবে, সেখানেই সেতু নির্মাণ করা হবে যথার্থ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫