তেলের বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে সৌদি আরামকোর আয়েও। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ৪.৬% হ্রাস পেয়েছে। বিক্রি কমে যাওয়া ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেলের দাম পড়তির দিকে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওপেক+ দেশের উৎপাদন বাড়া
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে আইএমএফ এবং নতুন করে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহনশীলতা কর্মসূচিও অনুমোদন দিয়েছে। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা বাড়লেও এই অর্থ ছাড় পাকিস্তান-ভারত সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ঋণ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া এবং ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শুল্ক হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ চীন। তবে রপ্তানির তথ্য বলছে, ট্রাম্পের এমন শুল্কের পরও চীনের অর্থনীতি নতুন বার্তা দিচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে পাকিস্তান সরকার ৬০ দিনের জন্য সোনা, রত্নপাথর ও গয়না রপ্তানি-আমদানির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বলছে, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকলে তাদের বছরে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। ২০১৯ সালে এমন একটি ঘটনায় ভারতীয় এয়ারলাইনসের ৮২ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া রুট বদল করায় জ্বালানি খরচ বাড়ছে। কিছু ফ্লাইটে মাঝপথে জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামতে হচ্ছে, যেমন দিল্লি থেকে নিউইয়র্কের বিমান ভিয়
আদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে আইএমএফের পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে প্রভাব পড়বে উৎপাদন ও সেবা খাতে।
গত ১৫ বছরে লোপাটের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ: প্রস্তুতি ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গেস্ট অব অনার হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষের রেকর্ড উচ্চতার শুল্কের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে আরও ধীর করবে।
চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
ভারতের অন্যান্য অংশে গত ডিসেম্বরেই চালের দাম কমেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে রপ্তানি চালু থাকায় পূর্বাঞ্চলে দাম বেশি ছিল।
এই অবস্থায় বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে, আগামী এক বছরের জন্য মার্কিন মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রাখা যেতে পারে এবং পরবর্তী চার বছরের জন্য এটি আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও কিছুই নিশ্চিত নয়, তবে আমরা যদি ‘ডাঙায় আটকে পড়ি’ অর্থাৎ মন্দার মধ্যে পড়েই যাই, তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তি হলে যা চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে, সেই দেশের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ যখন বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে, তখন চীনের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন চাপ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বর্ধিত শুল্ক এড়াতে পণ্যের প্রকৃত উৎস গোপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার নামে রপ্তানির চেষ্টা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো। এরই মধ্যে ২ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানিতে এ ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে ৯৭ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের বলি হলো বোয়িং! চীনের একটি এয়ারলাইনসের জন্য তৈরি একটি বোয়িং জেট বিমান আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির উৎপাদন কেন্দ্রে ফেরত এসেছে। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের জেরেই এমন ঘটনা ঘটল।
বিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...