আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
এ নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিট বা গোপনে তেল-গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইইউ। এ জাহাজগুলো পশ্চিমা মূল্যসীমা এড়িয়ে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে ইউক্রেন সহায়তা বিষয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপ রাশিয়ার তরল গ্যাস আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। এটাই তাদের যুদ্ধ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। ইউক্রেনের জনগণ ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
২০২৪ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল ইউরোপ। এতে ইউক্রেনের পক্ষে ইইউর অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়, কিন্তু লাভবান হয় রাশিয়া। অবশেষে রাশিয়ার সেই গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইইউ এবার ১১৭টি শ্যাডো ফ্লিট ট্যাংকার বা ছায়া বহর যুক্ত করেছে। এ নিয়ে রাশিয়ার মোট ৫৫৮টি জাহাজ ইউরোপীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি ছায়া বহর রয়েছে। এগুলো মূলত পুরোনো জাহাজ, এগুলোর কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই। রাশিয়া এই জাহাজগুলো ব্যবহার করে পশ্চিমা মূল্যসীমার চেয়ে বেশি বা কম দামে চীন ও ভারতে তেল পৌঁছে দেয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো সেই সীমা আরও কমায়।
১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কর্মরত রুশ কূটনীতিকেরা আর স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না। অন্য সদস্য রাষ্ট্রে যেতে চাইলে আগেই সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, রুশ এলএনজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপকে রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভরতা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হলে রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
ইইউর সিদ্ধান্তটি এসেছে স্লোভাকিয়ার ভেটো প্রত্যাহারের পরপরই এবং রসনেফট ও লুকঅয়েল নামের রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর। ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পদক্ষেপ।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডার লিয়েন জানান, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয় পক্ষ থেকে রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট বার্তা।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যোগ দেবেন। ইউক্রেনকে সমর্থনের অঙ্গীকার জোরালোভাবে তুলে ধরতে এটি আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারে (বেলজিয়ামে) রাশিয়ার প্রায় ১৮৩ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৫৯ বিলিয়ন পাউন্ড) আটকা আছে। তবে এই তহবিলের নিরাপত্তা ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেলজিয়াম। আজ ব্রাসেলসে পৌঁছে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট দে ওয়েভার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি এই সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তিও দেখিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও কেউ কোনো দেশের আটক করা সম্পদে হাত দেয়নি। তাই এটি অত্যন্ত গুরুতর পদক্ষেপ।’

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
এ নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিট বা গোপনে তেল-গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইইউ। এ জাহাজগুলো পশ্চিমা মূল্যসীমা এড়িয়ে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে ইউক্রেন সহায়তা বিষয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপ রাশিয়ার তরল গ্যাস আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। এটাই তাদের যুদ্ধ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। ইউক্রেনের জনগণ ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
২০২৪ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল ইউরোপ। এতে ইউক্রেনের পক্ষে ইইউর অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়, কিন্তু লাভবান হয় রাশিয়া। অবশেষে রাশিয়ার সেই গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইইউ এবার ১১৭টি শ্যাডো ফ্লিট ট্যাংকার বা ছায়া বহর যুক্ত করেছে। এ নিয়ে রাশিয়ার মোট ৫৫৮টি জাহাজ ইউরোপীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি ছায়া বহর রয়েছে। এগুলো মূলত পুরোনো জাহাজ, এগুলোর কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই। রাশিয়া এই জাহাজগুলো ব্যবহার করে পশ্চিমা মূল্যসীমার চেয়ে বেশি বা কম দামে চীন ও ভারতে তেল পৌঁছে দেয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো সেই সীমা আরও কমায়।
১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কর্মরত রুশ কূটনীতিকেরা আর স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না। অন্য সদস্য রাষ্ট্রে যেতে চাইলে আগেই সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, রুশ এলএনজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপকে রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভরতা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হলে রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
ইইউর সিদ্ধান্তটি এসেছে স্লোভাকিয়ার ভেটো প্রত্যাহারের পরপরই এবং রসনেফট ও লুকঅয়েল নামের রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর। ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পদক্ষেপ।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডার লিয়েন জানান, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয় পক্ষ থেকে রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট বার্তা।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যোগ দেবেন। ইউক্রেনকে সমর্থনের অঙ্গীকার জোরালোভাবে তুলে ধরতে এটি আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারে (বেলজিয়ামে) রাশিয়ার প্রায় ১৮৩ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৫৯ বিলিয়ন পাউন্ড) আটকা আছে। তবে এই তহবিলের নিরাপত্তা ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেলজিয়াম। আজ ব্রাসেলসে পৌঁছে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট দে ওয়েভার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি এই সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তিও দেখিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও কেউ কোনো দেশের আটক করা সম্পদে হাত দেয়নি। তাই এটি অত্যন্ত গুরুতর পদক্ষেপ।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
এ নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিট বা গোপনে তেল-গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইইউ। এ জাহাজগুলো পশ্চিমা মূল্যসীমা এড়িয়ে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে ইউক্রেন সহায়তা বিষয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপ রাশিয়ার তরল গ্যাস আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। এটাই তাদের যুদ্ধ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। ইউক্রেনের জনগণ ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
২০২৪ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল ইউরোপ। এতে ইউক্রেনের পক্ষে ইইউর অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়, কিন্তু লাভবান হয় রাশিয়া। অবশেষে রাশিয়ার সেই গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইইউ এবার ১১৭টি শ্যাডো ফ্লিট ট্যাংকার বা ছায়া বহর যুক্ত করেছে। এ নিয়ে রাশিয়ার মোট ৫৫৮টি জাহাজ ইউরোপীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি ছায়া বহর রয়েছে। এগুলো মূলত পুরোনো জাহাজ, এগুলোর কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই। রাশিয়া এই জাহাজগুলো ব্যবহার করে পশ্চিমা মূল্যসীমার চেয়ে বেশি বা কম দামে চীন ও ভারতে তেল পৌঁছে দেয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো সেই সীমা আরও কমায়।
১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কর্মরত রুশ কূটনীতিকেরা আর স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না। অন্য সদস্য রাষ্ট্রে যেতে চাইলে আগেই সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, রুশ এলএনজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপকে রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভরতা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হলে রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
ইইউর সিদ্ধান্তটি এসেছে স্লোভাকিয়ার ভেটো প্রত্যাহারের পরপরই এবং রসনেফট ও লুকঅয়েল নামের রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর। ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পদক্ষেপ।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডার লিয়েন জানান, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয় পক্ষ থেকে রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট বার্তা।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যোগ দেবেন। ইউক্রেনকে সমর্থনের অঙ্গীকার জোরালোভাবে তুলে ধরতে এটি আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারে (বেলজিয়ামে) রাশিয়ার প্রায় ১৮৩ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৫৯ বিলিয়ন পাউন্ড) আটকা আছে। তবে এই তহবিলের নিরাপত্তা ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেলজিয়াম। আজ ব্রাসেলসে পৌঁছে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট দে ওয়েভার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি এই সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তিও দেখিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও কেউ কোনো দেশের আটক করা সম্পদে হাত দেয়নি। তাই এটি অত্যন্ত গুরুতর পদক্ষেপ।’

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
এ নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিট বা গোপনে তেল-গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইইউ। এ জাহাজগুলো পশ্চিমা মূল্যসীমা এড়িয়ে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে ইউক্রেন সহায়তা বিষয়ে বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপ রাশিয়ার তরল গ্যাস আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘোষণা দেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। এটাই তাদের যুদ্ধ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। ইউক্রেনের জনগণ ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
২০২৪ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি কিনেছিল ইউরোপ। এতে ইউক্রেনের পক্ষে ইইউর অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়, কিন্তু লাভবান হয় রাশিয়া। অবশেষে রাশিয়ার সেই গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইইউ এবার ১১৭টি শ্যাডো ফ্লিট ট্যাংকার বা ছায়া বহর যুক্ত করেছে। এ নিয়ে রাশিয়ার মোট ৫৫৮টি জাহাজ ইউরোপীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার এ ধরনের ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি ছায়া বহর রয়েছে। এগুলো মূলত পুরোনো জাহাজ, এগুলোর কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই। রাশিয়া এই জাহাজগুলো ব্যবহার করে পশ্চিমা মূল্যসীমার চেয়ে বেশি বা কম দামে চীন ও ভারতে তেল পৌঁছে দেয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো সেই সীমা আরও কমায়।
১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কর্মরত রুশ কূটনীতিকেরা আর স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না। অন্য সদস্য রাষ্ট্রে যেতে চাইলে আগেই সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, রুশ এলএনজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপকে রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভরতা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হলে রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
ইইউর সিদ্ধান্তটি এসেছে স্লোভাকিয়ার ভেটো প্রত্যাহারের পরপরই এবং রসনেফট ও লুকঅয়েল নামের রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর। ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পদক্ষেপ।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডার লিয়েন জানান, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয় পক্ষ থেকে রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট বার্তা।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যোগ দেবেন। ইউক্রেনকে সমর্থনের অঙ্গীকার জোরালোভাবে তুলে ধরতে এটি আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারে (বেলজিয়ামে) রাশিয়ার প্রায় ১৮৩ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৫৯ বিলিয়ন পাউন্ড) আটকা আছে। তবে এই তহবিলের নিরাপত্তা ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেলজিয়াম। আজ ব্রাসেলসে পৌঁছে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট দে ওয়েভার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি এই সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তিও দেখিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও কেউ কোনো দেশের আটক করা সম্পদে হাত দেয়নি। তাই এটি অত্যন্ত গুরুতর পদক্ষেপ।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবশেষে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্যাকেজে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এলএনজি দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস বলে বিবেচিত।
২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে