আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে পোশাক আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মেটিয়াবুরুজ ও বারাসতের পোশাক উৎপাদন হাবে শঙ্কার ছায়া নেমে এসেছে। এর বাইরে, ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কও এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিতে যেন ‘দুই আঘাত’ একসঙ্গে হেনেছে।
উৎপাদকেরা জানাচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য কলকাতা ও মুম্বাইয়ের এজেন্টরা এই কেন্দ্রগুলো থেকে পোশাক কেনেন। এখন তারা অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মেটিয়াবুরুজের পোশাক ব্যবসায়ী সরফরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা সরাসরি রপ্তানি করি না। কলকাতা ও মুম্বাইয়ের এজেন্টরা আমাদের কাছ থেকে কিনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। কিন্তু শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর থেকে তারা আর মার্কিন বাজারে কনসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছেন না। এতে আমাদের পোশাক উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ভারতের অন্যতম বৃহৎ পোশাক উৎপাদনকেন্দ্র মেটিয়াবুরুজে ১৫ হাজারেরও বেশি কারখানা রয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। অন্যদিকে বারাসতের রিজেন্ট গার্মেন্ট অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কে প্রায় ২৫০টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান মেটিয়াবুরুজভিত্তিক, যারা রপ্তানির সুবিধার জন্য বারাসতে শাখা খোলেন। কলকাতা থেকে যে পোশাক রপ্তানি হয়, তার প্রায় ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায়।
পোশাক ব্যবসায়ী দাইয়ান হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে গত বছর আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও অর্ডারের পরিমাণ আগের অবস্থায় ফেরেনি। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আমাদের সমস্যাকে আরও বাড়াবে। এখন আমাদের দেশীয় বাজারের ওপর নির্ভর করতে হবে।’
মেটিয়াবুরুজ ও বারাসতের পোশাক উৎপাদকেরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পোশাকের বড় অর্ডার পান। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পোশাক, শার্ট, ফ্রক ও দেশি পোশাক অন্যতম। আরিফ মণ্ডল নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রপ্তানি অর্ডার অন্তত ৫ শতাংশ কমে গেছে।’
কলকাতার রপ্তানিকারক প্রভাস আগরওয়াল জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত কনসাইনমেন্ট আমরা আটকে রেখেছি। যদি তারা অর্ডার বাতিল করত, তবে আমরা সেই পোশাক দেশীয় বাজারে ছেড়ে দিতে পারতাম।’
পশ্চিমবঙ্গ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘শুল্ক সমস্যার তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান আছে বলে মনে হয় না। আমাদের দেশীয় বাজারের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে এবং বিকল্প বিদেশি বাজার খুঁজতে হবে। অর্ডার আটকে থাকায় এজেন্টদের পাওনাও আটকে গেছে।’
অ্যামরিট এক্সপোর্টসের এমডি ও অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনিল বুচাসিয়া বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি রুপি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলাম। আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত করতে হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে পোশাক আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মেটিয়াবুরুজ ও বারাসতের পোশাক উৎপাদন হাবে শঙ্কার ছায়া নেমে এসেছে। এর বাইরে, ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কও এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিতে যেন ‘দুই আঘাত’ একসঙ্গে হেনেছে।
উৎপাদকেরা জানাচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য কলকাতা ও মুম্বাইয়ের এজেন্টরা এই কেন্দ্রগুলো থেকে পোশাক কেনেন। এখন তারা অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মেটিয়াবুরুজের পোশাক ব্যবসায়ী সরফরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা সরাসরি রপ্তানি করি না। কলকাতা ও মুম্বাইয়ের এজেন্টরা আমাদের কাছ থেকে কিনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। কিন্তু শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর থেকে তারা আর মার্কিন বাজারে কনসাইনমেন্ট পাঠাচ্ছেন না। এতে আমাদের পোশাক উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ভারতের অন্যতম বৃহৎ পোশাক উৎপাদনকেন্দ্র মেটিয়াবুরুজে ১৫ হাজারেরও বেশি কারখানা রয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। অন্যদিকে বারাসতের রিজেন্ট গার্মেন্ট অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কে প্রায় ২৫০টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান মেটিয়াবুরুজভিত্তিক, যারা রপ্তানির সুবিধার জন্য বারাসতে শাখা খোলেন। কলকাতা থেকে যে পোশাক রপ্তানি হয়, তার প্রায় ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায়।
পোশাক ব্যবসায়ী দাইয়ান হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে গত বছর আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও অর্ডারের পরিমাণ আগের অবস্থায় ফেরেনি। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আমাদের সমস্যাকে আরও বাড়াবে। এখন আমাদের দেশীয় বাজারের ওপর নির্ভর করতে হবে।’
মেটিয়াবুরুজ ও বারাসতের পোশাক উৎপাদকেরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পোশাকের বড় অর্ডার পান। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পোশাক, শার্ট, ফ্রক ও দেশি পোশাক অন্যতম। আরিফ মণ্ডল নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রপ্তানি অর্ডার অন্তত ৫ শতাংশ কমে গেছে।’
কলকাতার রপ্তানিকারক প্রভাস আগরওয়াল জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত কনসাইনমেন্ট আমরা আটকে রেখেছি। যদি তারা অর্ডার বাতিল করত, তবে আমরা সেই পোশাক দেশীয় বাজারে ছেড়ে দিতে পারতাম।’
পশ্চিমবঙ্গ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘শুল্ক সমস্যার তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান আছে বলে মনে হয় না। আমাদের দেশীয় বাজারের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে এবং বিকল্প বিদেশি বাজার খুঁজতে হবে। অর্ডার আটকে থাকায় এজেন্টদের পাওনাও আটকে গেছে।’
অ্যামরিট এক্সপোর্টসের এমডি ও অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনিল বুচাসিয়া বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি রুপি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলাম। আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত করতে হয়েছে।’
প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অনুমোদন পাচ্ছে কৃষিবিদ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড নামে নতুন একটি নন-লাইফ বিমা কোম্পানি। মিরপুরের কাজীপাড়ায় সদর দপ্তর থাকা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ড. মো. আলী আফজাল। বর্তমানে দেশে ৪৬টি নন-লাইফ অর্থাৎ সাধারণ বিমা কোম্পানি রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকরপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকগুলোর যেখানে সিএসআর খাতে মোট খরচ হয়েছিল ৩০৭ কোটি, চলতি বছরের একই সময়ে সে ব্যয় অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে মাত্র ১৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেলন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চীনের শিপইয়ার্ডে তৈরি দুটি নতুন জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল বুধবার এক সভায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।
১৩ ঘণ্টা আগে