প্রতিবছরই স্মার্টফোনের নতুন মডেল আনছে কোম্পানিগুলো। নতুন সংস্করণে যুক্ত হচ্ছে আরও উন্নতমানের হার্ডওয়্যার এবং নতুন ফিচার। ফলে মানুষ এখন আর একটি ফোন সাধারণত বেশিদিন ব্যবহার করেন না। তা ছাড়া নিয়মিত সফটওয়্যার ও সিকিউরিটি আপডেট বন্ধ হয়ে গেলে ফোনটি আর নিরাপদও থাকে না।
তবে এ সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে ফেয়ারফোন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন মডেল টানা ১০ বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
মেরামতযোগ্য ডিভাইস তৈরিতে পরিচিত ফেয়ারফোন। এবার তারা বাজারে এনেছে ফেয়ারফোন ৫। এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় চিকন, কম ওজনের এবং টেকসই। ব্যবহারের যোগ্যতা এবং মেরামতের যোগ্যতার দিক থেকে এটি অন্যগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে।
এর বাজারমূল্য ৬১৯ পাউন্ড বা ৭৭১ ডলার। অর্থাৎ তুলনামূলক ব্যয়বহুলই বলা যায়। তবে, বাড়তি সুবিধা হিসেবে থাকছে ১০ বছরের সফটওয়্যার সাপোর্ট। এ ধরনের পদক্ষেপ স্মার্টফোনের ইতিহাসে প্রথম হলেও, প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন এই ডিভাইসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো এর স্ক্রিন—এবারের ডিসপ্লে ওএলইডি প্রযুক্তির। মসৃণ স্ক্রলিং নিশ্চিত করতে ৯০ হার্টজের স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। সব পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার জন্য ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। তবে উজ্জ্বল সূর্যের আলোতে খাপ খাওয়াতে কিছুটা বেগ পেতে হবে।
টেকসই মনে হলেও আধুনিক ডিজাইনের তুলনায় এর নকশা কিছুটা সেকেলে মনে হতে পারে। এর পানি প্রতিরোধী ক্ষমতা আইপি ৫৫। অর্থাৎ এটি বৃষ্টি, স্প্রে বা পানির ঝাপটা সয়ে নিতে পারবে। কিন্তু সুইমিং পুলে পড়ে গেলে বিকল হতে পারে।
এর স্টেরিও স্পিকারের মান বেশ ভালো। তবে আইফোন বা স্যামসাংয়ের সঙ্গে তুলনা করলে হতাশ হতে হবে। ভাইব্রেশন মোটর মোটামুটি শক্তিশালী। কিবোর্ড ট্যাপ এবং অ্যালার্টের সময় ভাইব্রেশন সন্তোষজনক নয়। অডিও কল কোয়ালিটি বেশ ভালো। ফোনে একসঙ্গে দুটি লাইনে একটি ন্যানো সিম ও একটি ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।
ফোনটির বৈশিষ্ট্য
স্ক্রিন: ৬ দশমিক ৪৬ ইঞ্চি কিউএইচডি+ওএলইডি (৪৬০ পিপিআই)
প্রসেসর: কোয়ালকম কিউসিএম ৬৪৯০
র্যাম: ৮ জিবি
স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি+মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট
অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক ফেয়ারফোন ওএস
ক্যামেরা: ডুয়াল ৫০ মেগাপিক্সেল, ৫০ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
কানেকটিভিটি: ৫ জি, ই-সিম+ন্যানোসিম, ওয়াইফাই ৬ ই, এসএফসি, ব্লুটুথ ৫.২ ও জিপিএস
পানি প্রতিরোধ: আইপি ৫৫ (স্প্রে/স্প্ল্যাশ)
ডাইমেনশনস: ১৬১.৬x৭৫.৮৩x৯.৬ মিলিমিটার
ওজন: ২১২ গ্রাম
দীর্ঘমেয়াদি চিপ ও অপসারণযোগ্য ব্যাটারি
আগের মডেলগুলোর চেয়ে দ্রুতগতির এই ডিভাইস মধ্যম মানের গেম খেলার জন্য উপযোগী। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটির দীর্ঘমেয়াদি সেবা—অন্তত পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট ও আট বছরের সিকিউরিটি আপডেটের নিশ্চয়তা রয়েছে। যেকোনো স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি প্রথম।
স্মার্টফোন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রতিবছরই স্মার্টফোনের নতুন মডেল আনছে কোম্পানিগুলো। নতুন সংস্করণে যুক্ত হচ্ছে আরও উন্নতমানের হার্ডওয়্যার এবং নতুন ফিচার। ফলে মানুষ এখন আর একটি ফোন সাধারণত বেশিদিন ব্যবহার করেন না। তা ছাড়া নিয়মিত সফটওয়্যার ও সিকিউরিটি আপডেট বন্ধ হয়ে গেলে ফোনটি আর নিরাপদও থাকে না।
তবে এ সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে ফেয়ারফোন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন মডেল টানা ১০ বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
মেরামতযোগ্য ডিভাইস তৈরিতে পরিচিত ফেয়ারফোন। এবার তারা বাজারে এনেছে ফেয়ারফোন ৫। এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় চিকন, কম ওজনের এবং টেকসই। ব্যবহারের যোগ্যতা এবং মেরামতের যোগ্যতার দিক থেকে এটি অন্যগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে।
এর বাজারমূল্য ৬১৯ পাউন্ড বা ৭৭১ ডলার। অর্থাৎ তুলনামূলক ব্যয়বহুলই বলা যায়। তবে, বাড়তি সুবিধা হিসেবে থাকছে ১০ বছরের সফটওয়্যার সাপোর্ট। এ ধরনের পদক্ষেপ স্মার্টফোনের ইতিহাসে প্রথম হলেও, প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন এই ডিভাইসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো এর স্ক্রিন—এবারের ডিসপ্লে ওএলইডি প্রযুক্তির। মসৃণ স্ক্রলিং নিশ্চিত করতে ৯০ হার্টজের স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। সব পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার জন্য ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। তবে উজ্জ্বল সূর্যের আলোতে খাপ খাওয়াতে কিছুটা বেগ পেতে হবে।
টেকসই মনে হলেও আধুনিক ডিজাইনের তুলনায় এর নকশা কিছুটা সেকেলে মনে হতে পারে। এর পানি প্রতিরোধী ক্ষমতা আইপি ৫৫। অর্থাৎ এটি বৃষ্টি, স্প্রে বা পানির ঝাপটা সয়ে নিতে পারবে। কিন্তু সুইমিং পুলে পড়ে গেলে বিকল হতে পারে।
এর স্টেরিও স্পিকারের মান বেশ ভালো। তবে আইফোন বা স্যামসাংয়ের সঙ্গে তুলনা করলে হতাশ হতে হবে। ভাইব্রেশন মোটর মোটামুটি শক্তিশালী। কিবোর্ড ট্যাপ এবং অ্যালার্টের সময় ভাইব্রেশন সন্তোষজনক নয়। অডিও কল কোয়ালিটি বেশ ভালো। ফোনে একসঙ্গে দুটি লাইনে একটি ন্যানো সিম ও একটি ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।
ফোনটির বৈশিষ্ট্য
স্ক্রিন: ৬ দশমিক ৪৬ ইঞ্চি কিউএইচডি+ওএলইডি (৪৬০ পিপিআই)
প্রসেসর: কোয়ালকম কিউসিএম ৬৪৯০
র্যাম: ৮ জিবি
স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি+মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট
অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক ফেয়ারফোন ওএস
ক্যামেরা: ডুয়াল ৫০ মেগাপিক্সেল, ৫০ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
কানেকটিভিটি: ৫ জি, ই-সিম+ন্যানোসিম, ওয়াইফাই ৬ ই, এসএফসি, ব্লুটুথ ৫.২ ও জিপিএস
পানি প্রতিরোধ: আইপি ৫৫ (স্প্রে/স্প্ল্যাশ)
ডাইমেনশনস: ১৬১.৬x৭৫.৮৩x৯.৬ মিলিমিটার
ওজন: ২১২ গ্রাম
দীর্ঘমেয়াদি চিপ ও অপসারণযোগ্য ব্যাটারি
আগের মডেলগুলোর চেয়ে দ্রুতগতির এই ডিভাইস মধ্যম মানের গেম খেলার জন্য উপযোগী। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটির দীর্ঘমেয়াদি সেবা—অন্তত পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট ও আট বছরের সিকিউরিটি আপডেটের নিশ্চয়তা রয়েছে। যেকোনো স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি প্রথম।
স্মার্টফোন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গুগল ক্রোম ইনস্টল করার সময় উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ‘এখনই নিরাপদে ব্রাউজ করুন’ লিখে সতর্ক করছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটির দাবি, ‘মাইক্রোসফট-এজ’ও ক্রোমের মতো একই প্রযুক্তিতে চলে, তবে এর সঙ্গে আছে মাইক্রোসফটের বিশ্বাসযোগ্যতা।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের এয়ারপডসে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন যুগান্তকারী ফিচার ‘লাইভ ট্রান্সলেশন’। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোনকলের পাশাপাশি সামনে থাকা ব্যক্তির কথাও অনুবাদ করে দেবে এয়ারপডসটি।
১০ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছবিকে এবার সরাসরি থ্রিডি মডেলে রূপ দেওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি এনেছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট থ্রিডি’ নামের এই নতুন এআই টুলটি তৈরি করেছে কোপাইলট ল্যাবস। এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ইমেজ, পিএনজি বা জেপিজি ফরম্যাটের ১০ মেগাবাইটের নিচের যেকোনো ছবি দিয়ে তৈরি করা যাবে থ্রিডি মডেল।
১২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে