Ajker Patrika

অনুশোচনায় ভুগছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ০১ মে ২০২৩, ১৯: ৫৯
অনুশোচনায় ভুগছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’

জিওফ্রে হিন্টনকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক উন্নতির পেছনে তাঁর রয়েছে বিশাল অবদান। নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজের জন্য পেয়েছেন কম্পিউটিংয়ের নোবেল পুরস্কার হিসেবে খ্যাত ‘এসিএম এএম ট্যুরিং’ অ্যাওয়ার্ড। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গুগলে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া তাঁর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এআইয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে নির্দ্বিধায় কথা বলতেই গুগলের চাকরি ছেড়েছেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে নিজের অবদান নিয়ে অনুশোচনায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘আমি সাধারণ অজুহাত দিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিই। যদি আমি না করতাম, তবে অন্য কেউ করত। অসৎ কাজের উদ্দেশ্যে খারাপ মানুষকে এটি (এআই) ব্যবহার থেকে বিরত রাখার ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।’ গত মাসেই গুগলের চাকরি ছেড়ে দেন হিন্টন। গত বৃহস্পতিবার টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে কী নিয়ে কথা হয় তা তিনি জানাননি।

আজীবন একাডেমিক কাজে ব্যস্ত থাকা হিন্টন গুগলে যোগ দেন তাঁর দুই ছাত্রের সঙ্গে শুরু করা কোম্পানি গুগলের অধিগ্রহণের পর। সেই দুই ছাত্রের একজন এখন ওপেন এআইয়ের প্রধান বিজ্ঞানী। হিন্টন এবং তাঁর দুই ছাত্র মিলে একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, যেটি নিজে নিজে হাজার হাজার ছবি বিশ্লেষণ করে কুকুর, বিড়াল ও ফুলের মতো সাধারণ বস্তুগুলো শনাক্ত করতে শিখেছিল। এ কাজটিই শেষ পর্যন্ত চ্যাটজিপিটি ও বার্ড তৈরির পথ প্রদর্শক হয়ে ওঠে।

নিউইয়র্ক টাইমসের সাক্ষাৎকারে হিন্টন জানান, মাইক্রোসফট ওপেন এআইয়ের প্রযুক্তি যুক্ত করে বিং চালুর আগ পর্যন্ত তিনি গুগলের প্রযুক্তিতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। মাইক্রোসফটের এই পদক্ষেপ গুগলের মূল ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং সার্চ জায়ান্টটির ভেতরে একটি উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

হিন্টন বলেন, ‘এই ধরনের ভয়ংকর প্রতিযোগিতা থামানো অসম্ভব হতে পারে। ফলে এমন একটি পৃথিবী তৈরি হবে, যেখানে নকল চিত্র এবং পাঠ্যের ভিড়ে কোনটি সত্য তা শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়বে।’

হিন্টনের বক্তব্যের ফলে সৃষ্ট উত্তাপ কমাতে গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এআইয়ের জন্য একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহসিকতার সঙ্গে উদ্ভাবনের পাশাপাশি আমরা ক্রমাগত উদীয়মান ঝুঁকি গুলো বুঝতে শিখছি।’

আপাতত ভুল তথ্যের বিস্তার হিন্টনের উদ্বেগের কারণ। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এআই চাকরি দখলের পাশাপাশি মানবতাকেই মুছে দেবে বলা ধারণা করছেন হিন্টন, যেহেতু এআই এরই মধ্যে কোড লিখতে এবং তা চালাতে শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত