Ajker Patrika

১০ মাসে মাইগভে ১০ লাখ সত্যায়ন হয়েছে: এটুআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি সেবার একক পোর্টাল মাইগভ। ছবি: মাইগভ ওয়েবসাইট।
সরকারি সেবার একক পোর্টাল মাইগভ। ছবি: মাইগভ ওয়েবসাইট।

সরকারি সেবার একক পোর্টাল মাইগভ-এ গত ১০ মাসে বিদেশগামী অথবা বিদেশে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নানা ধরনের ১০ লাখ ই-অ্যাপোস্টিল সত্যায়ন হয়েছে। গতকাল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রকল্প অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যাপোস্টিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সত্যায়ন পদ্ধতি, যা জন্মনিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ, বিবাহ সনদের মতো সরকারি দলিল বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার প্রক্রিয়া সহজ করে।

আগে বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। লম্বা লাইন, দালালের দৌরাত্ম্য ও অতিরিক্ত খরচের সম্মুখীন হতে হতো। ই-অ্যাপোস্টিল চালুর ফলে সেই ভোগান্তি কমে এসেছে।

এটুআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ স্বাক্ষরিত ১৯৬১ সালের অ্যাপোস্টিল কনভেনশনে পক্ষভুক্ত ১১৪টি দেশ বাংলাদেশের অ্যাপোস্টিলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই কনভেনশনে যোগ দেয় এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে অনলাইনে সেবা চালু করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গত ২৯ জানুয়ারি মাইগভ পোর্টালে ই-অ্যাপোস্টিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সেবাটি জাতীয় পর্যায়ে বিস্তৃত হয়।

দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড, সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ইনস্টিটিউট মাই গভের ই-অ্যাপোস্টিলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সব জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সেবাও এতে যুক্ত হয়েছে। ফলে ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র, জন্মনিবন্ধন, বিবাহ সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বহু ধরনের নথি এখন ঘরে বসেই অনলাইনে অ্যাপোস্টিল করা যাচ্ছে।

এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, ‘পূর্বে যেখানে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় প্রতি ডকুমেন্টে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতো, বর্তমানে সেখানে অনলাইনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ২০০ টাকা ফির মাধ্যমে একই সেবা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয় হতে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টগুলোর জন্য এ সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।’

এটুআই জানিয়েছে, ই-অ্যাপোস্টিল সেবাটি কয়েকটি স্বচ্ছ ও পুরোপুরি ডিজিটাল ধাপে সম্পন্ন হয়। ধাপগুলো হলো—মাইগভে আবেদন ও নথি আপলোড, ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের যাচাই, নিয়ন্ত্রক দপ্তর, মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সত্যতা নিশ্চিতকরণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সাইন ও কিউআর কোডসহ ই-অ্যাপোস্টিল ইস্যু করা হয়। প্রতিটি নথির কিউআর কোড স্ক্যান করে বিদেশের সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি অনলাইনে যাচাই করতে পারে। ফলে জালিয়াতির সুযোগ কমে, আস্থা বাড়ে। সময়সীমা ও খরচ, দুই দিক থেকেই এটি নাগরিকবান্ধব। আগে যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দপ্তর ও দূতাবাসে বহুবার যেতে হতো, এখন তা সাধারণত তিন থেকে পাঁচ কার্যদিবসে অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। আবেদন, ট্র্যাকিং ও নথি জমা—সব এক প্ল্যাটফর্মে; মাইগভের সহায়তা ফরম ও ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তাও মিলছে দ্রুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত