অনলাইন ডেস্ক
টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার সময়সীমা আরও ৭৫ দিন পেছালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে টিকটককে তার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিক্রির ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অন্যথায় দেশটিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাপটি।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘আমরা চাই না টিকটক বন্ধ হয়ে যাক। টিকটক এবং চীনকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছি।’ বর্তমানে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স টিকটকের মালিকানায় রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটক নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। এই সময়সীমা আজ শনিবারে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সময়সীমা অনুসারে টিকটক এখন আরও কিছুদিন সময় পাবে।
গত বছর কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় আইন পাস হয়। এ আইন অনুসারে, ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের নিয়ন্ত্রণমূলক অংশ বিক্রির জন্য বাইটড্যান্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অন্যথায় অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানায়, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নিষ্পত্তি করা বাকি এবং যেকোনো চুক্তি চীনা আইনের অধীনে অনুমোদন নিতে হবে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছিল যে, চীন গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য টিকটক ব্যবহার করতে পারে। তাই চীনা মালিকানা থেকে টিকটককে আলাদা করতে হবে।
টিকটক বন্ধ করার বিরোধিতাকারীরা দাবি করেন, এটি বাক্স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।
এদিকে, টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত শুক্রবার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে কিছু কাজ বাকি রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।’
টিকটক বিক্রির সম্ভাব্য ক্রেতা
গত বুধবার টিকটক কেনার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে একই দিনে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করার পর চুক্তিটি ভেঙে যায়। কারণ চীনের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সিবিএস নিউজকে জানায়, বাইটড্যান্সের প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, শুল্কসংক্রান্ত আলোচনা শুরু না হলে চুক্তিটির অনুমোদন দেবে না চীন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ছিল যে, একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। এই আদেশের মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য ১২০ দিনের সময়সীমা শুরু হতো। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক করার এবং অর্থায়ন নিশ্চিতের জন্য সময় পাওয়া যেত।
বিদ্যমান বিনিয়োগকারী, নতুন বিনিয়োগকারী, বাইটড্যান্স এবং মার্কিন সরকার থেকে অনুমোদন পেয়েছিল চুক্তিটি। তবে যখন ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আমদানি শুল্ক আরোপ করেন, তখন চুক্তি থেকে পিছু হটে যায় চীন।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ মোট শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে চীন এবং ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
এদিকে, বেশ কিছু সম্ভাব্য ক্রেতা সম্প্রতি টিকটক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজন শেষ মুহূর্তে বাইটড্যান্সকে টিকটক কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এ ছাড়া, বিলিয়নিয়ার ফ্রাংক ম্যাককোর্ট ও কানাডীয় ব্যবসায়ী কেভিন ও’লেয়ারি একত্রে টিকটক কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। রেডিটের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানও ম্যাককোর্টের দলে যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া, মাইক্রোসফট, ব্ল্যাকস্টোন, অ্যান্ড্রেসেন হোরোভিটজ এবং সার্চ ইঞ্জিন পারপ্লেক্সিটি এআই-ও সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকায় রয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটক কিনতে আগ্রহী এমন চারটি আলাদা গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে তার প্রশাসন। তবে এসব গ্রুপের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। টিকটক কেনার এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স।
এদিকে, ট্রাম্প সম্ভাব্য একটি চুক্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি চীনকে একটি টিকটক বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার বিনিময়ে তারা পাল্টা শুল্ক হ্রাসে সম্মত হবে।’
ট্রাম্পের দাবি, ‘এই বাণিজ্যিক শুল্কগুলো সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক হাতিয়ার এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার সময়সীমা আরও ৭৫ দিন পেছালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে টিকটককে তার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিক্রির ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অন্যথায় দেশটিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাপটি।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘আমরা চাই না টিকটক বন্ধ হয়ে যাক। টিকটক এবং চীনকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছি।’ বর্তমানে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স টিকটকের মালিকানায় রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটক নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। এই সময়সীমা আজ শনিবারে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সময়সীমা অনুসারে টিকটক এখন আরও কিছুদিন সময় পাবে।
গত বছর কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় আইন পাস হয়। এ আইন অনুসারে, ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের নিয়ন্ত্রণমূলক অংশ বিক্রির জন্য বাইটড্যান্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অন্যথায় অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানায়, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নিষ্পত্তি করা বাকি এবং যেকোনো চুক্তি চীনা আইনের অধীনে অনুমোদন নিতে হবে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছিল যে, চীন গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য টিকটক ব্যবহার করতে পারে। তাই চীনা মালিকানা থেকে টিকটককে আলাদা করতে হবে।
টিকটক বন্ধ করার বিরোধিতাকারীরা দাবি করেন, এটি বাক্স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।
এদিকে, টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত শুক্রবার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে কিছু কাজ বাকি রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।’
টিকটক বিক্রির সম্ভাব্য ক্রেতা
গত বুধবার টিকটক কেনার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে একই দিনে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করার পর চুক্তিটি ভেঙে যায়। কারণ চীনের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সিবিএস নিউজকে জানায়, বাইটড্যান্সের প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, শুল্কসংক্রান্ত আলোচনা শুরু না হলে চুক্তিটির অনুমোদন দেবে না চীন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ছিল যে, একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। এই আদেশের মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য ১২০ দিনের সময়সীমা শুরু হতো। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক করার এবং অর্থায়ন নিশ্চিতের জন্য সময় পাওয়া যেত।
বিদ্যমান বিনিয়োগকারী, নতুন বিনিয়োগকারী, বাইটড্যান্স এবং মার্কিন সরকার থেকে অনুমোদন পেয়েছিল চুক্তিটি। তবে যখন ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আমদানি শুল্ক আরোপ করেন, তখন চুক্তি থেকে পিছু হটে যায় চীন।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ মোট শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে চীন এবং ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
এদিকে, বেশ কিছু সম্ভাব্য ক্রেতা সম্প্রতি টিকটক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজন শেষ মুহূর্তে বাইটড্যান্সকে টিকটক কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এ ছাড়া, বিলিয়নিয়ার ফ্রাংক ম্যাককোর্ট ও কানাডীয় ব্যবসায়ী কেভিন ও’লেয়ারি একত্রে টিকটক কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। রেডিটের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানও ম্যাককোর্টের দলে যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া, মাইক্রোসফট, ব্ল্যাকস্টোন, অ্যান্ড্রেসেন হোরোভিটজ এবং সার্চ ইঞ্জিন পারপ্লেক্সিটি এআই-ও সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকায় রয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটক কিনতে আগ্রহী এমন চারটি আলাদা গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে তার প্রশাসন। তবে এসব গ্রুপের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। টিকটক কেনার এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স।
এদিকে, ট্রাম্প সম্ভাব্য একটি চুক্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি চীনকে একটি টিকটক বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার বিনিময়ে তারা পাল্টা শুল্ক হ্রাসে সম্মত হবে।’
ট্রাম্পের দাবি, ‘এই বাণিজ্যিক শুল্কগুলো সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক হাতিয়ার এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৬ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৮ ঘণ্টা আগে