ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে নানা দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল কিছু দলের পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই পিআর বোঝেন? আমাদের এখানে শিক্ষিত মা-বোনেরা আছেন, আপনারা কি পিআর ভোট বোঝেন?’
উপস্থিত জনগণ ‘না’ সূচক উত্তর দিলে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটু বুঝিয়ে বলি, পিআর হচ্ছে মানুষের এই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই, দলটাকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু আমি জানতে পারছি না—কোনটা আমার প্রার্থী, আমার ক্যান্ডিডেট কোনটা, আমার কাজ করবেন কে, আমার এমপি কে। আমার এমপি যদি না থাকেন, আমি যাব কার কাছে? এই জিনিসগুলো মাথার মধ্যে নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘পিআরের মতো বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করা যেতে পারে। আমরা বলেছি, আসুন নেক্সট পার্লামেন্টে এটা নিয়ে আমরা তর্কবিতর্ক করি। পিআর যদি দেশের লোক চায়, আমরা সেটা করব। কিন্তু না, উনারা ওইটা শুনবেন না। উনারা মিছিল করছেন, এনারাও মিছিল করছেন। প্রতিদিন মিছিল বের করছেন—পিআর চাই, পিআর চাই। এখন এই জিনিসটা উনারা জোর দিচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুল সব দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব দাবিদাওয়া বন্ধ রেখে নির্বাচনটি দ্রুত হতে দেওয়া হোক। কিছু প্রতিষ্ঠানও এখন দাবিদাওয়া তুলছে, যার উদ্দেশ্যটা ভালো না। নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। আমার তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হতে দেন। এই মানুষগুলো বাঁচুক, যেই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে মানুষ আছে, অস্থিরতা কাটুক।’
মির্জা ফখরুল সমাবেশে ভোট দিতে চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর ফখরুল বলেন, ‘ভোট চান। এখন সবাই ভোট চায়, নির্বাচন চায়। দয়া করে এসব (দাবিদাওয়া) বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করেন। জনগণের প্রতিনিধি আসুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারপর তর্কবিতর্ক করা যাবে। আরও কথা বলা যাবে।’
নিজ এলাকার মানুষের কাছে তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁও এলে লোক ঝাঁপাই পড়ে মোর ওপর, যে এটা করে দিবা (দিতে) হবে, ওইটা করে দিবা (দিতে) হবে। মুই তো সরকারত নাই, কেমনে কাম করিম (করব)। মুই তো এমপি এলাও (এখনো) হওনি। কাজটা করিম (করব) কেমন করে। তাহলে ওই এমপিটা করতে হবে, সরকারটা করতে হবে। ওই সরকারটা যদি বিএনপি সরকার হয়, তাকে আপনারা চিনেন, জানেন, সুতরাং অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এবার পূজা কেমন করেছেন?’ ভালো করার মন্তব্য শুনে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘ভালো করেছেন। আমাকে কিন্তু দাওয়াত করেননি।’
শেষে ফখরুল বলেন, ‘তো মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আমার, সব হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ভাইয়েরা—আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা এখন সুন্দর ভালোবাসা ও প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। হিংসার রাজনীতি আমরা করতে চাই না। ওইটা কিন্তু বাতিল করে দিয়েছে, যে, আর কোনো রকম হিংসা যেন না হয়। একটা লোকও যেন না খেয়ে মরে, আমার একটা ছেলেও যেন না খেয়ে মরে। এটাই আমাদের কামনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গম আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া, ফোরাতুন নাহার প্যারিস, গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পুষ্পশিলা প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি।
বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।
চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।
এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি।
বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।
চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।
এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
১৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৬ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
১৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
১ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৬ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা
পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা মাঠ। কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড কিছুই এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্লট হস্তান্তর হয়নি, তাই ব্যবসায়ীরাও সরছেন না।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে ফিরতি বার্তায় জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর প্লট হস্তান্তর করা হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এই রাসায়নিক পল্লির জন্য ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে হবে ১ হাজার ৮৪৩টি প্লট, থাকবে রাস্তা, ড্রেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহব্যবস্থা, ইনসিনেরেটর ও জেটি। কিন্তু কাজের গতি বলছে, এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এখনো বহু দূর।
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজের এমন দশায় পুরান ঢাকায় আগের মতোই চলছে কেমিক্যাল ব্যবসা।
২০১০ সালের নিমতলী ও ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরও নিরাপত্তাব্যবস্থায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের মতো শহরগুলোয়। কিন্তু দ্রুত যেকোনো বিপর্যয় সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসেরও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে তাদের সক্ষমতা সীমিত। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা সরতে চান, কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গুদামঘর স্থানান্তরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তবে প্লট বুঝে না পেলে তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাঁরা শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকেন। সঠিকভাবে এসব মালামাল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পল্লিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বিষয়গুলো নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিসিককে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা না হলে ব্যবসায়ীদের কী করণীয় থাকতে পারে?
প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে পরিবেশবিদদেরও। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান বলেন, তখন জোরজবরদস্তি করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকার কাছাকাছি হাজারীবাগ বা আশপাশে অল্প পরিমাণ জমিতে নির্মাণ হলে এত দিনে স্থানান্তর হয়ে যেত। কিন্তু পল্লি দূরে তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে যেতে আগ্রহ কম। সরকারও ঢিলেতালে হাঁটছে।
রসায়নবিদেরা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসা জটিল ও সংবেদনশীল। এ কাজে দক্ষতা জরুরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, কেমিক্যাল কেনাবেচা কিংবা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হলে এসব সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একেকটি কেমিক্যালের একেক রকম চরিত্র। কেমিস্ট, রিসার্সার, সায়েন্টিফিকদের এসব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। এসব কেমিক্যালের ডিলিংস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সেটি অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অবস্থা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা মাঠ। কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড কিছুই এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্লট হস্তান্তর হয়নি, তাই ব্যবসায়ীরাও সরছেন না।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে ফিরতি বার্তায় জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর প্লট হস্তান্তর করা হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এই রাসায়নিক পল্লির জন্য ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে হবে ১ হাজার ৮৪৩টি প্লট, থাকবে রাস্তা, ড্রেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহব্যবস্থা, ইনসিনেরেটর ও জেটি। কিন্তু কাজের গতি বলছে, এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এখনো বহু দূর।
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজের এমন দশায় পুরান ঢাকায় আগের মতোই চলছে কেমিক্যাল ব্যবসা।
২০১০ সালের নিমতলী ও ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরও নিরাপত্তাব্যবস্থায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের মতো শহরগুলোয়। কিন্তু দ্রুত যেকোনো বিপর্যয় সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসেরও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে তাদের সক্ষমতা সীমিত। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা সরতে চান, কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গুদামঘর স্থানান্তরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তবে প্লট বুঝে না পেলে তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাঁরা শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকেন। সঠিকভাবে এসব মালামাল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পল্লিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বিষয়গুলো নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিসিককে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা না হলে ব্যবসায়ীদের কী করণীয় থাকতে পারে?
প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে পরিবেশবিদদেরও। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান বলেন, তখন জোরজবরদস্তি করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকার কাছাকাছি হাজারীবাগ বা আশপাশে অল্প পরিমাণ জমিতে নির্মাণ হলে এত দিনে স্থানান্তর হয়ে যেত। কিন্তু পল্লি দূরে তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে যেতে আগ্রহ কম। সরকারও ঢিলেতালে হাঁটছে।
রসায়নবিদেরা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসা জটিল ও সংবেদনশীল। এ কাজে দক্ষতা জরুরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, কেমিক্যাল কেনাবেচা কিংবা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হলে এসব সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একেকটি কেমিক্যালের একেক রকম চরিত্র। কেমিস্ট, রিসার্সার, সায়েন্টিফিকদের এসব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। এসব কেমিক্যালের ডিলিংস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সেটি অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অবস্থা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
১৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৬ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল।
চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।
এই হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট এবং ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্য সেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
এই হলে জিএস প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল।
চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।
এই হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট এবং ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্য সেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
এই হলে জিএস প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের আমি বলব, জোরেশোরে আপনারা প্রচার করবেন, দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
১৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে