জুবায়ের আহম্মেদ
মীরের কণ্ঠে যাঁরা ‘সানডে সাসপেন্স’ শুনেছেন, তাঁরা জানেন অডিও বুকের দুনিয়াটা একেবারে আলাদা। ইচ্ছে হলেই শোনা যায় সত্যজিৎ রায়ের গল্প কিংবা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’। জানা যায়, বরেণ্য সব লেখকের লেখা গল্প, কবিতা কিংবা উপন্যাস পড়ার আমেজের বাইরে একই সঙ্গে শব্দ ও সংগীতের এক দারুণ ইন্দ্রজাল তৈরি হয় অডিও বুকে। ফলে সাধারণ পাঠক তো বটেই, যাঁরা এসব গল্পগাছা শুনতে চান না, তাঁদের অনেকেই এখন অডিও বুকের ‘ফ্যান’।
২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন দুই বন্ধু—শাহরিয়ার হৃদয় ও বিটুল বৈষ্ণব। এই ছোটাছুটির একপর্যায়ে তাঁরা চিন্তা করলেন, বইয়ের পড়াটা যদি কেউ শুনিয়ে দিত, তাহলে ভালোই হতো। তাঁরা ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলেন, বিদেশে অডিও বুক বেশ জনপ্রিয়। এরপর দুই বন্ধু মিলে নিজেরাই অডিও বুক ব্যবহার শুরু করেন। একটা সময় তাঁদের এটা ভালো লাগে এবং তাঁরা আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। এবার পরিচিত ভাইদের সাহায্যে ‘শুনবই’ অ্যাপের বেটা ভার্সন নিয়ে আসেন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। এর আগে লেখকদের কাছ থেকে বইয়ের কপিরাইট নেওয়া শুরু করেন তাঁরা। তবে শুরুতে তেমন একটা সাড়া মেলেনি। কিছু ভালো লেখকের বই পেয়ে যান তাঁরা। ১০টি বই নিয়ে লঞ্চ করেন অ্যাপটি। গুগল প্লে স্টোরে আপলোডের আড়াই মাসের মাথায় ৩৫টি দেশ থেকে অ্যাপটি ইনস্টল হয়। এরপর তাঁরা আরও কিছু বই নিয়ে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি স্টুডিও তৈরি করেন।
বর্তমানে ৭৮টি দেশে তাঁদের ২০ হাজারের বেশি শ্রোতা আছে। ‘শুনবই’ থেকে অডিও বুক, বইয়ের সারসংক্ষেপ, শট স্টোরি শুনতে পাওয়া যায়। এ বছরের এপ্রিল থেকে অ্যাপে পডকাস্ট শুরু হবে। যে কেউই অ্যাপটিতে পডকাস্ট চ্যানেল খুলতে পারবে এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। যেহেতু এটি একটি প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম, তাই বইয়ের লেখক, কথক, প্রকাশক তাঁদের বইগুলো কতজন মানুষ শুনছে, কতটি দেশ থেকে শুনছে, রিভিউ ইত্যাদি তথ্য পাবে। অ্যাপটিতে লেখকের সঙ্গে শ্রোতার যোগাযোগের সুযোগ থাকছে।
প্রযুক্তিগত দিকে অ্যাপটির ফ্রন্ট-এন্ডে ব্যবহার করা হয় ফ্লাটার এবং ব্যাক-এন্ডে নোট-জিএস ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপটিতে যেহেতু যে কেউই পডকাস্ট চ্যানেল খুলতে পারবে, সে জন্য একটি কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স টিম মান পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। এ পর্যন্ত ৫০০-র মতো অডিও বই, বইয়ের সারসংক্ষেপ ও
ছোটগল্প আছে অ্যাপটিতে।
মাসিক সাবস্ক্রিপশনের বিনিময়ে যে কেউই এটি শুনতে পারবে অ্যাপ থেকে। গত ডিসেম্বর থেকে মাসিক ও বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন চালু করা হয়েছে অ্যাপটিতে। এর উদ্যোক্তা শাহরিয়ার হৃদয় বলেছেন, ‘মানুষের অডিও বুক শোনার আগ্রহ অনেক। অ্যাপটি শুরু করার পর থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। মানুষজন সাবস্ক্রিপশন নিয়ে বই শোনার বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করছে। কিছু লেখকও এভাবে বই প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। যাঁরা ব্যস্ততার জন্য বই পড়তে পারছেন না কিংবা ভ্রমণে বই পড়তে চান, তাঁদের জন্য অডিও বুক দারুণ সমাধান।’
এবারের অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রয়েছে ‘শুনবই’য়ের স্টল। সেখানে গেলে যে কেউই অডিও বুকের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। সেখান থেকে চাইলে সাবস্ক্রিপশন নেওয়া যাবে। শুরু থেকেই ‘শুনবই’কে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে টারটেল ভেঞ্চার স্টুডিও নামের প্রতিষ্ঠানটি।
ছবি: শুনবই
মীরের কণ্ঠে যাঁরা ‘সানডে সাসপেন্স’ শুনেছেন, তাঁরা জানেন অডিও বুকের দুনিয়াটা একেবারে আলাদা। ইচ্ছে হলেই শোনা যায় সত্যজিৎ রায়ের গল্প কিংবা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’। জানা যায়, বরেণ্য সব লেখকের লেখা গল্প, কবিতা কিংবা উপন্যাস পড়ার আমেজের বাইরে একই সঙ্গে শব্দ ও সংগীতের এক দারুণ ইন্দ্রজাল তৈরি হয় অডিও বুকে। ফলে সাধারণ পাঠক তো বটেই, যাঁরা এসব গল্পগাছা শুনতে চান না, তাঁদের অনেকেই এখন অডিও বুকের ‘ফ্যান’।
২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন দুই বন্ধু—শাহরিয়ার হৃদয় ও বিটুল বৈষ্ণব। এই ছোটাছুটির একপর্যায়ে তাঁরা চিন্তা করলেন, বইয়ের পড়াটা যদি কেউ শুনিয়ে দিত, তাহলে ভালোই হতো। তাঁরা ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলেন, বিদেশে অডিও বুক বেশ জনপ্রিয়। এরপর দুই বন্ধু মিলে নিজেরাই অডিও বুক ব্যবহার শুরু করেন। একটা সময় তাঁদের এটা ভালো লাগে এবং তাঁরা আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। এবার পরিচিত ভাইদের সাহায্যে ‘শুনবই’ অ্যাপের বেটা ভার্সন নিয়ে আসেন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। এর আগে লেখকদের কাছ থেকে বইয়ের কপিরাইট নেওয়া শুরু করেন তাঁরা। তবে শুরুতে তেমন একটা সাড়া মেলেনি। কিছু ভালো লেখকের বই পেয়ে যান তাঁরা। ১০টি বই নিয়ে লঞ্চ করেন অ্যাপটি। গুগল প্লে স্টোরে আপলোডের আড়াই মাসের মাথায় ৩৫টি দেশ থেকে অ্যাপটি ইনস্টল হয়। এরপর তাঁরা আরও কিছু বই নিয়ে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি স্টুডিও তৈরি করেন।
বর্তমানে ৭৮টি দেশে তাঁদের ২০ হাজারের বেশি শ্রোতা আছে। ‘শুনবই’ থেকে অডিও বুক, বইয়ের সারসংক্ষেপ, শট স্টোরি শুনতে পাওয়া যায়। এ বছরের এপ্রিল থেকে অ্যাপে পডকাস্ট শুরু হবে। যে কেউই অ্যাপটিতে পডকাস্ট চ্যানেল খুলতে পারবে এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। যেহেতু এটি একটি প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম, তাই বইয়ের লেখক, কথক, প্রকাশক তাঁদের বইগুলো কতজন মানুষ শুনছে, কতটি দেশ থেকে শুনছে, রিভিউ ইত্যাদি তথ্য পাবে। অ্যাপটিতে লেখকের সঙ্গে শ্রোতার যোগাযোগের সুযোগ থাকছে।
প্রযুক্তিগত দিকে অ্যাপটির ফ্রন্ট-এন্ডে ব্যবহার করা হয় ফ্লাটার এবং ব্যাক-এন্ডে নোট-জিএস ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপটিতে যেহেতু যে কেউই পডকাস্ট চ্যানেল খুলতে পারবে, সে জন্য একটি কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স টিম মান পর্যবেক্ষণের কাজ করবে। এ পর্যন্ত ৫০০-র মতো অডিও বই, বইয়ের সারসংক্ষেপ ও
ছোটগল্প আছে অ্যাপটিতে।
মাসিক সাবস্ক্রিপশনের বিনিময়ে যে কেউই এটি শুনতে পারবে অ্যাপ থেকে। গত ডিসেম্বর থেকে মাসিক ও বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন চালু করা হয়েছে অ্যাপটিতে। এর উদ্যোক্তা শাহরিয়ার হৃদয় বলেছেন, ‘মানুষের অডিও বুক শোনার আগ্রহ অনেক। অ্যাপটি শুরু করার পর থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। মানুষজন সাবস্ক্রিপশন নিয়ে বই শোনার বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করছে। কিছু লেখকও এভাবে বই প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। যাঁরা ব্যস্ততার জন্য বই পড়তে পারছেন না কিংবা ভ্রমণে বই পড়তে চান, তাঁদের জন্য অডিও বুক দারুণ সমাধান।’
এবারের অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রয়েছে ‘শুনবই’য়ের স্টল। সেখানে গেলে যে কেউই অডিও বুকের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। সেখান থেকে চাইলে সাবস্ক্রিপশন নেওয়া যাবে। শুরু থেকেই ‘শুনবই’কে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে টারটেল ভেঞ্চার স্টুডিও নামের প্রতিষ্ঠানটি।
ছবি: শুনবই
দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে হোস্ট করা ‘এক্সেনটেক ক্লাউড’ নামের ক্লাউড মাধ্যম চালু করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেক পিএলসি। টিয়ার–৪ অবকাঠামোভিত্তিক হওয়ায় ক্লাউড মাধ্যমটি বৈশ্বিক মানের নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণের মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়
১ দিন আগেগত ১৫ এপ্রিল অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করে যুক্তরাজ্য। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে।
১ দিন আগেসিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ‘গুগল পে’। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ‘গুগল ওয়ালেট’ নামে পরিচিত। দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১ দিন আগেসিনেমা বানানো মানে বিশাল সেট, অনেক কলাকুশলী আর কোটি টাকার বাজেট। সেই দৃশ্য এখনো আছে। কিন্তু এর সঙ্গে বিকল্প এক পথ তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে। কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ আর একটি এআই টুল দিয়ে বানানো যাচ্ছে শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপন, এমনকি ফিচার ফিল্মও।
২ দিন আগে