Ajker Patrika

মাস্কের এক্সে চালু হচ্ছে নতুন মেসেজিং সুবিধা ‘এক্সচ্যাট’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৫: ৪৬
২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমবার এনক্রিপটেড মেসেজিং ফিচার চালু করেছিল এক্স। ছবি: ফোনএরিনা
২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমবার এনক্রিপটেড মেসেজিং ফিচার চালু করেছিল এক্স। ছবি: ফোনএরিনা

জনসমক্ষে মতপ্রকাশের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম এক্স (আগের টুইটার)। যেখানে ব্যবহারকারীরা নির্দ্বিধায় তাঁদের চিন্তা, মতামত ও ভাইরাল ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানান। তবে ২০২২ সালে ইলন মাস্ক এক্স কিনে নেওয়ার পর থেকে প্ল্যাটফর্মটিকে আরও ব্যক্তিগত ও বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই লক্ষ্যেই মাস্কের সাম্প্রতিক উদ্যোগ—নতুন মেসেজিং ফিচার ‘এক্সচ্যাট’।

গতকাল রোববার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘একেবারে নতুন ফিচার এক্সচ্যাটে চালু হচ্ছে এনক্রিপশন, ভ্যানিশিং মেসেজ, যেকোনো ধরনের ফাইল পাঠানোর সুবিধা এবং অডিও ও ভিডিও কলিং সুবিধাসহ।’

মাস্ক আরও জানান, এই ফিচারে থাকবে ‘বিটকয়েন স্টাইলের’ এনক্রিপশন, যা সম্পূর্ণ নতুন আর্কিটেকচারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে এই এনক্রিপশন কীভাবে কাজ করে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মাস্ক।

নতুন ফিচারটি ইতিমধ্যেই কিছু পেইড সাবস্ক্রাইবারের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ। মেসেজ সুরক্ষার জন্য চার সংখ্যার একটি পাসকোড ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত এপ্রিল মাসে এক্সচ্যাটের ইউজার ইন্টারফেসের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে প্রযুক্তি বিশ্লেষক নিমা ওজি বলেন, ‘এক্সচ্যাটে থাকবে আরও উন্নত গ্রুপ চ্যাট ও ভ্যানিশিং মোড।’

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে নিমা ওজি বলেন, নতুন ফিচারটি প্রকাশের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমবার এনক্রিপটেড মেসেজিং ফিচার চালু করেছিল এক্স। তবে গত সপ্তাহে এক্স জানিয়েছে, তারা আপাতত এই ফিচারের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে গিয়ে এর কাজ বন্ধ রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি এক্সচ্যাট চালুর অংশ হিসেবেই নেওয়া সিদ্ধান্ত।

কয়েক বছর ধরে এক্স চীনের উইচ্যাটের মতো একটি অল ইন ওয়ান প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের চেষ্টায় রয়েছে। ২০২৩ সালে কোম্পানির এক বৈঠকে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে এক্সকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটিং অ্যাপ ও ডিজিটাল ব্যাংকে রূপ দিতে চান।

তবে শুধু মাস্কই নন, পশ্চিমা বিশ্বের জন্য ‘সুপার অ্যাপ’ তৈরির স্বপ্ন দেখছেন ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানও। অল্টম্যানের ফিউচারিস্টিক প্রজেক্ট ‘ওয়ার্ল্ড’ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ডিজিটাল প্রয়োজনে মানুষকে ভ্যারিফাই করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।

চলতি বছরের মার্চে ওয়ার্ল্ড নিজস্ব ‘অ্যাপ স্টোর’ চালু করেছে এবং সেই সঙ্গে একটি ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম চালু করেছে, যাতে মানুষকেন্দ্রিক দৈনন্দিন অ্যাপ তৈরি করা যায়। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত একটি ইভেন্টে ওয়ার্ল্ড জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মে ২ কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী এবং ১ কোটি ২০ লাখ ‘ভেরিফায়েড’ ব্যবহারকারী রয়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের অক্টোবরে মাস্ক বলেছিলেন, এক্সের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬০ কোটি ছাড়িয়েছে।

ওয়ার্ল্ড সম্প্রতি ‘অরব’ নামের একটি ৯ ইঞ্চি যন্ত্র চালু করেছে, যা ব্যবহারকারীর চোখের মণির ছবি তুলে বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করে। এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডারের সাংবাদিক লয়েড লি লিখেছেন, প্রক্রিয়াটি যেমন সহজ, তেমনি কিছুটা মজার আর খানিকটা ভীতিকরও।

মাস্ক সম্প্রতি আবার তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (বিশেষ করে এক্স ও টেসলা) কার্যক্রমে মনোযোগ দিচ্ছেন। এর আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কাজ কিছুটা কমিয়ে দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত