মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
এই সংকটের সহজ সমাধান করতে নেমে পড়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান নামের দুই ভাই। পানি পরিশোধন প্রযুক্তি ‘ব্লুশিল্ড ফিল্টার’ উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন তাঁদের নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে। এখন তাঁরা সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারল। প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের চূড়ান্ত পর্বটি ১ ও ২ মে লিমিটলেস ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে। শাফি ও সাবিক সেখানেই তাঁদের উদ্ভাবিত ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিটি উপস্থাপন করবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে।
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ একটি বৈশ্বিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা। এটি মূলত হাইস্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্ন এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার এই আয়োজন করে।
ব্লুশিল্ড ফিল্টারের বিশেষত্ব ব্লুশিল্ড ফিল্টার নতুন ধরনের এক প্রযুক্তি। এর সঙ্গে ঘরোয়া ব্যবহারের সাধারণ রিভার্স অসমসিস (আরও) ফিল্টারের কোনো মিল নেই। এই প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক, পরিবেশবান্ধব এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে জলাবদ্ধ, বন্যাপ্রবণ কিংবা পানির সংকটে ভোগা অঞ্চলের জন্য। সাধারণত বাসায় ব্যবহার করা রিভার্স অসমসিস ফিল্টারগুলোতে ১ কিউবিক সেন্টিমিটার পানি বিশুদ্ধ করতে ৩ থেকে ৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু ইউভিসি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৫ থেকে ১২ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং পানিপ্রবাহে সহায়তার জন্য একটি স্বল্প ক্ষমতার ওয়াটার পাম্প ব্যবহৃত হয়।
এতে ব্যবহৃত বিশেষভাবে উন্নত মেমব্রেন নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করেছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই মেমব্রেন স্বাভাবিক গ্রাভিটেশনের মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে। তাই বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরকার হয় না। শাফি বিন সুলতান বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে ব্যবহারের চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি পরিশোধনের জন্য আরও বেশি কার্যকর।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিজনেস ইনোভেশন বিভাগে অংশ নিয়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই বিশ্ববিখ্যাত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা এবং ব্যবসায়িক প্রকল্প উপস্থাপন করে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় শাফি ও সাবিকের। মূলত তিনটি ধাপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭৩টি দেশের ৩ হাজার ৩৯৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত ১ হাজার ২০০টি দলের মধ্যে ৩৮টি দল ফাইনালে পৌঁছায়। দলগুলোর মধ্যে শাফি-সাবিকের দল ব্যবসায়িক উদ্ভাবন বিভাগে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেয়।
উদ্ভাবনী পরিকল্পনা
আমাদের দেশে জলাবদ্ধতা বা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষের হাহাকার দেখা যায়। এই বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাবিয়ে তোলে শাফি ও সাবিককে। তাঁদের ভাবনায় থাকে, কীভাবে সহজে এবং কম খরচে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। ছোটবেলা থেকে এই দুই ভাইয়ের প্রযুক্তি
ও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহ, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা থেকেই ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রকল্পের সূচনা। তাঁদের বাবা সুলতান মোহিউদ্দিন ভূঁইয়া একজন অভিজ্ঞ ফিন্যান্স প্রফেশনাল। তিনি দুই সন্তানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এই পথে সাহায্য করেছেন। শাফি ও সাবিক জানান, গবেষণা ও পেটেন্টের জটিলতায় প্রযুক্তির পূর্ণ বিবরণ তাঁরা এখনই প্রকাশ করতে চান না।
দেশের বাজারে ব্লুশিল্ড ফিল্টার
শাফি ও সাবিকের লক্ষ্য, এই প্রযুক্তিকে কেবল প্রতিযোগিতার পরিসরে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। বাংলাদেশের যেসব অঞ্চল নিয়মিত জলাবদ্ধতা, জোয়ারের পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগে, সেই এলাকাগুলোর জন্য ব্লুশিল্ড ফিল্টার হতে পারে দারুণ সমাধান। শাফি ও সাবিক জানান, তাঁরা এই প্রযুক্তিকে ব্যবসায়িক রূপ দিয়ে ব্যাপক পরিসরে নিয়ে যেতে চান; যাতে দুর্যোগপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প খরচে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়। নিজেদের এই উদ্ভাবনকে তাঁরা শুধু দেশের বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে চান। আফ্রিকার যেসব অঞ্চল নিয়মিত বন্যা বা জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতায় বিপর্যস্ত, সেসব জায়গায়ও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান।
এরই মধ্যে ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন সাফি ও সাবিককে। তবে তাঁদের চোখ এখন ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিতে। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন, এই জয় যেন বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন পথের সূচনা করে।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
এই সংকটের সহজ সমাধান করতে নেমে পড়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান নামের দুই ভাই। পানি পরিশোধন প্রযুক্তি ‘ব্লুশিল্ড ফিল্টার’ উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন তাঁদের নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে। এখন তাঁরা সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারল। প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের চূড়ান্ত পর্বটি ১ ও ২ মে লিমিটলেস ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে। শাফি ও সাবিক সেখানেই তাঁদের উদ্ভাবিত ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিটি উপস্থাপন করবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে।
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ একটি বৈশ্বিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা। এটি মূলত হাইস্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্ন এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার এই আয়োজন করে।
ব্লুশিল্ড ফিল্টারের বিশেষত্ব ব্লুশিল্ড ফিল্টার নতুন ধরনের এক প্রযুক্তি। এর সঙ্গে ঘরোয়া ব্যবহারের সাধারণ রিভার্স অসমসিস (আরও) ফিল্টারের কোনো মিল নেই। এই প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক, পরিবেশবান্ধব এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে জলাবদ্ধ, বন্যাপ্রবণ কিংবা পানির সংকটে ভোগা অঞ্চলের জন্য। সাধারণত বাসায় ব্যবহার করা রিভার্স অসমসিস ফিল্টারগুলোতে ১ কিউবিক সেন্টিমিটার পানি বিশুদ্ধ করতে ৩ থেকে ৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু ইউভিসি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৫ থেকে ১২ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং পানিপ্রবাহে সহায়তার জন্য একটি স্বল্প ক্ষমতার ওয়াটার পাম্প ব্যবহৃত হয়।
এতে ব্যবহৃত বিশেষভাবে উন্নত মেমব্রেন নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করেছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই মেমব্রেন স্বাভাবিক গ্রাভিটেশনের মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে। তাই বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরকার হয় না। শাফি বিন সুলতান বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে ব্যবহারের চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি পরিশোধনের জন্য আরও বেশি কার্যকর।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিজনেস ইনোভেশন বিভাগে অংশ নিয়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই বিশ্ববিখ্যাত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা এবং ব্যবসায়িক প্রকল্প উপস্থাপন করে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় শাফি ও সাবিকের। মূলত তিনটি ধাপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭৩টি দেশের ৩ হাজার ৩৯৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত ১ হাজার ২০০টি দলের মধ্যে ৩৮টি দল ফাইনালে পৌঁছায়। দলগুলোর মধ্যে শাফি-সাবিকের দল ব্যবসায়িক উদ্ভাবন বিভাগে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেয়।
উদ্ভাবনী পরিকল্পনা
আমাদের দেশে জলাবদ্ধতা বা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষের হাহাকার দেখা যায়। এই বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাবিয়ে তোলে শাফি ও সাবিককে। তাঁদের ভাবনায় থাকে, কীভাবে সহজে এবং কম খরচে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। ছোটবেলা থেকে এই দুই ভাইয়ের প্রযুক্তি
ও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহ, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা থেকেই ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রকল্পের সূচনা। তাঁদের বাবা সুলতান মোহিউদ্দিন ভূঁইয়া একজন অভিজ্ঞ ফিন্যান্স প্রফেশনাল। তিনি দুই সন্তানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এই পথে সাহায্য করেছেন। শাফি ও সাবিক জানান, গবেষণা ও পেটেন্টের জটিলতায় প্রযুক্তির পূর্ণ বিবরণ তাঁরা এখনই প্রকাশ করতে চান না।
দেশের বাজারে ব্লুশিল্ড ফিল্টার
শাফি ও সাবিকের লক্ষ্য, এই প্রযুক্তিকে কেবল প্রতিযোগিতার পরিসরে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। বাংলাদেশের যেসব অঞ্চল নিয়মিত জলাবদ্ধতা, জোয়ারের পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগে, সেই এলাকাগুলোর জন্য ব্লুশিল্ড ফিল্টার হতে পারে দারুণ সমাধান। শাফি ও সাবিক জানান, তাঁরা এই প্রযুক্তিকে ব্যবসায়িক রূপ দিয়ে ব্যাপক পরিসরে নিয়ে যেতে চান; যাতে দুর্যোগপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প খরচে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়। নিজেদের এই উদ্ভাবনকে তাঁরা শুধু দেশের বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে চান। আফ্রিকার যেসব অঞ্চল নিয়মিত বন্যা বা জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতায় বিপর্যস্ত, সেসব জায়গায়ও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান।
এরই মধ্যে ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন সাফি ও সাবিককে। তবে তাঁদের চোখ এখন ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিতে। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন, এই জয় যেন বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন পথের সূচনা করে।
মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
এই সংকটের সহজ সমাধান করতে নেমে পড়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান নামের দুই ভাই। পানি পরিশোধন প্রযুক্তি ‘ব্লুশিল্ড ফিল্টার’ উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন তাঁদের নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে। এখন তাঁরা সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারল। প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের চূড়ান্ত পর্বটি ১ ও ২ মে লিমিটলেস ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে। শাফি ও সাবিক সেখানেই তাঁদের উদ্ভাবিত ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিটি উপস্থাপন করবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে।
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ একটি বৈশ্বিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা। এটি মূলত হাইস্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্ন এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার এই আয়োজন করে।
ব্লুশিল্ড ফিল্টারের বিশেষত্ব ব্লুশিল্ড ফিল্টার নতুন ধরনের এক প্রযুক্তি। এর সঙ্গে ঘরোয়া ব্যবহারের সাধারণ রিভার্স অসমসিস (আরও) ফিল্টারের কোনো মিল নেই। এই প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক, পরিবেশবান্ধব এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে জলাবদ্ধ, বন্যাপ্রবণ কিংবা পানির সংকটে ভোগা অঞ্চলের জন্য। সাধারণত বাসায় ব্যবহার করা রিভার্স অসমসিস ফিল্টারগুলোতে ১ কিউবিক সেন্টিমিটার পানি বিশুদ্ধ করতে ৩ থেকে ৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু ইউভিসি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৫ থেকে ১২ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং পানিপ্রবাহে সহায়তার জন্য একটি স্বল্প ক্ষমতার ওয়াটার পাম্প ব্যবহৃত হয়।
এতে ব্যবহৃত বিশেষভাবে উন্নত মেমব্রেন নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করেছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই মেমব্রেন স্বাভাবিক গ্রাভিটেশনের মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে। তাই বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরকার হয় না। শাফি বিন সুলতান বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে ব্যবহারের চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি পরিশোধনের জন্য আরও বেশি কার্যকর।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিজনেস ইনোভেশন বিভাগে অংশ নিয়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই বিশ্ববিখ্যাত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা এবং ব্যবসায়িক প্রকল্প উপস্থাপন করে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় শাফি ও সাবিকের। মূলত তিনটি ধাপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭৩টি দেশের ৩ হাজার ৩৯৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত ১ হাজার ২০০টি দলের মধ্যে ৩৮টি দল ফাইনালে পৌঁছায়। দলগুলোর মধ্যে শাফি-সাবিকের দল ব্যবসায়িক উদ্ভাবন বিভাগে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেয়।
উদ্ভাবনী পরিকল্পনা
আমাদের দেশে জলাবদ্ধতা বা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষের হাহাকার দেখা যায়। এই বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাবিয়ে তোলে শাফি ও সাবিককে। তাঁদের ভাবনায় থাকে, কীভাবে সহজে এবং কম খরচে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। ছোটবেলা থেকে এই দুই ভাইয়ের প্রযুক্তি
ও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহ, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা থেকেই ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রকল্পের সূচনা। তাঁদের বাবা সুলতান মোহিউদ্দিন ভূঁইয়া একজন অভিজ্ঞ ফিন্যান্স প্রফেশনাল। তিনি দুই সন্তানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এই পথে সাহায্য করেছেন। শাফি ও সাবিক জানান, গবেষণা ও পেটেন্টের জটিলতায় প্রযুক্তির পূর্ণ বিবরণ তাঁরা এখনই প্রকাশ করতে চান না।
দেশের বাজারে ব্লুশিল্ড ফিল্টার
শাফি ও সাবিকের লক্ষ্য, এই প্রযুক্তিকে কেবল প্রতিযোগিতার পরিসরে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। বাংলাদেশের যেসব অঞ্চল নিয়মিত জলাবদ্ধতা, জোয়ারের পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগে, সেই এলাকাগুলোর জন্য ব্লুশিল্ড ফিল্টার হতে পারে দারুণ সমাধান। শাফি ও সাবিক জানান, তাঁরা এই প্রযুক্তিকে ব্যবসায়িক রূপ দিয়ে ব্যাপক পরিসরে নিয়ে যেতে চান; যাতে দুর্যোগপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প খরচে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়। নিজেদের এই উদ্ভাবনকে তাঁরা শুধু দেশের বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে চান। আফ্রিকার যেসব অঞ্চল নিয়মিত বন্যা বা জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতায় বিপর্যস্ত, সেসব জায়গায়ও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান।
এরই মধ্যে ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন সাফি ও সাবিককে। তবে তাঁদের চোখ এখন ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিতে। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন, এই জয় যেন বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন পথের সূচনা করে।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
এই সংকটের সহজ সমাধান করতে নেমে পড়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান নামের দুই ভাই। পানি পরিশোধন প্রযুক্তি ‘ব্লুশিল্ড ফিল্টার’ উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন তাঁদের নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে। এখন তাঁরা সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারল। প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের চূড়ান্ত পর্বটি ১ ও ২ মে লিমিটলেস ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে। শাফি ও সাবিক সেখানেই তাঁদের উদ্ভাবিত ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিটি উপস্থাপন করবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে।
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ একটি বৈশ্বিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা। এটি মূলত হাইস্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্ন এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার এই আয়োজন করে।
ব্লুশিল্ড ফিল্টারের বিশেষত্ব ব্লুশিল্ড ফিল্টার নতুন ধরনের এক প্রযুক্তি। এর সঙ্গে ঘরোয়া ব্যবহারের সাধারণ রিভার্স অসমসিস (আরও) ফিল্টারের কোনো মিল নেই। এই প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক, পরিবেশবান্ধব এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে জলাবদ্ধ, বন্যাপ্রবণ কিংবা পানির সংকটে ভোগা অঞ্চলের জন্য। সাধারণত বাসায় ব্যবহার করা রিভার্স অসমসিস ফিল্টারগুলোতে ১ কিউবিক সেন্টিমিটার পানি বিশুদ্ধ করতে ৩ থেকে ৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু ইউভিসি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৫ থেকে ১২ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং পানিপ্রবাহে সহায়তার জন্য একটি স্বল্প ক্ষমতার ওয়াটার পাম্প ব্যবহৃত হয়।
এতে ব্যবহৃত বিশেষভাবে উন্নত মেমব্রেন নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করেছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই মেমব্রেন স্বাভাবিক গ্রাভিটেশনের মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে। তাই বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরকার হয় না। শাফি বিন সুলতান বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে ব্যবহারের চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি পরিশোধনের জন্য আরও বেশি কার্যকর।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিজনেস ইনোভেশন বিভাগে অংশ নিয়েছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান। এই বিশ্ববিখ্যাত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা এবং ব্যবসায়িক প্রকল্প উপস্থাপন করে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু হয় শাফি ও সাবিকের। মূলত তিনটি ধাপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭৩টি দেশের ৩ হাজার ৩৯৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত ১ হাজার ২০০টি দলের মধ্যে ৩৮টি দল ফাইনালে পৌঁছায়। দলগুলোর মধ্যে শাফি-সাবিকের দল ব্যবসায়িক উদ্ভাবন বিভাগে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেয়।
উদ্ভাবনী পরিকল্পনা
আমাদের দেশে জলাবদ্ধতা বা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই বিশুদ্ধ পানির জন্য মানুষের হাহাকার দেখা যায়। এই বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাবিয়ে তোলে শাফি ও সাবিককে। তাঁদের ভাবনায় থাকে, কীভাবে সহজে এবং কম খরচে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। ছোটবেলা থেকে এই দুই ভাইয়ের প্রযুক্তি
ও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহ, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা থেকেই ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রকল্পের সূচনা। তাঁদের বাবা সুলতান মোহিউদ্দিন ভূঁইয়া একজন অভিজ্ঞ ফিন্যান্স প্রফেশনাল। তিনি দুই সন্তানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এই পথে সাহায্য করেছেন। শাফি ও সাবিক জানান, গবেষণা ও পেটেন্টের জটিলতায় প্রযুক্তির পূর্ণ বিবরণ তাঁরা এখনই প্রকাশ করতে চান না।
দেশের বাজারে ব্লুশিল্ড ফিল্টার
শাফি ও সাবিকের লক্ষ্য, এই প্রযুক্তিকে কেবল প্রতিযোগিতার পরিসরে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। বাংলাদেশের যেসব অঞ্চল নিয়মিত জলাবদ্ধতা, জোয়ারের পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগে, সেই এলাকাগুলোর জন্য ব্লুশিল্ড ফিল্টার হতে পারে দারুণ সমাধান। শাফি ও সাবিক জানান, তাঁরা এই প্রযুক্তিকে ব্যবসায়িক রূপ দিয়ে ব্যাপক পরিসরে নিয়ে যেতে চান; যাতে দুর্যোগপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প খরচে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায়। নিজেদের এই উদ্ভাবনকে তাঁরা শুধু দেশের বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে চান। আফ্রিকার যেসব অঞ্চল নিয়মিত বন্যা বা জলাবদ্ধতায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতায় বিপর্যস্ত, সেসব জায়গায়ও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন শাফি বিন সুলতান ও সাবিক বিন সুলতান।
এরই মধ্যে ব্লুশিল্ড ফিল্টার প্রযুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন সাফি ও সাবিককে। তবে তাঁদের চোখ এখন ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিতে। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন, এই জয় যেন বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন পথের সূচনা করে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৫ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মুক্ত জীবনের ডাক
ফিচার ডেস্ক
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। কিন্তু সেই পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শহর কিংবা গ্রাম—প্রায় সবখানে প্রতিটি স্তরে পানির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা থাকে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা দুর্যোগকালে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগে