আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসি–কে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে সর্তক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে টিএসএমসি–কে
০৯ এপ্রিল ২০২৫ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসি–কে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে সর্তক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে টিএসএমসি–কে
০৯ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসি–কে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে সর্তক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে টিএসএমসি–কে
০৯ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মুক্ত জীবনের ডাক
ফিচার ডেস্ক
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসি–কে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে সর্তক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে টিএসএমসি–কে
০৯ এপ্রিল ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগে