দুজন মানুষ একসঙ্গে চলতে গেলে মনোমালিন্য হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কিছু সমস্যা এতই জটিল আকার ধারণ করে যে বাইরের কারও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য কাপল থেরাপি আশ্রয় নেন অনেকেই। তবে এই থেরাপি সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরলেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, মানব থেরাপিস্টের মতো সম্পর্কের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে ভালো পরামর্শও দিতে পারে এই প্রযুক্তি।
নতুন গবেষণাটি সম্প্রতি ‘প্লস মেন্টাল’ হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এটি পরিচালিত হয়েছে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং হ্যাচ ডেটা অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের যৌথ উদ্যোগে। গবেষণায় ৮৩০ জন নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন, যাঁদের অধিকাংশই কারও না কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য কাপল থেরাপির মতো পরিবেশ তৈরি করেন গবেষকেরা। সেখানে চ্যাটজিপিটি ও একজন থেরাপিস্টের উত্তর অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়। এরপর, অংশগ্রহণকারীদের কাজ ছিল প্রতিটি উত্তর শনাক্ত করা—অর্থাৎ, তারা বুঝতে চেষ্টা করতেন যে, কোন উত্তরটি মানব থেরাপিস্টের এবং কোনটি এআইয়ের।
এক অংশগ্রহণকারী তাঁদের সম্পর্কের শুরুতে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে চ্যাটজিপিটি প্রবল আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অপরজনের সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি চ্যাটজিপিটি স্বীকার করে যে গোপনীয়তা একটি ‘ভারী বোঝা’ হিসেবে কাজ করে এবং এটি ওই ব্যক্তির ওপর ‘গভীর প্রভাব’ ফেলে।
অপর দিকে, মানব থেরাপিস্টের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আপনার অভিজ্ঞতা শুনে দুঃখিত, এ ধরনের অপরাধবোধ বয়ে বেড়ানো খুবই কষ্টের এবং একাকিত্বের অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে।’
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চ্যাটজিপিটি যেসব উত্তর দিয়েছে সেগুলো মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মূলনীতি ভালোভাবে ধারণ করেছে এবং তাই সেগুলো অংশগ্রহণকারীদের বেশি পছন্দ হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ সময় সঠিকভাবে মানব থেরাপিস্টের লেখা চিহ্নিত করতে পেরেছেন, আর ৫১ দশমিক ২ শতাংশ সময় সঠিকভাবে চ্যাটজিপিটির লেখা শনাক্ত করতে পেরেছেন।
প্রতিটি পরীক্ষায়, এআইয়ের উত্তরগুলো প্রাসঙ্গিক ছিল। বক্তার অনুভূতি বোঝা থেকে শুরু করে সহানুভূতি দেখানো এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি সচেতনতার বিষয়ে চ্যাটজিপিটি খুবই উন্নতমানের উত্তর দিয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, থেরাপি দেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে চ্যাটজিপিটিকে এবং ভবিষ্যতে জেনএআই থেরাপি সেশনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানার প্রয়োজন, যাতে তারা সঠিকভাবে এআই মডেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গবেষকেরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে এআই মডেলগুলোকে যেন সতর্কতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে মডেলগুলো চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে, যাতে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত হয়।
দুজন মানুষ একসঙ্গে চলতে গেলে মনোমালিন্য হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কিছু সমস্যা এতই জটিল আকার ধারণ করে যে বাইরের কারও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য কাপল থেরাপি আশ্রয় নেন অনেকেই। তবে এই থেরাপি সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরলেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, মানব থেরাপিস্টের মতো সম্পর্কের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে ভালো পরামর্শও দিতে পারে এই প্রযুক্তি।
নতুন গবেষণাটি সম্প্রতি ‘প্লস মেন্টাল’ হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এটি পরিচালিত হয়েছে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং হ্যাচ ডেটা অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের যৌথ উদ্যোগে। গবেষণায় ৮৩০ জন নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন, যাঁদের অধিকাংশই কারও না কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য কাপল থেরাপির মতো পরিবেশ তৈরি করেন গবেষকেরা। সেখানে চ্যাটজিপিটি ও একজন থেরাপিস্টের উত্তর অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়। এরপর, অংশগ্রহণকারীদের কাজ ছিল প্রতিটি উত্তর শনাক্ত করা—অর্থাৎ, তারা বুঝতে চেষ্টা করতেন যে, কোন উত্তরটি মানব থেরাপিস্টের এবং কোনটি এআইয়ের।
এক অংশগ্রহণকারী তাঁদের সম্পর্কের শুরুতে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে চ্যাটজিপিটি প্রবল আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অপরজনের সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি চ্যাটজিপিটি স্বীকার করে যে গোপনীয়তা একটি ‘ভারী বোঝা’ হিসেবে কাজ করে এবং এটি ওই ব্যক্তির ওপর ‘গভীর প্রভাব’ ফেলে।
অপর দিকে, মানব থেরাপিস্টের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আপনার অভিজ্ঞতা শুনে দুঃখিত, এ ধরনের অপরাধবোধ বয়ে বেড়ানো খুবই কষ্টের এবং একাকিত্বের অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে।’
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চ্যাটজিপিটি যেসব উত্তর দিয়েছে সেগুলো মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মূলনীতি ভালোভাবে ধারণ করেছে এবং তাই সেগুলো অংশগ্রহণকারীদের বেশি পছন্দ হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ সময় সঠিকভাবে মানব থেরাপিস্টের লেখা চিহ্নিত করতে পেরেছেন, আর ৫১ দশমিক ২ শতাংশ সময় সঠিকভাবে চ্যাটজিপিটির লেখা শনাক্ত করতে পেরেছেন।
প্রতিটি পরীক্ষায়, এআইয়ের উত্তরগুলো প্রাসঙ্গিক ছিল। বক্তার অনুভূতি বোঝা থেকে শুরু করে সহানুভূতি দেখানো এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি সচেতনতার বিষয়ে চ্যাটজিপিটি খুবই উন্নতমানের উত্তর দিয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, থেরাপি দেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে চ্যাটজিপিটিকে এবং ভবিষ্যতে জেনএআই থেরাপি সেশনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানার প্রয়োজন, যাতে তারা সঠিকভাবে এআই মডেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গবেষকেরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে এআই মডেলগুলোকে যেন সতর্কতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে মডেলগুলো চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে, যাতে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করল ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান। সান ফ্রান্সিসকোতে এক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এর সঙ্গে কথা বলবে। এমনকি, ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি হয়তো মানুষের সমস্
৫ ঘণ্টা আগেচীনের বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবট গেমস। গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) শুরু হওয়া এই আয়োজনে ১৬টি দেশ থেকে ২৮০টি দল অংশ নিচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবোটিক্সে নিজেদের অগ্রগতি তুলে ধরতেই এমন আয়োজন করেছে চীন।
৭ ঘণ্টা আগেস্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। তবে শুরুর দিকের স্মার্টফোনগুলোতে এত ফিচার ছিল না এবং এত বিস্তৃত পরিসরেও ব্যবহার করা যেত না। সেই সময়ের স্মার্টফোনগুলো ছিল বড়, ভারী ও সীমিত ক্ষমতার।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান প্রজন্মের সাজসজ্জায় এসেছে এক অভিনব পরিবর্তন। চোখের নিচে কালো দাগ, ফ্যাকাশে মুখ আর ঠোঁটে হালকা বেগুনি রং মিলিয়ে এক ধরনের ক্লান্ত ও অবসন্ন মেকআপ লুক এখন টিকটকে খুবই জনপ্রিয়। এত দিন চেহারার যেসব ক্লান্তির চিহ্ন লুকানোর চেষ্টা করা হতো, এখন সেটাই ‘টায়ার্ড গার্ল’ নামের নতুন ট্রেন্ড।
৯ ঘণ্টা আগে