আকরাম খান
২৫ বছরে এই ট্রফি নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে, আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রায় সবই বলা হয়ে গেছে। তবে একটা বিষয় ভাবতে ভালো লাগে, আজ ক্রিকেট যে পর্যায়ে এসেছে সেটার শুরু তো ওখান থেকেই। এটা চিন্তা করলে অনেক গর্ব অনুভব করি। আরও ভালো লাগে, এখনো ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি।
একটা স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারি না, ট্রফি জয়ের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আমাদের যে বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। এটা অনেক বড় চমক ছিল আমাদের জন্য। আমরা সেভাবে জানতাম না, এত বড় সংবর্ধনার অভিজ্ঞতাও আমাদের ছিল না। যেকোনো সংবর্ধনায় মানুষের আগমনে একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। সেদিন জনসমগমের কোনো সীমা ছিল না। অগুনতি, অসংখ্য মানুষ এসেছিল আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে। আমার মনে হয় তখনই ক্রিকেট আমাদের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে। আইসিসি ট্রফি জেতার কারণে তখন দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবলকে টপকে ক্রিকেটে ওপর চলে গেছে।
আইসিসি ট্রফি জেতার পর গত ২৫ বছরে আমাদের ক্রিকেটের পথ চলাটা যদি দেখি, যে প্রত্যাশা আমাদের তৈরি হয়েছিল সে অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। আবার আমরা অনেক খারাপ করেছি, সেটিও নয়। এখন আমরা ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করছি। কিন্তু একই সঙ্গে টেস্টে সেভাবে ভালো করতে পারছি না। টেস্ট মর্যাদা পেয়েছি, সেটিও ২২ বছর হয়ে গেছে। এই সময়ে আমরা টেস্টে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। হ্যাঁ, আমরা এগোচ্ছি, কিন্তু ধীরে ধীরে।
ক্রিকেটের উন্নতি শুধু বোর্ডের একক চেষ্টায় হয় না। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবার চেষ্টাটা থাকতে হবে। ২৫ বছর আগের সঙ্গে যদি তুলনা করি, সে তুলনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ওই সময়ে ক্রিকেট বোর্ড আর্থিকভাবে খুব দুর্বল ছিল। আমরা আইসিসি ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম যে বিমানে, পুরো বিমানভাড়াই জোগাড় করতে পারেনি বোর্ড। বাকিতে টিকিট কিনে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখান থেকে আজ বোর্ড আর্থিকভাবে কত শক্তিশালী হয়েছে।
২৫ বছরে এসে আমাদের বড় যে ঘাটতি মনে হয়, আমরা ক্রিকেট খেলছি ঠিকই। কিন্তু সবকিছু ক্রিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। ক্রিকেটকে নিয়ে নন-ক্রিকেটিং বা ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। ক্রিকেটের উন্নতিতে এটাই এখন বড় বাধা। এটা হতে পারে অতিরিক্ত উন্মাদনার প্রভাব। এই ধরুন, আমরা খেলার চেয়ে বেশি আলোচনা করছি টস নিয়ে, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। সিনিয়র-জুনিয়র পার্থক্য, ব্যর্থতায় এক কোচ আরেক কোচকে, এক কর্মকর্তা আরেক কর্মকর্তাকে দায়ী করছে। এসব ব্যাপারে উন্নত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশকে আমাদের অনুসরণ করা উচিত। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথাই ধরুন, খেলার চেয়ে কথাই বেশি হয়েছে। শুধু খেলোয়াড়দের কথা বলছি না, সবার কথাই বলছি। কথা যদি কম হয়, ক্রিকেট এগোবে। না হলে প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোবে না।
আকরাম খান: আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক
২৫ বছরে এই ট্রফি নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে, আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রায় সবই বলা হয়ে গেছে। তবে একটা বিষয় ভাবতে ভালো লাগে, আজ ক্রিকেট যে পর্যায়ে এসেছে সেটার শুরু তো ওখান থেকেই। এটা চিন্তা করলে অনেক গর্ব অনুভব করি। আরও ভালো লাগে, এখনো ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি।
একটা স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারি না, ট্রফি জয়ের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আমাদের যে বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। এটা অনেক বড় চমক ছিল আমাদের জন্য। আমরা সেভাবে জানতাম না, এত বড় সংবর্ধনার অভিজ্ঞতাও আমাদের ছিল না। যেকোনো সংবর্ধনায় মানুষের আগমনে একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। সেদিন জনসমগমের কোনো সীমা ছিল না। অগুনতি, অসংখ্য মানুষ এসেছিল আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে। আমার মনে হয় তখনই ক্রিকেট আমাদের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে। আইসিসি ট্রফি জেতার কারণে তখন দেশের এক নম্বর খেলা ফুটবলকে টপকে ক্রিকেটে ওপর চলে গেছে।
আইসিসি ট্রফি জেতার পর গত ২৫ বছরে আমাদের ক্রিকেটের পথ চলাটা যদি দেখি, যে প্রত্যাশা আমাদের তৈরি হয়েছিল সে অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। আবার আমরা অনেক খারাপ করেছি, সেটিও নয়। এখন আমরা ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করছি। কিন্তু একই সঙ্গে টেস্টে সেভাবে ভালো করতে পারছি না। টেস্ট মর্যাদা পেয়েছি, সেটিও ২২ বছর হয়ে গেছে। এই সময়ে আমরা টেস্টে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। হ্যাঁ, আমরা এগোচ্ছি, কিন্তু ধীরে ধীরে।
ক্রিকেটের উন্নতি শুধু বোর্ডের একক চেষ্টায় হয় না। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবার চেষ্টাটা থাকতে হবে। ২৫ বছর আগের সঙ্গে যদি তুলনা করি, সে তুলনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ওই সময়ে ক্রিকেট বোর্ড আর্থিকভাবে খুব দুর্বল ছিল। আমরা আইসিসি ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম যে বিমানে, পুরো বিমানভাড়াই জোগাড় করতে পারেনি বোর্ড। বাকিতে টিকিট কিনে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখান থেকে আজ বোর্ড আর্থিকভাবে কত শক্তিশালী হয়েছে।
২৫ বছরে এসে আমাদের বড় যে ঘাটতি মনে হয়, আমরা ক্রিকেট খেলছি ঠিকই। কিন্তু সবকিছু ক্রিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। ক্রিকেটকে নিয়ে নন-ক্রিকেটিং বা ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। ক্রিকেটের উন্নতিতে এটাই এখন বড় বাধা। এটা হতে পারে অতিরিক্ত উন্মাদনার প্রভাব। এই ধরুন, আমরা খেলার চেয়ে বেশি আলোচনা করছি টস নিয়ে, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। সিনিয়র-জুনিয়র পার্থক্য, ব্যর্থতায় এক কোচ আরেক কোচকে, এক কর্মকর্তা আরেক কর্মকর্তাকে দায়ী করছে। এসব ব্যাপারে উন্নত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশকে আমাদের অনুসরণ করা উচিত। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথাই ধরুন, খেলার চেয়ে কথাই বেশি হয়েছে। শুধু খেলোয়াড়দের কথা বলছি না, সবার কথাই বলছি। কথা যদি কম হয়, ক্রিকেট এগোবে। না হলে প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোবে না।
আকরাম খান: আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
২২ মিনিট আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
২ ঘণ্টা আগে