Ajker Patrika

হামজার গোলের পর বিরতির আগে হংকংয়ের সমতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে হামজার উদ্‌যাপন। ছবি: ওমর ফারুক
১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে হামজার উদ্‌যাপন। ছবি: ওমর ফারুক

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে হামজা চৌধুরীকে বেঞ্চের খেলোয়াড় বানিয়ে দেন হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড। মাঠে এর জবাব দিতে মাত্র ১৩ মিনিট সময় নিলেন হামজা। তাঁর দুর্দান্ত গোলে হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতেই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যোগ করা সময়ে এভেরতনের গোলে সমতা আনে হংকং। জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ শেষ হলো তাই ১–১ ব্যবধানে।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচটি বাঁচা–মরার লড়াই। শুরুর একাদশে ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত শোমকে না রেখে চমক দেখান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশের ৪–৪–২ ছকে ভেঙে দিতে শুরুতে আক্রমণে উঠে হংকং।

৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ম্যাট ওরের শট দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।

১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে জাল কাঁপান হামজা চৌধুরী। বক্সের ঠিক ডান পাশে এর আগে ফাউলের শিকার হন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। শুরুতে অবশ্য তা শেখ মোরসালিন নিতে গিয়েছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের আলাপে পরে সরে আসেন মোরসালিন। হামজার বাঁকানোর ফ্রিকিক ম্যাট ওরের চুল ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় জালে।

সূক্ষ্ম কোণের এই গোলে হামজা যেন হংকংকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি বেঞ্চে থাকার মতো খেলোয়াড় নন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। এর আগে গত জুনে ভুটানের বিপক্ষে হেডে গোল করেন ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

১৫ মিনিটে গোলমুখে নেওয়া হংকং ফুটবলারের শট লাফিয়ে উঠে ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

৩৬ মিনিটে রাকিবের ক্রস রিসিভ করার মতো কেউ ছিলেন দেখে বল লুফে নিতে কোনো অসুবিধা হয়নি সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক ইয়াপ হুং ফাইয়ের।

পিছিয়ে যাওয়ার পর পাল্টা জবাব দিতে উতলা হয়ে থাকবে হংকং। হামজা সেটা বুঝে ফেলেন দ্রুতই। হোল্ডিং মিডফিল্ডারের জায়গা ছেড়ে কখন সেন্টারব্যাক , কখনো রাইট ব্যাক হয়ে ওঠেন তিনি। ৩৯ মিনিটে এভেরতন কামারগোকে আটকানোর চেষ্টা করে পারেননি। এভেরতন প্লেসিং শট মারলেও তা খুঁজে পায়নি জাল। ৪১ মিনিটে হংকং গোলের দেখা পেলেও অফসাইডের পতাকা আগেই তুলে রাখেন লাইন্সম্যান।

যোগ করার সময়ের চতুর্থ মিনিটে সেট পিস থেকে সমতা ফেরায় হংকং। কর্নার থেকে কয়েকটি হেড পেরিয়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন ফাহিম।কিন্তু হেডে ফাঁকায় থাকা এভেরতনের কাছে বল দিয়ে দেন তিনি। সেই সুযোগ আর কাজে লাগাতে ভুল করেননি এভেরতন। হতাশায় গোল লাইনের ভেতরই বলে লাথি মারেন হামজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত