সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
নির্বাচিত জেলা ক্রীড়া সংস্থাই জেলা পর্যায়ে খেলাধুলা সচল রাখে। অথচ ১৪ বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত হচ্ছে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে। এতে করে অচল হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে মোট ৬১টি ক্রীড়া সংগঠন রয়েছে। বেশির ভাগ সংগঠন মনে করে, অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জেলার ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনা ঠিকঠাক সম্ভব নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকার জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দিয়েছে। তবে অদৃশ্য কারণে নির্বাচন আয়োজনে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগসহ ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি সব ক্ষেত্রেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে। জেলা শহরের দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে পুরোনো স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধরনের মেলা, রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আর সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয় কালেভদ্রে। নিয়মিত খেলা না হওয়ায় অনিশ্চিত হতাশায় খেলোয়াড়, সংগঠকসহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তরুণ ক্রীড়াবিদেরা তাঁদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ক্রীড়া সংগঠনের নেতারা বলছেন, গত ১৪ বছরের মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে আয়োজিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ফাইনাল খেলা এখনো হয়নি। ২০১৮ ও ২০২০ সালে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল ২০২২ সালে। এ ছাড়া আর কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়নি। অ্যাডহক কমিটির মূল দায়িত্ব দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এম এ বারী খান। ২০১১ সালের ২১ জুলাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস পূর্বেই নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। ওই বছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে ১৫ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
অ্যাডহক কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করাসহ দায়িত্ব হস্তান্তর করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা থাকলেও ওই কমিটি বিভিন্ন টালবাহানা করে ১২ বছর কাটিয়ে দেয়। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ২৭ মার্চ ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন আয়োজনের কোনো ব্যবস্থা এখনো নিতে পারেনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার মুর্শেদ খান স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ সায়েদুল বাশার খান সায়েম বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা একটি অভিভাবকহীন ক্রীড়া সংস্থায় পরিণত হয়েছে । গত ১৪ বছর নির্বাচিত কোনো কমিটি নাই।’ সাবেক ক্রীড়াবিদ রাকিব মাহবুব বলেন, ‘পুরাতন স্টেডিয়ামে একসময় ক্রিকেট ও ফুটবল লিগ হতো। কিন্তু ক্রীড়া সংস্থা এবং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনাগ্রহে কোনো খেলারই আয়োজন হয় না। এই মাঠ হয়ে গেছে সব রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশ করার মাঠ। ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচাতে দ্রুত জেলা ক্রীড়া সংস্থার ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের দাবি জানাই।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নির্বাচিত জেলা ক্রীড়া সংস্থাই জেলা পর্যায়ে খেলাধুলা সচল রাখে। অথচ ১৪ বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত হচ্ছে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে। এতে করে অচল হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে মোট ৬১টি ক্রীড়া সংগঠন রয়েছে। বেশির ভাগ সংগঠন মনে করে, অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জেলার ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনা ঠিকঠাক সম্ভব নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকার জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দিয়েছে। তবে অদৃশ্য কারণে নির্বাচন আয়োজনে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগসহ ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি সব ক্ষেত্রেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে। জেলা শহরের দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে পুরোনো স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধরনের মেলা, রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আর সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয় কালেভদ্রে। নিয়মিত খেলা না হওয়ায় অনিশ্চিত হতাশায় খেলোয়াড়, সংগঠকসহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তরুণ ক্রীড়াবিদেরা তাঁদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ক্রীড়া সংগঠনের নেতারা বলছেন, গত ১৪ বছরের মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে আয়োজিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ফাইনাল খেলা এখনো হয়নি। ২০১৮ ও ২০২০ সালে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল ২০২২ সালে। এ ছাড়া আর কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়নি। অ্যাডহক কমিটির মূল দায়িত্ব দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এম এ বারী খান। ২০১১ সালের ২১ জুলাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস পূর্বেই নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। ওই বছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে ১৫ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
অ্যাডহক কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করাসহ দায়িত্ব হস্তান্তর করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা থাকলেও ওই কমিটি বিভিন্ন টালবাহানা করে ১২ বছর কাটিয়ে দেয়। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত ২৭ মার্চ ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন আয়োজনের কোনো ব্যবস্থা এখনো নিতে পারেনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার মুর্শেদ খান স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ সায়েদুল বাশার খান সায়েম বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা একটি অভিভাবকহীন ক্রীড়া সংস্থায় পরিণত হয়েছে । গত ১৪ বছর নির্বাচিত কোনো কমিটি নাই।’ সাবেক ক্রীড়াবিদ রাকিব মাহবুব বলেন, ‘পুরাতন স্টেডিয়ামে একসময় ক্রিকেট ও ফুটবল লিগ হতো। কিন্তু ক্রীড়া সংস্থা এবং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনাগ্রহে কোনো খেলারই আয়োজন হয় না। এই মাঠ হয়ে গেছে সব রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশ করার মাঠ। ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচাতে দ্রুত জেলা ক্রীড়া সংস্থার ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের দাবি জানাই।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শেষ মুহূর্তে রক্ষণ সামলাতে না পারার পুরোনো রোগই আবার কাল হয়ে দাঁড়াল। বাংলাদেশের মুখের কাছ থেকে জয়ের সমান এক ড্র কেড়ে নিয়ে দিনশেষে উৎসবে মেতে উঠল হংকং। এক হিসেবে জয়টা বরং উপহার দিয়েছে বাংলাদেশই। রক্ষণের ভুলগুলো তাই মেনে নিতে পারছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৯ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠে পয়েন্ট হারাতে হলো আবারও। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি যদি আক্ষেপ হয়ে থাকে, তাহলে গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ৪–৩ গোলের হারটি চরম হতাশার। দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তাতে ড্র মনে হচ্ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের ভেঙে পড়ার অভ্যাস আর গেল কই।
১০ ঘণ্টা আগেফুটবলে ভালো করার পূর্বশর্ত দলগত পারফরম্যান্স। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফুটবলারদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ টমাস টুখেল। তাঁর বিশ্বাস, দলীয় বন্ধন থাকলে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে পারবে ইংলিশরা।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রথমার্ধের উত্তাপ দ্বিতীয়ার্ধে বেড়ে উঠল আরও। হামজা-শমিতদের ঘাড়ে চড়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন দিন শেষে রূপ নিল চরম হতাশায়। হামজা চৌধুরী হয়ে পড়লেন বিমর্ষ, শমিত শোমও যেন বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ফাহামিদুল ইসলাম তো কেঁদেই ফেললেন। এভাবেও হারা যায়!
১২ ঘণ্টা আগে