ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অভ্যাসটা ভালোই রপ্ত করেছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে তো বটেই, বাজবল ঘরানার এই ব্যাটিং মাঝেমধ্যে ছাপিয়ে যায় টি-টোয়েন্টিকেও। অনেক সময় ইংল্যান্ড তাই সাদা পোশাকে ব্যাটিং করলেও ধন্দে পড়ে যেতে হয় এই ভেবে যে এখানে কোন সংস্করণের খেলাটা আসলে হচ্ছে।
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের কাজ অনেকটাই সেরে রেখেছিল ইংল্যান্ড। বাকিটুকু ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ১০৪ রানের আনুষ্ঠানিকতা সারতে ইংল্যান্ডের লেগেছে কেবল ৭৬ বল। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৯৯ রান যোগ করতে শেষ ৪ উইকেট হারায় কিউইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ব্ল্যাকক্যাপসরা জমা করতে পেরেছে ২৫৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন টম ব্লান্ডেল। ১৬৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে সেরা বোলিং করতে ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স বেছে নিয়েছেন কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসকেই। ৪২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
১০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে জ্যাক ক্রলিকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। ৮ বলে ১ রান করেন ক্রলি। ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জ্যাকব বেথেল। তিনি ও বেন ডাকেট মিলে নিউজিল্যান্ডের ওপর তাণ্ডব চালানো শুরু করেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসা টিম সাউদির ওভার থেকে ডাকেট একাই নিয়েছেন ১৬ রান। এই ওভারে ডাকেট ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ হলেও বেথেল যখন দেখলেন ডাকেটের বিধ্বংসী ব্যাটিং, তখন কি আর থেমে থাকা যায়! সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসা নাথান স্মিথকে ৪টি চার মেরে বেথেল নিলেন ১৬ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন বেথেল ও ডাকেট। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ডাকেটকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উইল ও’রুর্কি। ১৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন ডাকেট।
দুই ওপেনার ক্রলি ও ডাকেটের বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭.১ ওভারে ২ উইকেটে ৫৫ রান। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলেও ইংল্যান্ডের যে ম্যাচ জেতার জন্য ছিল বড্ড তাড়া। তৃতীয় উইকেটে জো রুট ও ডাকেট ৩৪ বলে ৪৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে ইংলিশদের ৮ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেন। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে স্মিথকে ডিপ স্কয়ার লেগে ঠেলে বেথেল এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। বেথেলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পাশাপাশি ইংলিশরাও পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। ৩৭ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন বেথেল।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন কার্স। ১০৬ রানে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এক টেস্টে এটাই তাঁর প্রথম ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ৩ ছক্কা।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় দুই মাস পর ফিরলেন কেইন উইলিয়ামসন। ফেরার ম্যাচে ৭ রানের জন্য হাতছাড়া করলেন ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৪৮ রানে। এরপর কিউইদের পিচ্ছিল হাতের সুযোগ নিয়ে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৯ রান করেছে। ১৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭১ রান করেন হ্যারি ব্রুক। ১৫১ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড যে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রান করেছে, সেখানে উইলিয়ামসন করেন ৬১ রান।
টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অভ্যাসটা ভালোই রপ্ত করেছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে তো বটেই, বাজবল ঘরানার এই ব্যাটিং মাঝেমধ্যে ছাপিয়ে যায় টি-টোয়েন্টিকেও। অনেক সময় ইংল্যান্ড তাই সাদা পোশাকে ব্যাটিং করলেও ধন্দে পড়ে যেতে হয় এই ভেবে যে এখানে কোন সংস্করণের খেলাটা আসলে হচ্ছে।
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের কাজ অনেকটাই সেরে রেখেছিল ইংল্যান্ড। বাকিটুকু ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ১০৪ রানের আনুষ্ঠানিকতা সারতে ইংল্যান্ডের লেগেছে কেবল ৭৬ বল। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৯৯ রান যোগ করতে শেষ ৪ উইকেট হারায় কিউইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ব্ল্যাকক্যাপসরা জমা করতে পেরেছে ২৫৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন টম ব্লান্ডেল। ১৬৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে সেরা বোলিং করতে ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স বেছে নিয়েছেন কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসকেই। ৪২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
১০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে জ্যাক ক্রলিকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। ৮ বলে ১ রান করেন ক্রলি। ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জ্যাকব বেথেল। তিনি ও বেন ডাকেট মিলে নিউজিল্যান্ডের ওপর তাণ্ডব চালানো শুরু করেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসা টিম সাউদির ওভার থেকে ডাকেট একাই নিয়েছেন ১৬ রান। এই ওভারে ডাকেট ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ হলেও বেথেল যখন দেখলেন ডাকেটের বিধ্বংসী ব্যাটিং, তখন কি আর থেমে থাকা যায়! সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসা নাথান স্মিথকে ৪টি চার মেরে বেথেল নিলেন ১৬ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন বেথেল ও ডাকেট। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ডাকেটকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উইল ও’রুর্কি। ১৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন ডাকেট।
দুই ওপেনার ক্রলি ও ডাকেটের বিদায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭.১ ওভারে ২ উইকেটে ৫৫ রান। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলেও ইংল্যান্ডের যে ম্যাচ জেতার জন্য ছিল বড্ড তাড়া। তৃতীয় উইকেটে জো রুট ও ডাকেট ৩৪ বলে ৪৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে ইংলিশদের ৮ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেন। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে স্মিথকে ডিপ স্কয়ার লেগে ঠেলে বেথেল এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। বেথেলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পাশাপাশি ইংলিশরাও পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। ৩৭ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন বেথেল।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন কার্স। ১০৬ রানে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এক টেস্টে এটাই তাঁর প্রথম ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ৩ ছক্কা।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় দুই মাস পর ফিরলেন কেইন উইলিয়ামসন। ফেরার ম্যাচে ৭ রানের জন্য হাতছাড়া করলেন ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৪৮ রানে। এরপর কিউইদের পিচ্ছিল হাতের সুযোগ নিয়ে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৯ রান করেছে। ১৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭১ রান করেন হ্যারি ব্রুক। ১৫১ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড যে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রান করেছে, সেখানে উইলিয়ামসন করেন ৬১ রান।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১৪ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৫ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৬ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৬ ঘণ্টা আগে