আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে। এই পরিবর্তন অত্যন্ত ধীর, তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন।
নাসার পাঠানো মহাকাশযান ও অ্যাপোলো অভিযানে নভোচারীদের বসানো আয়নার ওপর লেজার রশ্মি পাঠিয়ে এই দূরত্ব পরিমাপ করা হয়। চাঁদ থেকে আলো ফিরে আসতে সময় কত লাগছে, তা পরিমাপ করেই জানা যায় চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব কী হারে বাড়ছে।
চাঁদ ও পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ২ লাখ ৩৯ হাজার মাইল (৩ লাখ ৮৫ হাজার কিলোমিটার)। তবে চাঁদের কক্ষপথ সম্পূর্ণ বৃত্তাকার নয়, তাই এক মাসের মধ্যেই দূরত্বে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার পার্থক্য দেখা যায়। যখন চাঁদ সবচেয়ে কাছাকাছি আসে, তখনই ‘সুপারমুন’ দেখা যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর আকাশে অপেক্ষাকৃত বড় ও উজ্জ্বল পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়।
যে কারণে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ
এ ঘটনার মূল কারণ জোয়ার-ভাটা। চাঁদের মহাকর্ষ বল পৃথিবীর এক পাশকে অন্য পাশের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি আকর্ষণ করে। এর ফলে পৃথিবীর দুই পাশে দুটি জোয়ারের স্ফীতি তৈরি হয়—একটি চাঁদের দিকে মুখ করে, অপরটি বিপরীত দিকে।
চাঁদের দিকে পৃথিবীর যে অংশ থাকে, সেই অংশের সমুদ্রে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো স্থানে ঢেউয়ের উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত ওঠানামা করে।
পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় নিজের অক্ষের চারদিকে ঘোরে। ফলে এই জোয়ারের স্ফীতি চাঁদের সরাসরি আকর্ষণের তুলনায় সামান্য এগিয়ে থাকে। এই সামান্য এগিয়ে থাকা স্ফীতি পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে একটি শক্তি প্রয়োগ করে, যা চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এই প্রক্রিয়ায় চাঁদের গতি বাড়ে এবং তার কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। কক্ষপথ দীর্ঘ হওয়ায় পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্বও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এদিকে চাঁদের গতি বাড়াতে পৃথিবীকেই শক্তি খরচ করতে হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন একটু ধীর হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিসেকেন্ড করে বাড়ছে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। প্রতিবছর ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি দূরে সরে যাওয়া ৩ হাজার ৮৫ হাজার কিলোমিটারের তুলনায় খুবই সামান্য। এই প্রক্রিয়া এত ধীরে চলছে যে আগামী কয়েক কোটি বছরেও দিন হবে ২৪ ঘণ্টাই, থাকবে জোয়ার-ভাটা ও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
অতীতে কি চাঁদ কাছাকাছি ছিল
চাঁদ যখন ৪৫০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়, তখন তা পৃথিবীর অনেক কাছে ছিল। মনে করা হয়, একটি মঙ্গল গ্রহের মতো আকারের বস্তু পৃথিবীতে ধাক্কা খেয়ে প্রচুর উপাদান মহাকাশে ছিটকে যায় এবং তা থেকেই গঠিত হয় চাঁদ।
সেই সময় চাঁদ আকাশে অনেক বড় দেখাত। প্রাচীন জীবাশ্ম, যেমন ৭ কোটি বছর আগের ঝিনুকের খোলের দৈনিক বৃদ্ধি দেখে দেখা যায়, তখন এক দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। এতে স্পষ্ট হয়, তখন পৃথিবী দ্রুত ঘুরত এবং চাঁদ ছিল কাছাকাছি।
ভবিষ্যতে কী হবে
১০০ কোটি বছরের মধ্যে সূর্যের তাপে সমুদ্র শুকিয়ে যাবে। এর ফলে জোয়ার-ভাটার টান কমে যাবে এবং চাঁদের দূরে যাওয়ার গতি থেমে যাবে। কয়েক বিলিয়ন বছর পর সূর্য রেড জায়ান্টে পরিণত হবে এবং তখন পৃথিবী ও চাঁদ দুটোই ধ্বংস হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে প্রতি বছর গড়ে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে। এই পরিবর্তন অত্যন্ত ধীর, তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছেন।
নাসার পাঠানো মহাকাশযান ও অ্যাপোলো অভিযানে নভোচারীদের বসানো আয়নার ওপর লেজার রশ্মি পাঠিয়ে এই দূরত্ব পরিমাপ করা হয়। চাঁদ থেকে আলো ফিরে আসতে সময় কত লাগছে, তা পরিমাপ করেই জানা যায় চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব কী হারে বাড়ছে।
চাঁদ ও পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ২ লাখ ৩৯ হাজার মাইল (৩ লাখ ৮৫ হাজার কিলোমিটার)। তবে চাঁদের কক্ষপথ সম্পূর্ণ বৃত্তাকার নয়, তাই এক মাসের মধ্যেই দূরত্বে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার পার্থক্য দেখা যায়। যখন চাঁদ সবচেয়ে কাছাকাছি আসে, তখনই ‘সুপারমুন’ দেখা যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর আকাশে অপেক্ষাকৃত বড় ও উজ্জ্বল পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়।
যে কারণে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ
এ ঘটনার মূল কারণ জোয়ার-ভাটা। চাঁদের মহাকর্ষ বল পৃথিবীর এক পাশকে অন্য পাশের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি আকর্ষণ করে। এর ফলে পৃথিবীর দুই পাশে দুটি জোয়ারের স্ফীতি তৈরি হয়—একটি চাঁদের দিকে মুখ করে, অপরটি বিপরীত দিকে।
চাঁদের দিকে পৃথিবীর যে অংশ থাকে, সেই অংশের সমুদ্রে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো স্থানে ঢেউয়ের উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত ওঠানামা করে।
পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় নিজের অক্ষের চারদিকে ঘোরে। ফলে এই জোয়ারের স্ফীতি চাঁদের সরাসরি আকর্ষণের তুলনায় সামান্য এগিয়ে থাকে। এই সামান্য এগিয়ে থাকা স্ফীতি পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে একটি শক্তি প্রয়োগ করে, যা চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
এই প্রক্রিয়ায় চাঁদের গতি বাড়ে এবং তার কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। কক্ষপথ দীর্ঘ হওয়ায় পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্বও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এদিকে চাঁদের গতি বাড়াতে পৃথিবীকেই শক্তি খরচ করতে হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন একটু ধীর হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিসেকেন্ড করে বাড়ছে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। প্রতিবছর ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি দূরে সরে যাওয়া ৩ হাজার ৮৫ হাজার কিলোমিটারের তুলনায় খুবই সামান্য। এই প্রক্রিয়া এত ধীরে চলছে যে আগামী কয়েক কোটি বছরেও দিন হবে ২৪ ঘণ্টাই, থাকবে জোয়ার-ভাটা ও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
অতীতে কি চাঁদ কাছাকাছি ছিল
চাঁদ যখন ৪৫০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়, তখন তা পৃথিবীর অনেক কাছে ছিল। মনে করা হয়, একটি মঙ্গল গ্রহের মতো আকারের বস্তু পৃথিবীতে ধাক্কা খেয়ে প্রচুর উপাদান মহাকাশে ছিটকে যায় এবং তা থেকেই গঠিত হয় চাঁদ।
সেই সময় চাঁদ আকাশে অনেক বড় দেখাত। প্রাচীন জীবাশ্ম, যেমন ৭ কোটি বছর আগের ঝিনুকের খোলের দৈনিক বৃদ্ধি দেখে দেখা যায়, তখন এক দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। এতে স্পষ্ট হয়, তখন পৃথিবী দ্রুত ঘুরত এবং চাঁদ ছিল কাছাকাছি।
ভবিষ্যতে কী হবে
১০০ কোটি বছরের মধ্যে সূর্যের তাপে সমুদ্র শুকিয়ে যাবে। এর ফলে জোয়ার-ভাটার টান কমে যাবে এবং চাঁদের দূরে যাওয়ার গতি থেমে যাবে। কয়েক বিলিয়ন বছর পর সূর্য রেড জায়ান্টে পরিণত হবে এবং তখন পৃথিবী ও চাঁদ দুটোই ধ্বংস হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
চীনের পাহাড়ি অঞ্চলের গভীরে নির্মিত একটি গবেষণা কেন্দ্র হয়তো উন্মোচন করতে চলেছে মহাবিশ্বের অজানা রহস্য। বহু বছর ধরে পদার্থবিদেরা রহস্যময় ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ বা নিউট্রিনো নিয়ে বিভ্রান্ত ছিলেন। এই কণাগুলো বৈদ্যুতিকভাবে নিরপেক্ষ উপ-পারমাণবিক কণা এবং এগুলোকে বিদ্যুৎ বা চৌম্বক বল দিয়ে ধরা যায় না।
২ দিন আগেসৌর ব্যতিচার বা সান আউটেজ হলো একটি সাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা, যেখানে পৃথিবী ও একটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের মধ্যবর্তী সরলরেখায় সূর্য চলে আসে। ফলে স্যাটেলাইট সিগন্যালে সাময়িক বাধা সৃষ্টি হয়। এ সময় সূর্য থেকে আসা বিকিরণ স্যাটেলাইট অ্যানটেনা ও আর্থ স্টেশনকে (ভূ-কেন্দ্র) ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২ দিন আগেচারদিকে দ্বীপ আর সমুদ্রঘেরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ কেবল টিকে থাকছিল না, বরং তারা গভীর সমুদ্রে গিয়ে শিকার করছিল বড়সড়, দ্রুতগতির মাছ। যেমন: টুনা ও হাঙর। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়।
২ দিন আগেবিশ্বের প্রাচীনতম মানব মমি চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার বছর আগে ধোঁয়ায় শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছিল বলে জানালেন গবেষকেরা। মমিফিকেশন পদ্ধতি চালু হওয়ার বহু আগেই, যখন মিশর ও চিলেতে মমি তৈরির রেওয়াজ ছিল না, তখন এই অঞ্চলে মৃতদেহ সংরক্ষণের এই অভিনব রীতির প্রচলন ছিল।
২ দিন আগে