বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
ঠিক সকাল ৭টায় কাউন্টডাউন শুরু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০ মিনিটের মাথায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে যাত্রা করে রকেটটি।
টেক্সাসের নীল আকাশে এত বড় ও শক্তিশালী রকেটটির দিকে নজর রাখেন হাজার হাজার মানুষ।
স্পষ্টত রকেটটির এই দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রথমটির চেয়ে অনেকখানি সফল হয়েছে। কারণ, এটির বুস্টার অংশটি সফলভাবে আলাদা হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই বুস্টারটি বিস্ফোরিত হয়। স্পেসএক্সের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এটি তাঁদের পরিকল্পনায় ছিল না। বুস্টারটির ভূমিতে ফিরে আসার কথা ছিল।
এরপর রকেটটি দ্বিতীয় ধাপের জন্য ঊর্ধ্বাকাশে উঠতে থাকে। তবে কয়েক মিনিট পরেই স্পেসএক্স থেকে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রকেটের ওপরের অংশটির সাড়ে আট মিনিট পর্যন্ত ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে বা পরে রকেটের কম্পিউটারের আত্মঘাতী প্রোগ্রাম সক্রিয় হয়। রকেটি বিস্ফোরিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়েছে।
রকেটটি ধ্বংস করার প্রধান কারণ হলো এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আফ্রিকার ভূমিতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ধ্বংস হওয়ার আগে এটি ভূমি থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার ওপরে যে গতিতে উড়ছিল, তাতে এর ধ্বংসাবশেষ আফ্রিকায় গিয়ে পড়তে পারত।
স্পেসএক্সের এই স্টারশিপ রকেটে জ্বালানি ছিল ৪ হাজার ৫০০ টন। এর উচ্চতা ১২০ মিটার এবং এটি ১ লাখ ৫০ হাজার কেজি ওজন (পে লোড) বহনে সক্ষম।
স্টারশিপকে স্বপ্নের প্রকল্প বলে বর্ণনা করেন ইলন মাস্ক। তাঁর লক্ষ্য, এই রকেটে মানুষকে মঙ্গলে পাঠানো। মঙ্গলে মানুষের উপনিবেশ স্থাপন করতে চান তিনি।
কোটি কোটি ডলার খরচ করে বানানো রকেট এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়াকে কি বড় ক্ষতি বলা যায় না? এত টাকা আটলান্টিকে গেলেও স্পেসএক্স এটিকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে। তাঁরা বলছেন, এই উৎক্ষেপণের সব তথ্য-উপাত্ত তাঁরা এখন বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করবেন, সমস্যাটা কোথায় ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান বিল নেলসন স্পেসএক্স টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন। আজকের এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘মহাকাশে উড়ান হলো সাহসী অভিযাত্রা, এতে লাগে “আমরাও পারি” বলার মতো মানসিক শক্তি এবং সাহসী উদ্ভাবন। আজকের এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ অনেক শেখার এবং আবার উড়ানের একটি সুযোগ।’
বিল নেলসন আরও বলেছেন, ‘নাসা এবং স্পেসএক্স চাঁদ, মঙ্গল এবং এসব ছাড়িয়ে মহাবিশ্বে মানুষকে পৌঁছে দেবে।’
স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্কও এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্টারশিপের মাধ্যমেই মানুষকে আন্তগ্রহ প্রজাতি রূপে উন্নীত করার স্বপ্নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুপার হেভি বুস্টারে ৩৩টি র্যাপটর ইঞ্জিন নিয়ে স্টারশিপ সফলভাবে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে। এরপর এটি সফলভাবেই প্রথম ধাপ (বুস্টার বিচ্ছিন্ন হওয়া) সম্পন্ন করেছে।
এর আগে প্রথম পরীক্ষায় স্টারশিপটি সফলভাবে উৎক্ষিপ্ত হলেও বুস্টার বিচ্ছিন্নকরণের সময় এটি বিস্ফোরিত হয়। গত এপ্রিলে প্রথম পরীক্ষা চালায় স্পেসএক্স। দ্রুত দ্বিতীয় পরীক্ষার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেছে।
পরবর্তী পরীক্ষা সফল হলে স্টারশিপকে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণের পরিকল্পনা রয়েছে স্পেসএক্সের।
বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
ঠিক সকাল ৭টায় কাউন্টডাউন শুরু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০ মিনিটের মাথায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে যাত্রা করে রকেটটি।
টেক্সাসের নীল আকাশে এত বড় ও শক্তিশালী রকেটটির দিকে নজর রাখেন হাজার হাজার মানুষ।
স্পষ্টত রকেটটির এই দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রথমটির চেয়ে অনেকখানি সফল হয়েছে। কারণ, এটির বুস্টার অংশটি সফলভাবে আলাদা হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই বুস্টারটি বিস্ফোরিত হয়। স্পেসএক্সের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এটি তাঁদের পরিকল্পনায় ছিল না। বুস্টারটির ভূমিতে ফিরে আসার কথা ছিল।
এরপর রকেটটি দ্বিতীয় ধাপের জন্য ঊর্ধ্বাকাশে উঠতে থাকে। তবে কয়েক মিনিট পরেই স্পেসএক্স থেকে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রকেটের ওপরের অংশটির সাড়ে আট মিনিট পর্যন্ত ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে বা পরে রকেটের কম্পিউটারের আত্মঘাতী প্রোগ্রাম সক্রিয় হয়। রকেটি বিস্ফোরিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়েছে।
রকেটটি ধ্বংস করার প্রধান কারণ হলো এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আফ্রিকার ভূমিতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ধ্বংস হওয়ার আগে এটি ভূমি থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার ওপরে যে গতিতে উড়ছিল, তাতে এর ধ্বংসাবশেষ আফ্রিকায় গিয়ে পড়তে পারত।
স্পেসএক্সের এই স্টারশিপ রকেটে জ্বালানি ছিল ৪ হাজার ৫০০ টন। এর উচ্চতা ১২০ মিটার এবং এটি ১ লাখ ৫০ হাজার কেজি ওজন (পে লোড) বহনে সক্ষম।
স্টারশিপকে স্বপ্নের প্রকল্প বলে বর্ণনা করেন ইলন মাস্ক। তাঁর লক্ষ্য, এই রকেটে মানুষকে মঙ্গলে পাঠানো। মঙ্গলে মানুষের উপনিবেশ স্থাপন করতে চান তিনি।
কোটি কোটি ডলার খরচ করে বানানো রকেট এভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়াকে কি বড় ক্ষতি বলা যায় না? এত টাকা আটলান্টিকে গেলেও স্পেসএক্স এটিকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে। তাঁরা বলছেন, এই উৎক্ষেপণের সব তথ্য-উপাত্ত তাঁরা এখন বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করবেন, সমস্যাটা কোথায় ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান বিল নেলসন স্পেসএক্স টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন। আজকের এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘মহাকাশে উড়ান হলো সাহসী অভিযাত্রা, এতে লাগে “আমরাও পারি” বলার মতো মানসিক শক্তি এবং সাহসী উদ্ভাবন। আজকের এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ অনেক শেখার এবং আবার উড়ানের একটি সুযোগ।’
বিল নেলসন আরও বলেছেন, ‘নাসা এবং স্পেসএক্স চাঁদ, মঙ্গল এবং এসব ছাড়িয়ে মহাবিশ্বে মানুষকে পৌঁছে দেবে।’
স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্কও এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্টারশিপের মাধ্যমেই মানুষকে আন্তগ্রহ প্রজাতি রূপে উন্নীত করার স্বপ্নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুপার হেভি বুস্টারে ৩৩টি র্যাপটর ইঞ্জিন নিয়ে স্টারশিপ সফলভাবে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে। এরপর এটি সফলভাবেই প্রথম ধাপ (বুস্টার বিচ্ছিন্ন হওয়া) সম্পন্ন করেছে।
এর আগে প্রথম পরীক্ষায় স্টারশিপটি সফলভাবে উৎক্ষিপ্ত হলেও বুস্টার বিচ্ছিন্নকরণের সময় এটি বিস্ফোরিত হয়। গত এপ্রিলে প্রথম পরীক্ষা চালায় স্পেসএক্স। দ্রুত দ্বিতীয় পরীক্ষার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেছে।
পরবর্তী পরীক্ষা সফল হলে স্টারশিপকে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণের পরিকল্পনা রয়েছে স্পেসএক্সের।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে