আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন
শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন
প্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
১৪ ঘণ্টা আগেমহাবিশ্বের একেবারে প্রারম্ভিক যুগে একটি বিশাল আকারের ব্ল্যাকহলো বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। তবে এটি তাত্ত্বিক সীমার চেয়েও ২ দশমিক ৪ গুণ বেশি হারে বড় হচ্ছে। এই আবিষ্কারটি মহাবিশ্বের শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল হয়ে উঠেছে, সেই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
২ দিন আগেফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়েরা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক কারণ।
২ দিন আগেপৃথিবী হয়তো সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা একা। প্রায়ই ছোট-বড় গ্রহাণু আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সাম্প্রতিক এমনই এক নতুন অতিথি ধরা দিয়েছে—গ্রহাণু ২০২৫ পিএন ৭ পিএন৭।
৩ দিন আগে