আজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এসব আলোকরেখার পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদ্গীরিত বরফকণার অবদান।
এক দশক আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবিগুলো ঘেঁটে এই অনন্য আবিষ্কার করেন ডাচ গবেষক নিলস রুব্রেখ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এই দল শনির বলয়ে ‘স্ট্রাইপ’ বা ডোরাকাটা আলোর উৎস খুঁজতে গিয়ে বিস্ময়কর এ তথ্য আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির পাশ দিয়ে ১৭তম বার যাওয়ার সময় এই ছবিগুলো সংগ্রহ করে।
গবেষকেরা দেখেন, এনসেলাডাস নামক শনির বরফময় উপগ্রহ থেকে বরফঝরনা বা বরফ উদ্গীরণ হয়। সেই সব বরফের কণাগুলো মিলেই শনির চারপাশে বিস্তৃত ‘ই’ (E) বলয় গঠন করেছে।
ছবিগুলো ক্যাসিনির ভিজুয়াল অ্যান্ড ইনফারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার ও ন্যারো–অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা (এসএসি) প্রযুক্তি দিয়ে ধারণ করা হয়। এনসেলাডাসকে ঘিরে স্পষ্ট ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপস আকৃতির আলো দেখা যায়।
শনির অন্যান্য উপগ্রহ যেমন: টাইটান, ডায়ন, ফিবি ও টেথিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাসিনি আরও ছবি তোলে। সেগুলোও গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। এসব ছবি একই ধরনের আলো-ছায়ার পরিস্থিতিতে তোলা হয়েছিল। তবে এই রহস্যময় আলোর রেখাগুলো আরও দুবার, ২০১০ সালের ডিসেম্বর ও ২০১২ সালের মে মাসে এনসেলাডাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবিতেই দেখা গেছে।
এই স্ট্রাইপগুলো শনির বলয়ের সমতল থেকে প্রায় ৪৩ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে আছে, যা সৌরজগতের সমতলের সঙ্গে ১৬ ডিগ্রি কোণ গঠন করে। ফলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন—এটি ক্যামেরার লেন্সে কোনো ত্রুটি নয়, বরং বাস্তব একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এই স্ট্রাইপগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এগুলোর অবস্থানে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে। এ থেকেই গবেষকেরা ধারণা করেন—এটি একটি আলোর অপবর্তনের ঘটনা।
যেমন পৃথিবীতে রংধনু তৈরি হয় বৃষ্টির পানির কণায় সূর্যালোক প্রতিফলিত ও প্রতিসরণ হয়ে, শনির বেলায় ঘটছে প্রায় একই ধরনের ঘটনা, যদিও এটি হচ্ছে মহাশূন্যে বরফের স্ফটিকের মাধ্যমে।
সবচেয়ে উজ্জ্বল যে স্ট্রাইপটি ক্যাসিনি দেখেছে, তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মাইক্রোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনসেলাডাস থেকে নির্গত ক্ষুদ্র বরফকণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে একটি ‘রিফ্লেকশন গ্রেটিং’ তৈরি করে, যার ফলে দেখা যায় রংধনুর মতো আলোর বিচ্ছুরণ।
এই আলোছায়া কেবল এনসেলাডাসের আশপাশেই দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়—উৎস সম্ভবত এনসেলাডাসের বরফের উদ্গীরণের মধ্যঙ১২ থেকেই আসছে।
উজ্জ্বল স্ট্রাইপের বর্ণালি বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো মূলত বরফ-পানির স্ফটিকের সঙ্গে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে। এর মানে, এই কণাগুলো সদ্য মহাশূন্যে নির্গত হয়েছে।
তবে গবেষকদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন এই কণাগুলো সাধারণ বরফ উদ্গীরণের কণার চেয়ে বড় এবং শনির রিংয়ের সমতল থেকে এতটা ঝুঁকে অবস্থান করছে।
এর আগেও সৌরজগতের অন্যান্য জায়গায় পৃথিবীর মতো আলো সম্পর্কিত ঘটনা দেখা গেছে। ২০১৪ সালে, ভেনাস এক্সপ্রেস অরবিটার শুক্র গ্রহের মেঘের স্তরে একটি ‘সান হালো’ বা আলোর বৃত্ত আবিষ্কার করেছিল। এমনকি মঙ্গল গ্রহেও পার্সিভিয়ারেন্স রোভার হেক্সাগনাল (ষড়ভুজাকার) বরফকণার কারণে রংধনুর মতো আলো শনাক্ত করেছে।
তবে শনির এই ‘রংধনু’ একেবারে ব্যতিক্রম, যা সৃষ্টি হয়েছে এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নাইট স্কাই ম্যাগাজিন

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এই আলোকরেখাগুলোর পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদগীরিত বরফকণার অবদান।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এই আলোকরেখাগুলোর পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদগীরিত বরফকণার অবদান।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এই আলোকরেখাগুলোর পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদগীরিত বরফকণার অবদান।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

শনির গ্রহকে ঘিরে থাকা বলয়গুলো নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে এবার গবেষকেরা বলয়ে পাওয়া এক আশ্চর্য রংধনুর ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন। রহস্যময় এই আলোকরেখাগুলোর পেছনে রয়েছে গ্রহটির চাঁদ এনসেলাডাস থেকে উদগীরিত বরফকণার অবদান।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে