আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়। এসব পাখির মধ্যে আর্কটিক টার্ন (Arctic tern বা Sterna paradisaea) নামের এক প্রজাতির পাখি পুরো জীবনে এত দূরত্ব অতিক্রম করে যে চাঁদ পর্যন্ত যাওয়া-আসার সমান হয়! মানুষের মতো জিপিএস বা কম্পাস না থাকলেও পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের পথ নির্ভুলভাবে পাড়ি দেয়। তাদের এই বিস্ময়কর দিক নির্ধারণ ক্ষমতা বরাবরই মানুষকে চমকে দেয়।
তাই পাখিদের দিক নির্ধারণের বিস্ময়কর ক্ষমতা কীভাবে কাজ করে—সে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে নানা গবেষণায় এই দক্ষতার পেছনে কিছু কারণও খুঁজে পেয়েছেন।
অদ্ভুত ইন্দ্রিয়শক্তির ব্যবহার
জার্মানির ইনস্টিটিউট অব অ্যাভিয়ান রিসার্চের পরিচালক মিরিয়াম লিডভোগেল লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আমরা জানি, পাখিরা সঠিক দিক নির্ধারণে নানা রকম সংকেত ব্যবহার করে।’
সবচেয়ে সাধারণ সংকেত হলো—দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি। একবার মৌসুমি যাত্রায় অংশ নেওয়া পাখিরা নদী বা পর্বতের মতো পরিচিত ভূচিত্র মনে রাখতে পারে। তবে সমুদ্রের ওপর দিয়ে যেসব পাখি উড়ে যায়, তাদের জন্য এ ধরনের চিহ্ন থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, স্কোপোলির শিয়ারওয়াটার (Calonectris diomedea) নামের সামুদ্রিক পাখির নাসারন্ধ্র বন্ধ করে দিলে তারা স্থলভাগের ওপর ঠিকঠাক উড়তে পারলেও পানির ওপর দিয়ে উড়ার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে। অর্থাৎ, ঘ্রাণশক্তিও তাদের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্য-নক্ষত্রের দিকনির্দেশ
দিনের বেলা উড়তে থাকা পাখিরা সূর্য ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করে। এই ‘সূর্য কম্পাস’ কাজ করে সূর্যের অবস্থান এবং পাখির অভ্যন্তরীণ দেহঘড়ির (circadian rhythm) সময়জ্ঞান মিলিয়ে। কৃত্রিম আলো দিয়ে যদি পাখির সময়জ্ঞান বিঘ্নিত করা হয়, তবে তারা দিক হারিয়ে ফেলে।
তবে বেশির ভাগ পাখি রাতের বেলা উড়ে, ফলে সূর্য তাদের কাজে আসে না। তখন তারা নির্ভর করে আকাশের নক্ষত্রের অবস্থান ও ঘূর্ণনের ওপর। বিশেষভাবে, তারা ধ্রুবতারাকে ঘিরে থাকা নক্ষত্র মণ্ডল চিনে রাখে। এভাবেই তারা ব্যবহার করে ‘তারকা কম্পাস’।
চুম্বকীয় অনুভূতি: ম্যাগনেটোরিসেপশন
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে সূর্য ও নক্ষত্র দেখা না গেলেও পাখিরা দিক নির্ণয় করতে পারে। এ অবস্থায় কাজ করে পাখির এক আশ্চর্য ইন্দ্রিয়—ম্যাগনেটোরিসেপশন। এই শক্তি পাখিকে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র বুঝতে সাহায্য করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ পিটার হোর মনে করেন, এই ইন্দ্রিয় ক্ষমতা কোনো এক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্ভর করে, যা চুম্বকক্ষেত্রের শক্তি ও দিক বুঝে কাজ করে। তাঁর মতে, এতে ক্রিপ্টোক্রোম (cryptochrome) নামক একটি অণু ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাখির চোখে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নীল আলোতে এই অণুটি চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সংবেদনশীল হয়। তবে এত সূক্ষ্মভাবে কাজ করে কীভাবে, তা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া পাখির ঠোঁটেও চুম্বকীয় অনুভূতি থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটের ওপরের অংশে ম্যাগনেটাইট (লোহাজাতীয় খনিজ) গ্রহণকারী রিসেপ্টর রয়েছে, যা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংযুক্ত। এটি চৌম্বক শক্তি নিরূপণে সাহায্য করতে পারে।
মেঘলা দিনেও দিক বোঝে পাখি
চুম্বকশক্তির পাশাপাশি পাখি মেঘলা আকাশেও দিক নির্ধারণে সহায়তা পায় সূর্যের আলো থেকে বিকিরিত পোলারাইজড লাইট (সুসংগঠিত বিকিরিত তরঙ্গ) মাধ্যমে। পাখির চোখে থাকা বিশেষ কোষ এই আলো বুঝতে পারে, এমনকি সূর্য দেখা না গেলেও।
রাতে চোখে কম দেখলে আমরা হাত নাড়িয়ে পথ বুঝে নিই, তেমনি পাখিরাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে।
লিডভোগেল বলেন, ‘পাখিরা তাদের সব সংকেতকে সমন্বয় করে দিক নির্ধারণ করে। যাত্রার বিভিন্ন পর্বে ভিন্ন সংকেত বেশি কার্যকর হয়।’
পিটার হোর বলেন, ঝড় কিংবা সৌড়ঝড় তেজস্ক্রিয়তার সময় চৌম্বকক্ষেত্র বিঘ্নিত হয়, তখন পাখিরা হয়তো অন্য সংকেতে ভরসা করে।
সবশেষে, এই দুর্দান্ত দক্ষতার ভিত্তি হলো পাখির জিনগত অভিবাসন প্রবণতা। এই অভ্যাস পাখির পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া। কত দূর যাবে, কোন দিকে যাবে—সবই জিনের মাধ্যমে নির্ধারিত। তবে ঠিক কোন জিনগুলো এ জন্য দায়ী, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
পাখি সংরক্ষণের জন্য তাদের এই রহস্যময় দক্ষতা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পাখিদের নতুন পরিবেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বা পুনর্বাসনের চেষ্টা চলে। তবে একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পাখিরা নতুন জায়গা ছেড়ে চলে যায়।
হোর বলেন, ‘মানুষের চেষ্টায় পাখিদের পুনর্বাসন খুব সফল হয়নি। কারণ, তারা এতটাই দক্ষ পথপ্রদর্শক যে তাদের সরিয়ে নিলেও তারা আবার ফিরে আসে।’
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়। এসব পাখির মধ্যে আর্কটিক টার্ন (Arctic tern বা Sterna paradisaea) নামের এক প্রজাতির পাখি পুরো জীবনে এত দূরত্ব অতিক্রম করে যে চাঁদ পর্যন্ত যাওয়া-আসার সমান হয়! মানুষের মতো জিপিএস বা কম্পাস না থাকলেও পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের পথ নির্ভুলভাবে পাড়ি দেয়। তাদের এই বিস্ময়কর দিক নির্ধারণ ক্ষমতা বরাবরই মানুষকে চমকে দেয়।
তাই পাখিদের দিক নির্ধারণের বিস্ময়কর ক্ষমতা কীভাবে কাজ করে—সে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে নানা গবেষণায় এই দক্ষতার পেছনে কিছু কারণও খুঁজে পেয়েছেন।
অদ্ভুত ইন্দ্রিয়শক্তির ব্যবহার
জার্মানির ইনস্টিটিউট অব অ্যাভিয়ান রিসার্চের পরিচালক মিরিয়াম লিডভোগেল লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আমরা জানি, পাখিরা সঠিক দিক নির্ধারণে নানা রকম সংকেত ব্যবহার করে।’
সবচেয়ে সাধারণ সংকেত হলো—দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি। একবার মৌসুমি যাত্রায় অংশ নেওয়া পাখিরা নদী বা পর্বতের মতো পরিচিত ভূচিত্র মনে রাখতে পারে। তবে সমুদ্রের ওপর দিয়ে যেসব পাখি উড়ে যায়, তাদের জন্য এ ধরনের চিহ্ন থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, স্কোপোলির শিয়ারওয়াটার (Calonectris diomedea) নামের সামুদ্রিক পাখির নাসারন্ধ্র বন্ধ করে দিলে তারা স্থলভাগের ওপর ঠিকঠাক উড়তে পারলেও পানির ওপর দিয়ে উড়ার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে। অর্থাৎ, ঘ্রাণশক্তিও তাদের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্য-নক্ষত্রের দিকনির্দেশ
দিনের বেলা উড়তে থাকা পাখিরা সূর্য ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করে। এই ‘সূর্য কম্পাস’ কাজ করে সূর্যের অবস্থান এবং পাখির অভ্যন্তরীণ দেহঘড়ির (circadian rhythm) সময়জ্ঞান মিলিয়ে। কৃত্রিম আলো দিয়ে যদি পাখির সময়জ্ঞান বিঘ্নিত করা হয়, তবে তারা দিক হারিয়ে ফেলে।
তবে বেশির ভাগ পাখি রাতের বেলা উড়ে, ফলে সূর্য তাদের কাজে আসে না। তখন তারা নির্ভর করে আকাশের নক্ষত্রের অবস্থান ও ঘূর্ণনের ওপর। বিশেষভাবে, তারা ধ্রুবতারাকে ঘিরে থাকা নক্ষত্র মণ্ডল চিনে রাখে। এভাবেই তারা ব্যবহার করে ‘তারকা কম্পাস’।
চুম্বকীয় অনুভূতি: ম্যাগনেটোরিসেপশন
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে সূর্য ও নক্ষত্র দেখা না গেলেও পাখিরা দিক নির্ণয় করতে পারে। এ অবস্থায় কাজ করে পাখির এক আশ্চর্য ইন্দ্রিয়—ম্যাগনেটোরিসেপশন। এই শক্তি পাখিকে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র বুঝতে সাহায্য করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ পিটার হোর মনে করেন, এই ইন্দ্রিয় ক্ষমতা কোনো এক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্ভর করে, যা চুম্বকক্ষেত্রের শক্তি ও দিক বুঝে কাজ করে। তাঁর মতে, এতে ক্রিপ্টোক্রোম (cryptochrome) নামক একটি অণু ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাখির চোখে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নীল আলোতে এই অণুটি চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সংবেদনশীল হয়। তবে এত সূক্ষ্মভাবে কাজ করে কীভাবে, তা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া পাখির ঠোঁটেও চুম্বকীয় অনুভূতি থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটের ওপরের অংশে ম্যাগনেটাইট (লোহাজাতীয় খনিজ) গ্রহণকারী রিসেপ্টর রয়েছে, যা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংযুক্ত। এটি চৌম্বক শক্তি নিরূপণে সাহায্য করতে পারে।
মেঘলা দিনেও দিক বোঝে পাখি
চুম্বকশক্তির পাশাপাশি পাখি মেঘলা আকাশেও দিক নির্ধারণে সহায়তা পায় সূর্যের আলো থেকে বিকিরিত পোলারাইজড লাইট (সুসংগঠিত বিকিরিত তরঙ্গ) মাধ্যমে। পাখির চোখে থাকা বিশেষ কোষ এই আলো বুঝতে পারে, এমনকি সূর্য দেখা না গেলেও।
রাতে চোখে কম দেখলে আমরা হাত নাড়িয়ে পথ বুঝে নিই, তেমনি পাখিরাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে।
লিডভোগেল বলেন, ‘পাখিরা তাদের সব সংকেতকে সমন্বয় করে দিক নির্ধারণ করে। যাত্রার বিভিন্ন পর্বে ভিন্ন সংকেত বেশি কার্যকর হয়।’
পিটার হোর বলেন, ঝড় কিংবা সৌড়ঝড় তেজস্ক্রিয়তার সময় চৌম্বকক্ষেত্র বিঘ্নিত হয়, তখন পাখিরা হয়তো অন্য সংকেতে ভরসা করে।
সবশেষে, এই দুর্দান্ত দক্ষতার ভিত্তি হলো পাখির জিনগত অভিবাসন প্রবণতা। এই অভ্যাস পাখির পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া। কত দূর যাবে, কোন দিকে যাবে—সবই জিনের মাধ্যমে নির্ধারিত। তবে ঠিক কোন জিনগুলো এ জন্য দায়ী, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
পাখি সংরক্ষণের জন্য তাদের এই রহস্যময় দক্ষতা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পাখিদের নতুন পরিবেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বা পুনর্বাসনের চেষ্টা চলে। তবে একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পাখিরা নতুন জায়গা ছেড়ে চলে যায়।
হোর বলেন, ‘মানুষের চেষ্টায় পাখিদের পুনর্বাসন খুব সফল হয়নি। কারণ, তারা এতটাই দক্ষ পথপ্রদর্শক যে তাদের সরিয়ে নিলেও তারা আবার ফিরে আসে।’
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়। এসব পাখির মধ্যে আর্কটিক টার্ন (Arctic tern বা Sterna paradisaea) নামের এক প্রজাতির পাখি পুরো জীবনে এত দূরত্ব অতিক্রম করে যে চাঁদ পর্যন্ত যাওয়া-আসার সমান হয়! মানুষের মতো জিপিএস বা কম্পাস না থাকলেও পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের পথ নির্ভুলভাবে পাড়ি দেয়। তাদের এই বিস্ময়কর দিক নির্ধারণ ক্ষমতা বরাবরই মানুষকে চমকে দেয়।
তাই পাখিদের দিক নির্ধারণের বিস্ময়কর ক্ষমতা কীভাবে কাজ করে—সে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে নানা গবেষণায় এই দক্ষতার পেছনে কিছু কারণও খুঁজে পেয়েছেন।
অদ্ভুত ইন্দ্রিয়শক্তির ব্যবহার
জার্মানির ইনস্টিটিউট অব অ্যাভিয়ান রিসার্চের পরিচালক মিরিয়াম লিডভোগেল লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আমরা জানি, পাখিরা সঠিক দিক নির্ধারণে নানা রকম সংকেত ব্যবহার করে।’
সবচেয়ে সাধারণ সংকেত হলো—দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি। একবার মৌসুমি যাত্রায় অংশ নেওয়া পাখিরা নদী বা পর্বতের মতো পরিচিত ভূচিত্র মনে রাখতে পারে। তবে সমুদ্রের ওপর দিয়ে যেসব পাখি উড়ে যায়, তাদের জন্য এ ধরনের চিহ্ন থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, স্কোপোলির শিয়ারওয়াটার (Calonectris diomedea) নামের সামুদ্রিক পাখির নাসারন্ধ্র বন্ধ করে দিলে তারা স্থলভাগের ওপর ঠিকঠাক উড়তে পারলেও পানির ওপর দিয়ে উড়ার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে। অর্থাৎ, ঘ্রাণশক্তিও তাদের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্য-নক্ষত্রের দিকনির্দেশ
দিনের বেলা উড়তে থাকা পাখিরা সূর্য ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করে। এই ‘সূর্য কম্পাস’ কাজ করে সূর্যের অবস্থান এবং পাখির অভ্যন্তরীণ দেহঘড়ির (circadian rhythm) সময়জ্ঞান মিলিয়ে। কৃত্রিম আলো দিয়ে যদি পাখির সময়জ্ঞান বিঘ্নিত করা হয়, তবে তারা দিক হারিয়ে ফেলে।
তবে বেশির ভাগ পাখি রাতের বেলা উড়ে, ফলে সূর্য তাদের কাজে আসে না। তখন তারা নির্ভর করে আকাশের নক্ষত্রের অবস্থান ও ঘূর্ণনের ওপর। বিশেষভাবে, তারা ধ্রুবতারাকে ঘিরে থাকা নক্ষত্র মণ্ডল চিনে রাখে। এভাবেই তারা ব্যবহার করে ‘তারকা কম্পাস’।
চুম্বকীয় অনুভূতি: ম্যাগনেটোরিসেপশন
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে সূর্য ও নক্ষত্র দেখা না গেলেও পাখিরা দিক নির্ণয় করতে পারে। এ অবস্থায় কাজ করে পাখির এক আশ্চর্য ইন্দ্রিয়—ম্যাগনেটোরিসেপশন। এই শক্তি পাখিকে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র বুঝতে সাহায্য করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ পিটার হোর মনে করেন, এই ইন্দ্রিয় ক্ষমতা কোনো এক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্ভর করে, যা চুম্বকক্ষেত্রের শক্তি ও দিক বুঝে কাজ করে। তাঁর মতে, এতে ক্রিপ্টোক্রোম (cryptochrome) নামক একটি অণু ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাখির চোখে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নীল আলোতে এই অণুটি চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সংবেদনশীল হয়। তবে এত সূক্ষ্মভাবে কাজ করে কীভাবে, তা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া পাখির ঠোঁটেও চুম্বকীয় অনুভূতি থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটের ওপরের অংশে ম্যাগনেটাইট (লোহাজাতীয় খনিজ) গ্রহণকারী রিসেপ্টর রয়েছে, যা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংযুক্ত। এটি চৌম্বক শক্তি নিরূপণে সাহায্য করতে পারে।
মেঘলা দিনেও দিক বোঝে পাখি
চুম্বকশক্তির পাশাপাশি পাখি মেঘলা আকাশেও দিক নির্ধারণে সহায়তা পায় সূর্যের আলো থেকে বিকিরিত পোলারাইজড লাইট (সুসংগঠিত বিকিরিত তরঙ্গ) মাধ্যমে। পাখির চোখে থাকা বিশেষ কোষ এই আলো বুঝতে পারে, এমনকি সূর্য দেখা না গেলেও।
রাতে চোখে কম দেখলে আমরা হাত নাড়িয়ে পথ বুঝে নিই, তেমনি পাখিরাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে।
লিডভোগেল বলেন, ‘পাখিরা তাদের সব সংকেতকে সমন্বয় করে দিক নির্ধারণ করে। যাত্রার বিভিন্ন পর্বে ভিন্ন সংকেত বেশি কার্যকর হয়।’
পিটার হোর বলেন, ঝড় কিংবা সৌড়ঝড় তেজস্ক্রিয়তার সময় চৌম্বকক্ষেত্র বিঘ্নিত হয়, তখন পাখিরা হয়তো অন্য সংকেতে ভরসা করে।
সবশেষে, এই দুর্দান্ত দক্ষতার ভিত্তি হলো পাখির জিনগত অভিবাসন প্রবণতা। এই অভ্যাস পাখির পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া। কত দূর যাবে, কোন দিকে যাবে—সবই জিনের মাধ্যমে নির্ধারিত। তবে ঠিক কোন জিনগুলো এ জন্য দায়ী, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
পাখি সংরক্ষণের জন্য তাদের এই রহস্যময় দক্ষতা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পাখিদের নতুন পরিবেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বা পুনর্বাসনের চেষ্টা চলে। তবে একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পাখিরা নতুন জায়গা ছেড়ে চলে যায়।
হোর বলেন, ‘মানুষের চেষ্টায় পাখিদের পুনর্বাসন খুব সফল হয়নি। কারণ, তারা এতটাই দক্ষ পথপ্রদর্শক যে তাদের সরিয়ে নিলেও তারা আবার ফিরে আসে।’
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়। এসব পাখির মধ্যে আর্কটিক টার্ন (Arctic tern বা Sterna paradisaea) নামের এক প্রজাতির পাখি পুরো জীবনে এত দূরত্ব অতিক্রম করে যে চাঁদ পর্যন্ত যাওয়া-আসার সমান হয়! মানুষের মতো জিপিএস বা কম্পাস না থাকলেও পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের পথ নির্ভুলভাবে পাড়ি দেয়। তাদের এই বিস্ময়কর দিক নির্ধারণ ক্ষমতা বরাবরই মানুষকে চমকে দেয়।
তাই পাখিদের দিক নির্ধারণের বিস্ময়কর ক্ষমতা কীভাবে কাজ করে—সে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে নানা গবেষণায় এই দক্ষতার পেছনে কিছু কারণও খুঁজে পেয়েছেন।
অদ্ভুত ইন্দ্রিয়শক্তির ব্যবহার
জার্মানির ইনস্টিটিউট অব অ্যাভিয়ান রিসার্চের পরিচালক মিরিয়াম লিডভোগেল লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আমরা জানি, পাখিরা সঠিক দিক নির্ধারণে নানা রকম সংকেত ব্যবহার করে।’
সবচেয়ে সাধারণ সংকেত হলো—দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি। একবার মৌসুমি যাত্রায় অংশ নেওয়া পাখিরা নদী বা পর্বতের মতো পরিচিত ভূচিত্র মনে রাখতে পারে। তবে সমুদ্রের ওপর দিয়ে যেসব পাখি উড়ে যায়, তাদের জন্য এ ধরনের চিহ্ন থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, স্কোপোলির শিয়ারওয়াটার (Calonectris diomedea) নামের সামুদ্রিক পাখির নাসারন্ধ্র বন্ধ করে দিলে তারা স্থলভাগের ওপর ঠিকঠাক উড়তে পারলেও পানির ওপর দিয়ে উড়ার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে। অর্থাৎ, ঘ্রাণশক্তিও তাদের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্য-নক্ষত্রের দিকনির্দেশ
দিনের বেলা উড়তে থাকা পাখিরা সূর্য ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করে। এই ‘সূর্য কম্পাস’ কাজ করে সূর্যের অবস্থান এবং পাখির অভ্যন্তরীণ দেহঘড়ির (circadian rhythm) সময়জ্ঞান মিলিয়ে। কৃত্রিম আলো দিয়ে যদি পাখির সময়জ্ঞান বিঘ্নিত করা হয়, তবে তারা দিক হারিয়ে ফেলে।
তবে বেশির ভাগ পাখি রাতের বেলা উড়ে, ফলে সূর্য তাদের কাজে আসে না। তখন তারা নির্ভর করে আকাশের নক্ষত্রের অবস্থান ও ঘূর্ণনের ওপর। বিশেষভাবে, তারা ধ্রুবতারাকে ঘিরে থাকা নক্ষত্র মণ্ডল চিনে রাখে। এভাবেই তারা ব্যবহার করে ‘তারকা কম্পাস’।
চুম্বকীয় অনুভূতি: ম্যাগনেটোরিসেপশন
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে সূর্য ও নক্ষত্র দেখা না গেলেও পাখিরা দিক নির্ণয় করতে পারে। এ অবস্থায় কাজ করে পাখির এক আশ্চর্য ইন্দ্রিয়—ম্যাগনেটোরিসেপশন। এই শক্তি পাখিকে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র বুঝতে সাহায্য করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ পিটার হোর মনে করেন, এই ইন্দ্রিয় ক্ষমতা কোনো এক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্ভর করে, যা চুম্বকক্ষেত্রের শক্তি ও দিক বুঝে কাজ করে। তাঁর মতে, এতে ক্রিপ্টোক্রোম (cryptochrome) নামক একটি অণু ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাখির চোখে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নীল আলোতে এই অণুটি চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সংবেদনশীল হয়। তবে এত সূক্ষ্মভাবে কাজ করে কীভাবে, তা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া পাখির ঠোঁটেও চুম্বকীয় অনুভূতি থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটের ওপরের অংশে ম্যাগনেটাইট (লোহাজাতীয় খনিজ) গ্রহণকারী রিসেপ্টর রয়েছে, যা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংযুক্ত। এটি চৌম্বক শক্তি নিরূপণে সাহায্য করতে পারে।
মেঘলা দিনেও দিক বোঝে পাখি
চুম্বকশক্তির পাশাপাশি পাখি মেঘলা আকাশেও দিক নির্ধারণে সহায়তা পায় সূর্যের আলো থেকে বিকিরিত পোলারাইজড লাইট (সুসংগঠিত বিকিরিত তরঙ্গ) মাধ্যমে। পাখির চোখে থাকা বিশেষ কোষ এই আলো বুঝতে পারে, এমনকি সূর্য দেখা না গেলেও।
রাতে চোখে কম দেখলে আমরা হাত নাড়িয়ে পথ বুঝে নিই, তেমনি পাখিরাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে।
লিডভোগেল বলেন, ‘পাখিরা তাদের সব সংকেতকে সমন্বয় করে দিক নির্ধারণ করে। যাত্রার বিভিন্ন পর্বে ভিন্ন সংকেত বেশি কার্যকর হয়।’
পিটার হোর বলেন, ঝড় কিংবা সৌড়ঝড় তেজস্ক্রিয়তার সময় চৌম্বকক্ষেত্র বিঘ্নিত হয়, তখন পাখিরা হয়তো অন্য সংকেতে ভরসা করে।
সবশেষে, এই দুর্দান্ত দক্ষতার ভিত্তি হলো পাখির জিনগত অভিবাসন প্রবণতা। এই অভ্যাস পাখির পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া। কত দূর যাবে, কোন দিকে যাবে—সবই জিনের মাধ্যমে নির্ধারিত। তবে ঠিক কোন জিনগুলো এ জন্য দায়ী, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
পাখি সংরক্ষণের জন্য তাদের এই রহস্যময় দক্ষতা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পাখিদের নতুন পরিবেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বা পুনর্বাসনের চেষ্টা চলে। তবে একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পাখিরা নতুন জায়গা ছেড়ে চলে যায়।
হোর বলেন, ‘মানুষের চেষ্টায় পাখিদের পুনর্বাসন খুব সফল হয়নি। কারণ, তারা এতটাই দক্ষ পথপ্রদর্শক যে তাদের সরিয়ে নিলেও তারা আবার ফিরে আসে।’
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
১৬ জুন ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
১৬ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৫ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
১৬ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

প্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
১৬ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে