অনলাইন ডেস্ক
উত্তর ও দক্ষিণ মেরু (পোলার কেপ) পরিভ্রমণের মিশন শেষে গত শুক্রবার পৃথিবীতে ফিরলেন এক ধনী বিটকয়েন উদ্যোক্তা ও তাঁর তিন সঙ্গী। স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেন তাঁরা। এটি ছিল পৃথিবীর মেরু অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান, যেখানে ক্যাপসুলটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে অবতরণ করে। এটি ছিল একটি প্রাইভেট মিশন। মহাকাশে পোলার অঞ্চলের দৃশ্য উপভোগের জন্য এই মিশন বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল।
স্পেসএক্স ফ্লাইটটি চারজনের জন্য ভাড়া করেছিলেন বিটকয়েন বিনিয়োগকারী চুন ওয়াং। এর ফলে তারা ড্রাগন ক্যাপসুলে ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। ক্যাপসুলটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউয়ার উইন্ডো দিয়ে তাঁরা পোলার কেপের (পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছের অঞ্চলের বরফ বা তুষারের অংশ) সবকিছু ভালোভাবে দেখতে পান। তবে এর জন্য স্পেসএক্সকে কত অর্থ দিতে হয়েছে, তা জানাননি ওয়াং। তবে জানা গেছে, এটি ছিল একটি সাড়ে তিন দিনের মহাকাশ ভ্রমণ।
গত সোমবার রাতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা এবং গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এটি ছিল প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট, যা পৃথিবী মেরু অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘুরে এসেছে এবং ৫০ বছর পর প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথম অবতরণ করে।
তাঁরা ৫৫ বার পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর ওপর দিয়ে মহাকাশে ভ্রমণ করেন। শেষ মুহূর্তে ক্রু ড্রাগনের ‘রেসিলিয়েন্স’ ক্যাপসুলটি তার ব্রেকিং রকেট চালিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চীনে জন্মগ্রহণকারী চুন ওয়াং (বর্তমানে মাল্টার) তিনজনকে নিয়ে এই অভিযানে গিয়েছিলেন। এই তিনজন হলেন—নরওয়েজীয় চলচ্চিত্রনির্মাতা জানিক মিক্কেলসেন, জার্মান রোবোটিক গবেষক রাবেয়া রগগে এবং অস্ট্রেলিয়ান পোলার গাইড এরিক ফিলিপস। তারা সবাই মহাকাশ থেকে দুই মেরুর দুর্দান্ত দৃশ্য উপভোগ করেন।
ক্যাপসুলে বেশির ভাগ ক্যামেরা সরঞ্জাম নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মিক্কেলসেন।
ওয়াং জানান, তাঁরা সবাই মহাকাশে পৌঁছানোর পর প্রথম দিনে গতিসংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিনে তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং দক্ষিণ মেরুর ঠিক ওপর থেকে জানালা খুলে পুরো দৃশ্য উপভোগ করেন।
পৃথিবীর ২৭০ মাইল (৪৩০ কিলোমিটার) ওপরে মহাকাশ থেকে ছবি ও ভিডিও তোলার পাশাপাশি দুই ডজন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন ওয়াং ও তাঁর দল। তাঁরা মহাকাশে প্রথম মেডিকেল এক্স-রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তাঁদের অভিযানটি ‘ফ্রাম ২’ নামে পরিচিত, যা ১০০ বছর আগে মেরু অভিযানে যাওয়া নরওয়েজিয়ান সেলিং শিপ ‘ফ্রাম’-এর নামানুসারে রাখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ছিল সেই জাহাজের কাঠের একটি টুকরো, যা তাঁদের অভিযানের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রশান্ত সাগরে অবতরণের পর নিজে নিজেই ক্যাপসুল থেকে বের হন তাঁরা। মহাকাশযান থেকে বের হওয়ার পর নভোচারীরা তাঁদের সঙ্গে থাকা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি (যেমন ক্যামেরা, এক্স-রে যন্ত্র বা অন্য কোনো গবেষণা সরঞ্জাম) বের করে নিয়ে আসেন এবং আনন্দে তাঁরা হাত উঠিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁরা মহাকাশযান অবতরণের স্থানটি ফ্লোরিডা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে পরিবর্তন করেছেন।
শেষবার, ১৯৭৫ সালে অ্যাপোলো-সোইয়ুজ মিশনে অংশগ্রহণকারী তিন নাসা নভোচারী মহাকাশ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেন।
উত্তর ও দক্ষিণ মেরু (পোলার কেপ) পরিভ্রমণের মিশন শেষে গত শুক্রবার পৃথিবীতে ফিরলেন এক ধনী বিটকয়েন উদ্যোক্তা ও তাঁর তিন সঙ্গী। স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেন তাঁরা। এটি ছিল পৃথিবীর মেরু অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান, যেখানে ক্যাপসুলটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে অবতরণ করে। এটি ছিল একটি প্রাইভেট মিশন। মহাকাশে পোলার অঞ্চলের দৃশ্য উপভোগের জন্য এই মিশন বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল।
স্পেসএক্স ফ্লাইটটি চারজনের জন্য ভাড়া করেছিলেন বিটকয়েন বিনিয়োগকারী চুন ওয়াং। এর ফলে তারা ড্রাগন ক্যাপসুলে ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। ক্যাপসুলটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউয়ার উইন্ডো দিয়ে তাঁরা পোলার কেপের (পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছের অঞ্চলের বরফ বা তুষারের অংশ) সবকিছু ভালোভাবে দেখতে পান। তবে এর জন্য স্পেসএক্সকে কত অর্থ দিতে হয়েছে, তা জানাননি ওয়াং। তবে জানা গেছে, এটি ছিল একটি সাড়ে তিন দিনের মহাকাশ ভ্রমণ।
গত সোমবার রাতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা এবং গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এটি ছিল প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট, যা পৃথিবী মেরু অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘুরে এসেছে এবং ৫০ বছর পর প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথম অবতরণ করে।
তাঁরা ৫৫ বার পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর ওপর দিয়ে মহাকাশে ভ্রমণ করেন। শেষ মুহূর্তে ক্রু ড্রাগনের ‘রেসিলিয়েন্স’ ক্যাপসুলটি তার ব্রেকিং রকেট চালিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চীনে জন্মগ্রহণকারী চুন ওয়াং (বর্তমানে মাল্টার) তিনজনকে নিয়ে এই অভিযানে গিয়েছিলেন। এই তিনজন হলেন—নরওয়েজীয় চলচ্চিত্রনির্মাতা জানিক মিক্কেলসেন, জার্মান রোবোটিক গবেষক রাবেয়া রগগে এবং অস্ট্রেলিয়ান পোলার গাইড এরিক ফিলিপস। তারা সবাই মহাকাশ থেকে দুই মেরুর দুর্দান্ত দৃশ্য উপভোগ করেন।
ক্যাপসুলে বেশির ভাগ ক্যামেরা সরঞ্জাম নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মিক্কেলসেন।
ওয়াং জানান, তাঁরা সবাই মহাকাশে পৌঁছানোর পর প্রথম দিনে গতিসংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিনে তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং দক্ষিণ মেরুর ঠিক ওপর থেকে জানালা খুলে পুরো দৃশ্য উপভোগ করেন।
পৃথিবীর ২৭০ মাইল (৪৩০ কিলোমিটার) ওপরে মহাকাশ থেকে ছবি ও ভিডিও তোলার পাশাপাশি দুই ডজন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন ওয়াং ও তাঁর দল। তাঁরা মহাকাশে প্রথম মেডিকেল এক্স-রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তাঁদের অভিযানটি ‘ফ্রাম ২’ নামে পরিচিত, যা ১০০ বছর আগে মেরু অভিযানে যাওয়া নরওয়েজিয়ান সেলিং শিপ ‘ফ্রাম’-এর নামানুসারে রাখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ছিল সেই জাহাজের কাঠের একটি টুকরো, যা তাঁদের অভিযানের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রশান্ত সাগরে অবতরণের পর নিজে নিজেই ক্যাপসুল থেকে বের হন তাঁরা। মহাকাশযান থেকে বের হওয়ার পর নভোচারীরা তাঁদের সঙ্গে থাকা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি (যেমন ক্যামেরা, এক্স-রে যন্ত্র বা অন্য কোনো গবেষণা সরঞ্জাম) বের করে নিয়ে আসেন এবং আনন্দে তাঁরা হাত উঠিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁরা মহাকাশযান অবতরণের স্থানটি ফ্লোরিডা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে পরিবর্তন করেছেন।
শেষবার, ১৯৭৫ সালে অ্যাপোলো-সোইয়ুজ মিশনে অংশগ্রহণকারী তিন নাসা নভোচারী মহাকাশ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেন।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে