আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
এক ইমেইলে স্বাধীন গবেষক ও ইজিপ্টোলজিস্ট (প্রাচীন মিসর বিশেষজ্ঞ) রেগ ক্লার্ক বলেন, ‘না, তারা পিরামিডে ফাঁদ ব্যবহার করেনি। তবে তারা ভেতরে প্রবেশের প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলতেন।’
পিরামিডের ভেতরে ফাঁদ থাকার ধারণাটি কোথা থেকে এসেছে তা পরিষ্কার নয়। ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ এবং ‘টুম্ব রাইডার’–এর মতো জনপ্রিয় ভিডিও গেমে প্রায়ই ফাঁদযুক্ত সমাধি দেখানো হয়। তবে প্রাচীন মিসরীয়রা এমন ফাঁদ (যেমন—ছদ্ম মেঝের নিচে পেরেকযুক্ত গর্ত বা দড়ি দিয়ে বাঁধা ফাঁদ) ব্যবহার করত বলে মনে হয় না।
আরেক মিসর বিশেষজ্ঞ রলফ ক্রাউস বলেন, ‘ফাঁদ সম্পর্কে মিসরের বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো তথ্য নেই। যারা পিরামিড লুট করতে আসত, তাদের থামাতে ফাঁদ কার্যকর হতো না। কারণ ডাকাতরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করত এবং একটি ফাঁদ সবাইকে আটকাতে পারত না।’
পিরামিড নির্মাতারা ডাকাতদের ঠেকাতে বিভিন্ন স্থাপত্য কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। এ বিষয়ে নিজের বই ‘সিকিউরিং এটারনিটি: অ্যানসিয়েন্ট ইজিপশিয়ান টুম্ব প্রোটেকশন ফ্রম প্রিহিস্টরি টু দ্য পিরামিডস’–এ রেগ ক্লার্ক লেখেন, পিরামিড নির্মাণের অন্যতম কারণ ছিল ফারাওয়ের শেষ বিশ্রামস্থল রক্ষা করা। এর আগে ফেরাউনদের সমাধি হতো ‘মাস্তাবা’ নামক ছোট, আয়তাকার সমাধিতে, যেগুলোতে ঢোকা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল।
অন্যদিকে, পিরামিডের ভেতরে বা নিচে ফারাওয়ের সমাধিকক্ষে পৌঁছানোর জন্য ডাকাতদের অনেক গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে হতো।
ক্লার্ক বলেন, পিরামিডের বিশাল ভর ও শক্ত নির্মাণ উপাদান ভেতরের কক্ষগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষিত করত। ফারাওকে দাফনের পর পিরামিডের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতো।
আবার গ্রেট পিরামিডের কিছু পথ আছে, যা সমাধিকক্ষে যায় না। এগুলোর উদ্দেশ্য আজও পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় এগুলো ডাকাতদের বিভ্রান্ত করতেই তৈরি করা হয়েছিল।
ক্লার্ক আরও বলেন, ‘কিছু পিরামিডে প্রবেশপথ ও সুড়ঙ্গপথ বন্ধ করার জন্য যে ব্যবস্থা ছিল, তা ডাকাতদের জন্য বিপদ ডেকে আনত। এর প্রমাণ মিলেছিল ১৯৫০-এর দশকে মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ জাকারিয়া গোনেইমের খননকালে। খনন চলাকালে ওপরের সুড়ঙ্গের ভেতরের অংশ ও ব্লকগুলো ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। এতে একজন শ্রমিক নিহত ও দুজন আহত হন।
বিশেষজ্ঞ ও ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ইয়ান লাইটবডি বলেন, সমাধি কক্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে মিসরীয়রা স্লাইডিং পাথরের ব্লক ব্যবহার করতেন। কিছু পিরামিডে ‘সুরক্ষার মন্ত্র’ লেখা ছিল। ‘পিরামিড টেক্সটস’ নামে পরিচিত এই লেখাগুলো ডাকাতদের ‘অভিশাপ’ দিত না।
তবে ধারণা করা হতো এসব ‘মন্ত্র’ ফারাওকে পরকালের যাত্রায় সুরক্ষা দেবে। একটি লাইনে বলা হয়েছে, ‘ওসিরিস, যারা [ফারাওকে] ঘৃণা করে, যারা তার নামের বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলে, তাদের সবাইকে দূর করে দাও।’
ডাকাতদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ছিল ধরা পড়ার পর শাস্তি। ২০ তম রাজবংশের (খ্রিষ্টপূর্ব ১১৮৬ থেকে ১০৭০) সময়ের এক লেখা থেকে জানা যায়, সমাধি লুটের শাস্তি ছিল নাক ও কান কেটে ফেলা এবং তারপর শূলে চরানো হতো।
এত সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও অনেক সুরক্ষা কৌশল ব্যর্থ হয়েছিল। ফারাও খুফুর জন্য নির্মিত গ্রেট পিরামিডসহ অনেক পিরামিডই প্রাচীন বা মধ্যযুগে লুট করা হয়েছিল। ১৮ তম রাজবংশের (খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১২৯৫) সময়ে রাজকীয় পিরামিড তৈরি বন্ধ করে দেয় মিসরীয়রা এবং এর পরিবর্তে ‘ভ্যালি অফ দ্য কিংস’-এ ফারাওদের দাফন করত। এর ফলে সমাধিগুলো সহজে রক্ষা করা যেত। তবে এটি চুরি আটকাতে পারেনি। তুতানখামুনের সমাধি ছাড়া বেশির ভাগ সমাধিই লুট হয়েছিল।
প্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
এক ইমেইলে স্বাধীন গবেষক ও ইজিপ্টোলজিস্ট (প্রাচীন মিসর বিশেষজ্ঞ) রেগ ক্লার্ক বলেন, ‘না, তারা পিরামিডে ফাঁদ ব্যবহার করেনি। তবে তারা ভেতরে প্রবেশের প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলতেন।’
পিরামিডের ভেতরে ফাঁদ থাকার ধারণাটি কোথা থেকে এসেছে তা পরিষ্কার নয়। ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ এবং ‘টুম্ব রাইডার’–এর মতো জনপ্রিয় ভিডিও গেমে প্রায়ই ফাঁদযুক্ত সমাধি দেখানো হয়। তবে প্রাচীন মিসরীয়রা এমন ফাঁদ (যেমন—ছদ্ম মেঝের নিচে পেরেকযুক্ত গর্ত বা দড়ি দিয়ে বাঁধা ফাঁদ) ব্যবহার করত বলে মনে হয় না।
আরেক মিসর বিশেষজ্ঞ রলফ ক্রাউস বলেন, ‘ফাঁদ সম্পর্কে মিসরের বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো তথ্য নেই। যারা পিরামিড লুট করতে আসত, তাদের থামাতে ফাঁদ কার্যকর হতো না। কারণ ডাকাতরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করত এবং একটি ফাঁদ সবাইকে আটকাতে পারত না।’
পিরামিড নির্মাতারা ডাকাতদের ঠেকাতে বিভিন্ন স্থাপত্য কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। এ বিষয়ে নিজের বই ‘সিকিউরিং এটারনিটি: অ্যানসিয়েন্ট ইজিপশিয়ান টুম্ব প্রোটেকশন ফ্রম প্রিহিস্টরি টু দ্য পিরামিডস’–এ রেগ ক্লার্ক লেখেন, পিরামিড নির্মাণের অন্যতম কারণ ছিল ফারাওয়ের শেষ বিশ্রামস্থল রক্ষা করা। এর আগে ফেরাউনদের সমাধি হতো ‘মাস্তাবা’ নামক ছোট, আয়তাকার সমাধিতে, যেগুলোতে ঢোকা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল।
অন্যদিকে, পিরামিডের ভেতরে বা নিচে ফারাওয়ের সমাধিকক্ষে পৌঁছানোর জন্য ডাকাতদের অনেক গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে হতো।
ক্লার্ক বলেন, পিরামিডের বিশাল ভর ও শক্ত নির্মাণ উপাদান ভেতরের কক্ষগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষিত করত। ফারাওকে দাফনের পর পিরামিডের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতো।
আবার গ্রেট পিরামিডের কিছু পথ আছে, যা সমাধিকক্ষে যায় না। এগুলোর উদ্দেশ্য আজও পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় এগুলো ডাকাতদের বিভ্রান্ত করতেই তৈরি করা হয়েছিল।
ক্লার্ক আরও বলেন, ‘কিছু পিরামিডে প্রবেশপথ ও সুড়ঙ্গপথ বন্ধ করার জন্য যে ব্যবস্থা ছিল, তা ডাকাতদের জন্য বিপদ ডেকে আনত। এর প্রমাণ মিলেছিল ১৯৫০-এর দশকে মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ জাকারিয়া গোনেইমের খননকালে। খনন চলাকালে ওপরের সুড়ঙ্গের ভেতরের অংশ ও ব্লকগুলো ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। এতে একজন শ্রমিক নিহত ও দুজন আহত হন।
বিশেষজ্ঞ ও ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ইয়ান লাইটবডি বলেন, সমাধি কক্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে মিসরীয়রা স্লাইডিং পাথরের ব্লক ব্যবহার করতেন। কিছু পিরামিডে ‘সুরক্ষার মন্ত্র’ লেখা ছিল। ‘পিরামিড টেক্সটস’ নামে পরিচিত এই লেখাগুলো ডাকাতদের ‘অভিশাপ’ দিত না।
তবে ধারণা করা হতো এসব ‘মন্ত্র’ ফারাওকে পরকালের যাত্রায় সুরক্ষা দেবে। একটি লাইনে বলা হয়েছে, ‘ওসিরিস, যারা [ফারাওকে] ঘৃণা করে, যারা তার নামের বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলে, তাদের সবাইকে দূর করে দাও।’
ডাকাতদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ছিল ধরা পড়ার পর শাস্তি। ২০ তম রাজবংশের (খ্রিষ্টপূর্ব ১১৮৬ থেকে ১০৭০) সময়ের এক লেখা থেকে জানা যায়, সমাধি লুটের শাস্তি ছিল নাক ও কান কেটে ফেলা এবং তারপর শূলে চরানো হতো।
এত সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও অনেক সুরক্ষা কৌশল ব্যর্থ হয়েছিল। ফারাও খুফুর জন্য নির্মিত গ্রেট পিরামিডসহ অনেক পিরামিডই প্রাচীন বা মধ্যযুগে লুট করা হয়েছিল। ১৮ তম রাজবংশের (খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১২৯৫) সময়ে রাজকীয় পিরামিড তৈরি বন্ধ করে দেয় মিসরীয়রা এবং এর পরিবর্তে ‘ভ্যালি অফ দ্য কিংস’-এ ফারাওদের দাফন করত। এর ফলে সমাধিগুলো সহজে রক্ষা করা যেত। তবে এটি চুরি আটকাতে পারেনি। তুতানখামুনের সমাধি ছাড়া বেশির ভাগ সমাধিই লুট হয়েছিল।
মহাবিশ্বের একেবারে প্রারম্ভিক যুগে একটি বিশাল আকারের ব্ল্যাকহলো বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। তবে এটি তাত্ত্বিক সীমার চেয়েও ২ দশমিক ৪ গুণ বেশি হারে বড় হচ্ছে। এই আবিষ্কারটি মহাবিশ্বের শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল হয়ে উঠেছে, সেই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১ দিন আগেফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়েরা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক কারণ।
২ দিন আগেপৃথিবী হয়তো সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা একা। প্রায়ই ছোট-বড় গ্রহাণু আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সাম্প্রতিক এমনই এক নতুন অতিথি ধরা দিয়েছে—গ্রহাণু ২০২৫ পিএন ৭ পিএন৭।
২ দিন আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে আকস্মিক ঝাঁকুনির ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কেবিন ক্রু। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার পথে ছিল উড়োজাহাজটি।
৩ দিন আগে