Ajker Patrika

ইউনূসের মুখের আদলে অসুরের মূর্তি নিম্ন রুচির পরিচয়, রিজভীর নিন্দা

বাসস, ঢাকা  
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : বাসস
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : বাসস

ভারতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এ বছরও হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে মণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এটাই আমাদের সম্প্রীতির ঐতিহ্য।’

ভারতে ড. ইউনূসের মুখাবয়বের আদলে তৈরি অসুরের মূর্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ। মোদি সরকার যদি ভারতে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নামিয়ে আনেন; আমরা সেটি গ্রহণ করব না। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করা যাবে না। তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘‘আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকব।’’’

রিজভী বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তারা ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই নতুন কোনো ইস্যু তৈরি করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে জনগণের কাছে ধরা পড়বেন।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভোটে তালা ঝুলিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। গরু-বাছুরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে, কিন্তু ভোটারদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দিনের ভোট রাতে পরিণত হয়েছে। র‍্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নিশ্চিত করবে জনগণের ভোটাধিকার। কারণ, এই সরকার নিরপেক্ষ থাকবে।

তবে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশেষ একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থক আমলাদের বসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে বলছি, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিন—যাঁরা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ব্যবহার করে দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাই জনগণ নতুন আরেকটি ফ্যাসিবাদের শাসন দেখতে চায় না।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারাবাহিকতা স্মরণ ধরে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে একদলীয় দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে। এরপর বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর ৫ আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান জাতিকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছেন।’

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা নানা চক্রান্ত করছে। তা বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যানও চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সব অন্ধকার দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রিজভী বলেন, ‘১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা ভারত থেকে ফিরে বলেছিলেন, বিএনপি ১০টির বেশি আসনও পাবে না। কিন্তু গত ১৬ বছর কারা আপসহীন লড়াই করেছে, জনগণ তা জানে। ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। ধানের শীষ তাদের প্রিয় প্রতীক। মিথ্যা প্রচার দিয়ে এটিকে দুর্বল করা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত