Ajker Patrika

৭০ অনুচ্ছেদ সংসদে হাত তোলা এমপি বানিয়েছে, জোনায়েদ সাকির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ২০: ২৬
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ গণতন্ত্রবিরোধী ও স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি আখ্যা দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এমপিরা হাত তোলা এমপি। তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়, কিন্তু পার্লামেন্টে গিয়ে দলের বাইরে কোনো ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নাই। এখানে তো একটা বিরাট দ্বন্দ্ব! দল আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছে, জনগণ কিন্তু আপনাকে নির্বাচিত করেছে। তাহলে এখানে কে প্রাধান্য পাবে? যদি জনগণ প্রাধান্য পায়, তাহলে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকতে পারে না। ৭০ অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের একটা সম্পূর্ণ বিরোধী জিনিস এবং এটাই যে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম একটা ভিত্তি, সেই আলোচনাটা আমরা করতে পারব।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাইসসের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আব্দুল কাইয়ুম, বাইসসের মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা হবে ভিত্তি, ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকবে। রিপাবলিক যদি করতে চান, ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে এবং এ জন্য গ্রাম পর্যন্ত ক্ষমতা যেতে হবে। সেটা করতে গেলে গ্রামের যারা জনপ্রতিনিধি, তাদের হাতে গ্রামের উন্নয়ন, কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাগরিক সেবা, আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এগুলো ছাড়তে হবে। এবং আপনার তার জন্য যে বাজেট, কর সংগ্রহ, সংরক্ষণ, এগুলো কাঠামোগত জায়গায় নিতে হবে। এমপিতন্ত্র কায়েম রাখলে এটা হবে না।’

সাকি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সব সময়ই বলি, আপনারা কিছু সিগনেচার ওয়ার্ক করেন। যতটুক সময় পাবেন, এই সময়ের মধ্যে আপনারা সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। কেউ প্রত্যাশাও করে না। আপনারা যেটা করতে পারবেন, অনেকগুলো বড় জায়গায় হাত দিতে পারেন। বড়, ছোট, যেগুলো মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এবং সেই সব কাজ যেগুলো মানুষের কাছে অসম্ভব মনে হতো, যেগুলো মনে হতো যে বাংলাদেশে কোনোদিন বদলাবে না, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সেটা যে পরিবর্তন করা সম্ভব, এইটা মানুষ উপলব্ধি করবে। ফলে মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা কিন্তু ভিন্ন জায়গায় চলে যাবে। এবং পরবর্তীতে কোনো সরকার আর মানুষের দুর্দশাকে দিনের পর দিন পুঁজি করতে পারত না।’

জনপ্রশাসনের সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আপনি একজন নাগরিক হিসেবে ইউএনও অফিসে যাচ্ছেন, একজন এসিল্যান্ডের কাছে যাচ্ছেন, আপনি একটু সম্মানের সহিত তার কাছ থেকে একটা ব্যবহার পাচ্ছেন? আপনার আম পাবলিকের কি কোনো পাত্তা আছে? মেম্বার-চেয়ারম্যানদের অনেক ক্ষেত্রে পাত্তা নাই, যদিও তারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমরা যদি দেখতাম যে, এই জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করা হয়েছে, যে প্রকৃত অর্থে তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক, অন্তর্বর্তী সরকার এসে একটা বিশাল পরিবর্তন এনেছে, তাহলে মানুষ সন্তুষ্ট হতো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের যৌন সহিংসতার প্রসঙ্গ জাতিসংঘে তুললেন ভারতীয় দূত

কেশবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বর্ণের কারিগরসহ দুই ব্যক্তি নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত