নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দুই প্রধান দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এই প্রশ্নে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এরই অংশ হিসেবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট নিরসনে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি—এই ছয় দল নিয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ।
দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রশ্নে তাঁরা এখন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আসতে চাইছেন। নিজেদের প্রস্তাবের ওপর জোর না দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবকে সমন্বয় করে একটি বা একাধিক গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
এ লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কৌশলসহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
গণতন্ত্র মঞ্চ বলছে, বৃহত্তর ঐকমত্যের প্রশ্নে সব দলেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণে অনেকে ঐকমত্য কমিশনে ছাড় দেননি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এই মঞ্চের শীর্ষনেতাদের ভাষ্য, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যকার মতানৈক্য দূর করে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। সেখানে জুলাই সনদের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরিতে দলগুলো আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান তাঁরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর হাতিরপুলে একটি রেস্তোরাঁয় বামপন্থী পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আরেকটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বৈঠকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ–মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম।
বৈঠকের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি পরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যকার মতানৈক্য দূর করে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করছে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক সংকট ও সমাধান, ফ্যাসিস্ট শক্তির বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ‘ছাড় দেওয়ার মানসিকতা’ পরিলক্ষিত হয়েছে জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আলোচনায় যেসব দল অংশ নিয়েছে, তাদের প্রতিটির মধ্যেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে। কঠোর অবস্থান আমরা পাইনি। এটা ইতিবাচক দিক। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে নিয়ে একটি কমন পথ বের করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
মঞ্চসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে একই বিষয়ে ১২-দলীয় জোটসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন মঞ্চের নেতারা।
সেসব আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বসা হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দুই প্রধান দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এই প্রশ্নে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এরই অংশ হিসেবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট নিরসনে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি—এই ছয় দল নিয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ।
দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রশ্নে তাঁরা এখন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আসতে চাইছেন। নিজেদের প্রস্তাবের ওপর জোর না দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবকে সমন্বয় করে একটি বা একাধিক গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
এ লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কৌশলসহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
গণতন্ত্র মঞ্চ বলছে, বৃহত্তর ঐকমত্যের প্রশ্নে সব দলেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণে অনেকে ঐকমত্য কমিশনে ছাড় দেননি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এই মঞ্চের শীর্ষনেতাদের ভাষ্য, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যকার মতানৈক্য দূর করে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। সেখানে জুলাই সনদের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরিতে দলগুলো আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান তাঁরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর হাতিরপুলে একটি রেস্তোরাঁয় বামপন্থী পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আরেকটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বৈঠকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ–মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম।
বৈঠকের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি পরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যকার মতানৈক্য দূর করে বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করছে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক সংকট ও সমাধান, ফ্যাসিস্ট শক্তির বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ‘ছাড় দেওয়ার মানসিকতা’ পরিলক্ষিত হয়েছে জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আলোচনায় যেসব দল অংশ নিয়েছে, তাদের প্রতিটির মধ্যেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে। কঠোর অবস্থান আমরা পাইনি। এটা ইতিবাচক দিক। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে নিয়ে একটি কমন পথ বের করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
মঞ্চসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে একই বিষয়ে ১২-দলীয় জোটসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন মঞ্চের নেতারা।
সেসব আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বসা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াইলরামাদান। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় আসেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত।
২৪ মিনিট আগেবিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল উপলক্ষে আয়োজিত এক ঘরোয়া আলোচনায় দরসে নেজামির আলেমদের জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন মাওলানা তারেক মনোয়ার। উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব। এর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি ইতিমধ্যে উক্ত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেছেন, ‘“আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে; যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল হতে পারে”...
২ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা। আজ মঙ্গলবার জামায়াতের বসুন্ধরার কার্যালয়ে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে সাক্
৩ ঘণ্টা আগে