নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশ পুলিশের হামলাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশের উচিত আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আমাদের অনেক নেতা আহত হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি পুলিশকে বলব, অবিলম্বে সকলকে মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা কোনো সন্ত্রাসী দল না। আমরা শান্তিপূর্ণ একটি দল। শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করি।’
আজ শনিবার ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বেলা সাড়ে ৩টার পর এ ঘটনায় লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি তুলে ধরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে আমাদের ৬৪ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছে। আমরা এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। এটি সত্য, পুলিশের কাছ থেকে আমরা কোনো ফরমাল অনুমতি পাইনি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি পার্টির অফিসের সামনে মিটিং হয় এবং আমাদের সমাবেশটি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তারা আশঙ্কা করছিল, আমাদের ওপর হামলা হতে পারে। তারা (পুলিশ) আমাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে।’
কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বাধা দেওয়া নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ একটি প্রোগ্রামে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ। অসংখ্য মানুষ ছিল পদদলিত হতে পারতেন। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পুলিশ সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন একটি আচরণ করেছে। একটি রাজনৈতিক দল তার অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে এবং পুলিশ সেখানে বাধা দেবে—এটা নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব। আমার ধারণা, উপর মহলের নির্দেশে তারা এটা করেছে। যে উপর মহলের নির্দেশে আগেও পুলিশ অন্যায় করত, সেই উপর মহলের আদেশে এখনো পুলিশ অন্যায় করছে।’
পুলিশের এই বাধা দেওয়াকে রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দাবি করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘আমি পুলিশকে কোনো দোষারোপ করব না, তারা চাকরি করে। উপর থেকে যে আদেশ আসছে, সেই আদেশ তারা পালন করে। এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।’
জাপার মহাসচিব বলেন, ‘সরকার আর কিছুদিন পরে ভোট করতে যাচ্ছে, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের একটি দিন ঘোষণা করেছে। যে দেশে আজকের দিনে যে ঘটনা ঘটল, এর মানে সরকার বা কেউ ভোটের সদিচ্ছা আছে, এমনটি আমার মনে হচ্ছে না। এই পরিবেশে দেশে ভোট হবে, এমনটি আমার মনে হচ্ছে না।’
জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘চরম অন্যায় আমাদের সাথে করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে আমাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানে দলের চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁর স্ত্রী ছিলেন, আমরা ছিলাম। সব সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছিলেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘পুলিশ অসংখ্য চেয়ার ভেঙেছে, চেয়ারের তো কোনো দোষ নেই। এই চেয়ারের তো কোনো আইন থাকতে পারে না। কিসের আক্রোশে পুলিশ এটি করল, আমরা জানি না। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় পার্টি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। জাতীয় পার্টি দিন দিন সঠিক রাজনীতি করছে এবং জাতীয় পার্টি আস্তে আস্তে সামনের ভোটে অথবা আন্দোলনে একটি বিশাল বড় ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে।’
শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘একটি মহল জাতীয় পার্টিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সেই মহলের উসকানিতে, সেই মহলের নির্দেশে আজকে এই কাজ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা গণতন্ত্রের জন্য খারাপ ও দুঃখের দিন। একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।’
জাপার মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, সকল রাজনৈতিক দলের উচিত পুলিশকে আহ্বান জানানো। এ ধরনের কোনো কার্যক্রম যেন পুলিশ কখনো কোনো দলের সাথে না করে। রাজনীতি মানেই বহু মত, বহু দল থাকবে, বহু মত থাকবে, সকলে রাজনীতিতে বিচরণ করবে। আপনি যখন একটি দলকে জোর করে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন, এটা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক আইনের শাসনের পরিপন্থী।’
জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘পুলিশের ওপর কোনো হামলা হয়নি। পুলিশের এ বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি কামনা করছি। যারা আহত হয়েছে, তাদের জন্য পুলিশের দুঃখপ্রকাশ করা উচিত। পুলিশের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। পুলিশের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব হওয়ার কোনো কারণ নেই। কখনো হাতাহাতি মারামারি হয়নি।’
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করে তোলা হচ্ছে দাবি করে শামীম হায়দার বলেন, ‘দেশ কি সংকটের মধ্যে যাচ্ছে? এখন দেশের শান্তির সময়ে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে এবং এই অশান্তি তৈরি করার মাধ্যমে টোটাল নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা তীব্রভাবে হোঁচট খাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রে অনেকে ফাঁদে পা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে নির্বাচনের কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অবশ্যই নেই। কারণ, যারা অফিসের সামনে মিটিং করে, তাদেরকে পুলিশ বাধা দেয়। সুতরাং এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা অসম্ভব কঠিন।’
পুলিশের আক্রমণে ২০ জন আহত ও ৮ জন আটকের কথা জানিয়ে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘জানতে পেরেছি, ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত অনেকের সেলাই পড়েছে, অনেকে রক্ত ঝরেছে। পুলিশ যখন দেখল, এখানে অনেক লোকেরা সমাগম হয়েছে, সেখানে সাউন্ড গ্রেনেড দেওয়াটা অত্যন্ত অপেশাদার আচরণ। অনেকে পদদলিত হয়ে মারা যেতে পারত।’
শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘আটজন গ্রেপ্তার-আটক হয়েছে, আমি পুলিশকে আহ্বান জানাব জাতীয় পার্টি কোনো ভেসে আসা দল নয়। জাতীয় পার্টি ৩৬৫ দিন রাজনীতি করে আজকে ৪০ বছর এবং নয়টি নির্বাচন করেছে, সরকারি দলে ছিল, বিরোধী দলে ছিল। আমরা সকল বিষয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করি। যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের কোনো মামলায় চালান না দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। পুলিশের সেই ক্ষমতা আছে এবং এটা পুলিশকে না করলে আমরা ধরে নেব, পুলিশ আমাদের প্রতি অন্যায় করছে, অবিচার করছে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ইকবাল হোসেন তাপস, ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশ পুলিশের হামলাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশের উচিত আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আমাদের অনেক নেতা আহত হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি পুলিশকে বলব, অবিলম্বে সকলকে মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা কোনো সন্ত্রাসী দল না। আমরা শান্তিপূর্ণ একটি দল। শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করি।’
আজ শনিবার ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বেলা সাড়ে ৩টার পর এ ঘটনায় লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি তুলে ধরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে আমাদের ৬৪ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছে। আমরা এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। এটি সত্য, পুলিশের কাছ থেকে আমরা কোনো ফরমাল অনুমতি পাইনি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি পার্টির অফিসের সামনে মিটিং হয় এবং আমাদের সমাবেশটি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তারা আশঙ্কা করছিল, আমাদের ওপর হামলা হতে পারে। তারা (পুলিশ) আমাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে।’
কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বাধা দেওয়া নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ একটি প্রোগ্রামে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ। অসংখ্য মানুষ ছিল পদদলিত হতে পারতেন। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, পুলিশ সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন একটি আচরণ করেছে। একটি রাজনৈতিক দল তার অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে এবং পুলিশ সেখানে বাধা দেবে—এটা নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব। আমার ধারণা, উপর মহলের নির্দেশে তারা এটা করেছে। যে উপর মহলের নির্দেশে আগেও পুলিশ অন্যায় করত, সেই উপর মহলের আদেশে এখনো পুলিশ অন্যায় করছে।’
পুলিশের এই বাধা দেওয়াকে রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দাবি করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘আমি পুলিশকে কোনো দোষারোপ করব না, তারা চাকরি করে। উপর থেকে যে আদেশ আসছে, সেই আদেশ তারা পালন করে। এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।’
জাপার মহাসচিব বলেন, ‘সরকার আর কিছুদিন পরে ভোট করতে যাচ্ছে, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের একটি দিন ঘোষণা করেছে। যে দেশে আজকের দিনে যে ঘটনা ঘটল, এর মানে সরকার বা কেউ ভোটের সদিচ্ছা আছে, এমনটি আমার মনে হচ্ছে না। এই পরিবেশে দেশে ভোট হবে, এমনটি আমার মনে হচ্ছে না।’
জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘চরম অন্যায় আমাদের সাথে করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে আমাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানে দলের চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁর স্ত্রী ছিলেন, আমরা ছিলাম। সব সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছিলেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘পুলিশ অসংখ্য চেয়ার ভেঙেছে, চেয়ারের তো কোনো দোষ নেই। এই চেয়ারের তো কোনো আইন থাকতে পারে না। কিসের আক্রোশে পুলিশ এটি করল, আমরা জানি না। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় পার্টি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। জাতীয় পার্টি দিন দিন সঠিক রাজনীতি করছে এবং জাতীয় পার্টি আস্তে আস্তে সামনের ভোটে অথবা আন্দোলনে একটি বিশাল বড় ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে।’
শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘একটি মহল জাতীয় পার্টিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সেই মহলের উসকানিতে, সেই মহলের নির্দেশে আজকে এই কাজ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা গণতন্ত্রের জন্য খারাপ ও দুঃখের দিন। একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।’
জাপার মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, সকল রাজনৈতিক দলের উচিত পুলিশকে আহ্বান জানানো। এ ধরনের কোনো কার্যক্রম যেন পুলিশ কখনো কোনো দলের সাথে না করে। রাজনীতি মানেই বহু মত, বহু দল থাকবে, বহু মত থাকবে, সকলে রাজনীতিতে বিচরণ করবে। আপনি যখন একটি দলকে জোর করে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন, এটা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক আইনের শাসনের পরিপন্থী।’
জাপার মহাসচিব আরও বলেন, ‘পুলিশের ওপর কোনো হামলা হয়নি। পুলিশের এ বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি কামনা করছি। যারা আহত হয়েছে, তাদের জন্য পুলিশের দুঃখপ্রকাশ করা উচিত। পুলিশের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। পুলিশের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব হওয়ার কোনো কারণ নেই। কখনো হাতাহাতি মারামারি হয়নি।’
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করে তোলা হচ্ছে দাবি করে শামীম হায়দার বলেন, ‘দেশ কি সংকটের মধ্যে যাচ্ছে? এখন দেশের শান্তির সময়ে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে এবং এই অশান্তি তৈরি করার মাধ্যমে টোটাল নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা তীব্রভাবে হোঁচট খাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রে অনেকে ফাঁদে পা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে নির্বাচনের কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অবশ্যই নেই। কারণ, যারা অফিসের সামনে মিটিং করে, তাদেরকে পুলিশ বাধা দেয়। সুতরাং এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা অসম্ভব কঠিন।’
পুলিশের আক্রমণে ২০ জন আহত ও ৮ জন আটকের কথা জানিয়ে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘জানতে পেরেছি, ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত অনেকের সেলাই পড়েছে, অনেকে রক্ত ঝরেছে। পুলিশ যখন দেখল, এখানে অনেক লোকেরা সমাগম হয়েছে, সেখানে সাউন্ড গ্রেনেড দেওয়াটা অত্যন্ত অপেশাদার আচরণ। অনেকে পদদলিত হয়ে মারা যেতে পারত।’
শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘আটজন গ্রেপ্তার-আটক হয়েছে, আমি পুলিশকে আহ্বান জানাব জাতীয় পার্টি কোনো ভেসে আসা দল নয়। জাতীয় পার্টি ৩৬৫ দিন রাজনীতি করে আজকে ৪০ বছর এবং নয়টি নির্বাচন করেছে, সরকারি দলে ছিল, বিরোধী দলে ছিল। আমরা সকল বিষয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করি। যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের কোনো মামলায় চালান না দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। পুলিশের সেই ক্ষমতা আছে এবং এটা পুলিশকে না করলে আমরা ধরে নেব, পুলিশ আমাদের প্রতি অন্যায় করছে, অবিচার করছে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ইকবাল হোসেন তাপস, ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল শনিবার পৃথক বৈঠকে জামায়াত ও এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, ভোটের দিন গণভোট হলে জুলাই সনদের বিষয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাবে।
১০ মিনিট আগেমির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, কিছু মানুষ নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। আগেও অনেক চেষ্টা হয়েছে, এরপরে লন্ডনে একটা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ আর ৪ মাস পর একটা নির্বাচন হবে।
৮ ঘণ্টা আগেআমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে সংবিধানের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এবং সংবিধানের ভিত্তিতেই সেই সরকার চলছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং পরবর্তীকালে পরিবর্তন করতে হলে বর্তমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আগে আসতে হবে। আগে একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত
১০ ঘণ্টা আগেআনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমি অনেক জায়গায় বৈঠকে যাই, সেখানে রাজনীতিবিদসহ সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা থাকেন। তাঁরা আমাকে প্রশ্ন করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না। আমি উত্তরে বলি, আপনাদের প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর রয়েছে। শুধু তাঁরা নন, দেশের সাধারণ মানুষও সর্বত্র একে অন্যকে প্রশ্ন করেন...
১১ ঘণ্টা আগে