Ajker Patrika

মারধরের ভয় নেই, তবে জনগণ ক্ষমা করবে কি না জানি না: আ.লীগকে গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২১: ৩২
মারধরের ভয় নেই, তবে জনগণ ক্ষমা করবে কি না জানি না: আ.লীগকে গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকারের ভেতর ধারণা সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতা ছাড়লে মারধর করা হবে, বাড়িঘরে হামলা হবে। ভয় নেই বিএনপি গণমানুষের দল। আপনাদের মতো দানব নয়। আমাদের বিবেক-বুদ্ধি আছে। তবে যে বা যাঁরা অন্যায়-অত্যাচার করছেন, ১৮ কোটি মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে কি না জানি না।’

আজ শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা এখন আর মৃত্যুকে ভয় পাই না। মরণের শপথ নিয়ে মাঠে নেমেছি। জেলে নিয়ে গুলি করে বিএনপিকে দমন করা যাবে না। আইয়ুব-ইয়াহিয়াও নিরস্ত্র জনগণের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বন্দুক তাক করে লাভ নেই। আমার ওপরও বন্দুক তাক করেছিলেন। ভোট চুরির জন্য আজ সারা বিশ্ব আপনাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। জনগণের ক্ষোভ চূড়ান্ত পর্যায়ের যাওয়ার আগে ক্ষমতা থেকে কেটে পড়ুন, নতুবা জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।’ 

গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ অর্ধাহারে, অনাহারে। আরেক দিকে অধিকার হারা। পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি করে আপনাদের ক্ষমতা রক্ষা করতে পারবে না। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। অথচ পুলিশ আজ লুটেরাদের পাহারা দিচ্ছে। চোর-ডাকাতদের পাহারা দিচ্ছে।’ 

গণমিছিলে অংশ নেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমরা দ্রব্যমূল্য, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সরকার কানে শুনে না। আজকে ডিমের দাম ১৫ টাকা। এদের দুর্নীতির কারণে টাকার মান কমে গেছে।’ 

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে হত্যা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আগে হত্যা করত গুলি করে, গুম করে। আর এখন হত্যা করে পিটিয়ে, মেরে ও জেলখানায় আটকে রেখে। খাওয়া না দিয়ে বিনা চিকিৎসায় আমাদের কর্মীদের হত্যা করছে।’ 

বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয় গণমিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকাবেলা ৩টায় মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে কর্মসূচির কার্যক্রম খানিকটা বিলম্বে শুরু হয়। সমাবেশের পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পতাকা গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলি হয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এই কর্মসূচিকে ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত