বিএনপি-জামায়াতের সতর্কবার্তা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ দেওয়ার জন্য ‘মানবিক করিডর’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপি বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইনে বাংলাদেশ থেকে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ার ঝুঁকি আছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ী শেখ বাজারে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাখাইনের সঙ্গে করিডর দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আমরা আর যুদ্ধ দেখতে চাই না।’
জামায়াতে ইসলামীও মনে করছে, রাখাইনের সঙ্গে করিডর ইস্যুতে দেশের নিরাপত্তার অনেক বিষয় জড়িত থাকতে পারে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল সোমবার ফেসবুকে নিজের পেজে এক পোস্টে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত রোববার সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি।
বাংলাদেশে রাখাইনের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১০ লক্ষাধিক মানুষের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের এই বিরাট জনগোষ্ঠী ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজে প্রকাশ্যে আনায় দেশের অনেক কর্মরত কূটনীতিক বিস্মিত হয়েছেন।
এ ধরনের করিডর দিয়ে অস্ত্র ও মাদক পাচারের ঝুঁকি আছে বলে সতর্ক করেছেন কূটনীতিকদের কেউ কেউ।
কী কারণে অন্তর্বর্তী সরকার করিডর দিতে রাজি হয়েছে, এই প্রশ্নে এক কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চাষাবাদ বিঘ্নিত হয়েছে। চিকিৎসাব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এতে সেখানে দুর্ভিক্ষ ও মানবাধিকারের মারাত্মক অবনতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতি হলে রাখাইনের আরও কয়েক লাখ মানুষ বাংলাদেশে ঢুকতে পারে।
একজন কূটনীতিক আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, করিডর দিতে সম্মতির বিষয়টি মিয়ানমার সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
করিডর দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী শর্তের কথা সরকারের বিবেচনায় আছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রধানত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে যেতে হবে।
অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—ত্রাণ বিতরণ বৈষম্যহীন ও শর্তহীন হতে হবে। মানবিক সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত সবাইকে ত্রাণ দিতে হবে। এর বাইরে ত্রাণ পাঠানোর জন্য রাখাইনে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি হতে হবে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে রাখাইনে মানবিক করিডর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কার্যকর আলোচনা প্রয়োজন ছিল।
আলোচনা ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারের সংহতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ দেওয়ার জন্য ‘মানবিক করিডর’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপি বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইনে বাংলাদেশ থেকে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ার ঝুঁকি আছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ী শেখ বাজারে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাখাইনের সঙ্গে করিডর দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আমরা আর যুদ্ধ দেখতে চাই না।’
জামায়াতে ইসলামীও মনে করছে, রাখাইনের সঙ্গে করিডর ইস্যুতে দেশের নিরাপত্তার অনেক বিষয় জড়িত থাকতে পারে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল সোমবার ফেসবুকে নিজের পেজে এক পোস্টে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত রোববার সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি।
বাংলাদেশে রাখাইনের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১০ লক্ষাধিক মানুষের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের এই বিরাট জনগোষ্ঠী ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজে প্রকাশ্যে আনায় দেশের অনেক কর্মরত কূটনীতিক বিস্মিত হয়েছেন।
এ ধরনের করিডর দিয়ে অস্ত্র ও মাদক পাচারের ঝুঁকি আছে বলে সতর্ক করেছেন কূটনীতিকদের কেউ কেউ।
কী কারণে অন্তর্বর্তী সরকার করিডর দিতে রাজি হয়েছে, এই প্রশ্নে এক কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চাষাবাদ বিঘ্নিত হয়েছে। চিকিৎসাব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এতে সেখানে দুর্ভিক্ষ ও মানবাধিকারের মারাত্মক অবনতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতি হলে রাখাইনের আরও কয়েক লাখ মানুষ বাংলাদেশে ঢুকতে পারে।
একজন কূটনীতিক আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, করিডর দিতে সম্মতির বিষয়টি মিয়ানমার সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
করিডর দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী শর্তের কথা সরকারের বিবেচনায় আছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রধানত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে যেতে হবে।
অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—ত্রাণ বিতরণ বৈষম্যহীন ও শর্তহীন হতে হবে। মানবিক সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত সবাইকে ত্রাণ দিতে হবে। এর বাইরে ত্রাণ পাঠানোর জন্য রাখাইনে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি হতে হবে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে রাখাইনে মানবিক করিডর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কার্যকর আলোচনা প্রয়োজন ছিল।
আলোচনা ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারের সংহতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ)। আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসুইস ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা কাদের এবং সেগুলো কীভাবে জমা হয়েছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
১৯ ঘণ্টা আগেজাহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান নিজের যোগ্যতাবলে আজকে দেশের শুধু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে যারা বিশ্বাস করে, তাদের নয়, বিএনপিকে নয়; গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে উনি নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত। তারেক রহমানকে নিয়ে আপনারা নিজেদের সঙ্গে তুলনা করবেন, মানুষ হাসে।’
২০ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে পদ পাওয়া এক নারী দাবি করেছেন, তিনি কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জড়িত নন। এই কমিটির সঙ্গেও তিনি নেই। গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান।
১ দিন আগে