ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা কারও চেয়ে কম নন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশ আপনাদের জন্মভূমি। রাজনৈতিক মত আলাদা হতে পারে, দল ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকার সবারই সমান। সেই অধিকার রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির শ্রীশ্রী শনিদেব মন্দিরের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। নিজের শহরের অতীত সম্প্রীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও মনে হয়, আমি আপনাদের একজন। আমি কখনো হিন্দু-মুসলমান ভেবে বড় হইনি। আমাদের সেই সমাজে বিভেদের দেয়াল ছিল না। আমার পিসি (ফুফু) বাবার একমাত্র বোন, সন্তান না থাকায় আমাকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন। আমি রাতভর তাঁর ঘরেই থাকতাম। ঝড় হোক, শীত হোক—আমি যেতামই। পিসির পাশের বাড়িতে থাকতেন মোক্তার বিনোদ বাবু। তাঁর ছেলে মুকুল ছিল আমার প্রাণের বন্ধু। আমরা তখনো স্কুলে যাইনি। মুকুলের মা সন্ধ্যায় পূজা করতেন। আমি আর মুকুল পূজার ঘরের সিঁড়িতে বসে বাতাসা খাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সমাজে আমরা কে হিন্দু, কে মুসলমান, তা নিয়ে ভাবিনি কখনো। চিন্তাহরণ বাবু, ডাক্তার দেবেশ বাবু, ফনি দা, আমাদের শিক্ষক, বন্ধু, নাট্যগুরু—সবাই ছিলেন এক পরম্পরার অংশ। ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া ও ঘোষপাড়ার মানুষজন, পূজার আয়োজন, নাটকের মহড়া—সব মিলিয়ে সেই পরিবেশ ছিল অসাধারণ।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। আমরা ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে হাতে কিছু বন্দুক নিয়ে আশ্রয় নিই শহরের আশ্রমপাড়ায় বুলুদার বাড়িতে। খবর ছড়িয়েছে, পাকিস্তান কমান্ডো পাঠাচ্ছে আমাদের মারতে। গভীর রাতে দরজায় ধাক্কা। সবাই রাইফেল তাক করলাম। দরজা খুলে দেখি, একটা বড় রামছাগল ঢুকতে চাইছে! এ ঘটনা আজও মনে পড়লে হাসি পায়।’
যুদ্ধের সময় ভারতের ইসলামপুরে জেলে যাওয়ার স্মৃতিচারণা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের কেউ বলেছিল, “তোমরা তো মুসলমান, ভারতে কী করো?” সঙ্গে সঙ্গে বুলুদা বলেছিলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাগ করি না, আমরা মুক্তিযোদ্ধা।” পরে ইসলামপুর থানায় আমাকে ছাড়িয়ে আনতে যিনি এসেছিলেন, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়েরই একজন, আমার বন্ধু, আমার ভাই। এই ছিল আমাদের সম্পর্ক।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা কখনো আপনাদের আলাদা করে দেখিনি, ভবিষ্যতেও দেখব না। আমার শান্তি আপনাদের শান্তি; আমার বিপদ আপনাদের বিপদ—এই চেতনা নিয়েই আমরা পথ চলি। আমাদের রাজনীতি বিভাজনের জন্য নয়, এক হওয়ার জন্য, বিভেদের দেয়াল ভেঙে ভালোবাসা আর বিশ্বাসের বাংলাদেশ গড়ার জন্য।’
দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা কারও চেয়ে কম নন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশ আপনাদের জন্মভূমি। রাজনৈতিক মত আলাদা হতে পারে, দল ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকার সবারই সমান। সেই অধিকার রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির শ্রীশ্রী শনিদেব মন্দিরের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। নিজের শহরের অতীত সম্প্রীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও মনে হয়, আমি আপনাদের একজন। আমি কখনো হিন্দু-মুসলমান ভেবে বড় হইনি। আমাদের সেই সমাজে বিভেদের দেয়াল ছিল না। আমার পিসি (ফুফু) বাবার একমাত্র বোন, সন্তান না থাকায় আমাকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন। আমি রাতভর তাঁর ঘরেই থাকতাম। ঝড় হোক, শীত হোক—আমি যেতামই। পিসির পাশের বাড়িতে থাকতেন মোক্তার বিনোদ বাবু। তাঁর ছেলে মুকুল ছিল আমার প্রাণের বন্ধু। আমরা তখনো স্কুলে যাইনি। মুকুলের মা সন্ধ্যায় পূজা করতেন। আমি আর মুকুল পূজার ঘরের সিঁড়িতে বসে বাতাসা খাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সমাজে আমরা কে হিন্দু, কে মুসলমান, তা নিয়ে ভাবিনি কখনো। চিন্তাহরণ বাবু, ডাক্তার দেবেশ বাবু, ফনি দা, আমাদের শিক্ষক, বন্ধু, নাট্যগুরু—সবাই ছিলেন এক পরম্পরার অংশ। ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া ও ঘোষপাড়ার মানুষজন, পূজার আয়োজন, নাটকের মহড়া—সব মিলিয়ে সেই পরিবেশ ছিল অসাধারণ।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। আমরা ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে হাতে কিছু বন্দুক নিয়ে আশ্রয় নিই শহরের আশ্রমপাড়ায় বুলুদার বাড়িতে। খবর ছড়িয়েছে, পাকিস্তান কমান্ডো পাঠাচ্ছে আমাদের মারতে। গভীর রাতে দরজায় ধাক্কা। সবাই রাইফেল তাক করলাম। দরজা খুলে দেখি, একটা বড় রামছাগল ঢুকতে চাইছে! এ ঘটনা আজও মনে পড়লে হাসি পায়।’
যুদ্ধের সময় ভারতের ইসলামপুরে জেলে যাওয়ার স্মৃতিচারণা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের কেউ বলেছিল, “তোমরা তো মুসলমান, ভারতে কী করো?” সঙ্গে সঙ্গে বুলুদা বলেছিলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাগ করি না, আমরা মুক্তিযোদ্ধা।” পরে ইসলামপুর থানায় আমাকে ছাড়িয়ে আনতে যিনি এসেছিলেন, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়েরই একজন, আমার বন্ধু, আমার ভাই। এই ছিল আমাদের সম্পর্ক।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা কখনো আপনাদের আলাদা করে দেখিনি, ভবিষ্যতেও দেখব না। আমার শান্তি আপনাদের শান্তি; আমার বিপদ আপনাদের বিপদ—এই চেতনা নিয়েই আমরা পথ চলি। আমাদের রাজনীতি বিভাজনের জন্য নয়, এক হওয়ার জন্য, বিভেদের দেয়াল ভেঙে ভালোবাসা আর বিশ্বাসের বাংলাদেশ গড়ার জন্য।’
সুইস ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা কাদের এবং সেগুলো কীভাবে জমা হয়েছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেজাহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান নিজের যোগ্যতাবলে আজকে দেশের শুধু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে যারা বিশ্বাস করে, তাদের নয়, বিএনপিকে নয়; গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে উনি নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত। তারেক রহমানকে নিয়ে আপনারা নিজেদের সঙ্গে তুলনা করবেন, মানুষ হাসে।’
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে পদ পাওয়া এক নারী দাবি করেছেন, তিনি কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জড়িত নন। এই কমিটির সঙ্গেও তিনি নেই। গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে না পারলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে গোলাম পরওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগে