নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাজিত করে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হলে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা দরকার। তাই এই পরিবর্তনকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশবাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণমুখী, প্রগতিশীল, জাতীয় স্বার্থের অনুকূল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও বিপ্লবী ধারার বিকল্প কর্মসূচি উত্থাপন ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা, সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করার চেষ্টা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টাকে গুরুতর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে সিপিবিকে এসব বিপদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে আপসহীন, দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর শোষণ ও অপশাসন, গণতন্ত্রের পথে বাধা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুটি-রুজি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবি আদায়ের জন্য ব্যবস্থা বদলের জন্য বিভিন্ন দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
সমাজকে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হলে গুণগত ও পরিমাণগত দিক থেকে শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির জাগরণ এবং উত্থান ঘটানোর এই প্রচেষ্টায় শামিল হতে দলটি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর সারা দেশের ৪৫ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন এবং এরপর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
দলটির নেতারা আরও জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন, অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন এবং কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। আগামীকাল সোমবার সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন শেষে কন্ট্রোল কমিশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাজিত করে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হলে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা দরকার। তাই এই পরিবর্তনকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশবাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণমুখী, প্রগতিশীল, জাতীয় স্বার্থের অনুকূল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও বিপ্লবী ধারার বিকল্প কর্মসূচি উত্থাপন ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা, সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করার চেষ্টা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টাকে গুরুতর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে সিপিবিকে এসব বিপদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে আপসহীন, দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর শোষণ ও অপশাসন, গণতন্ত্রের পথে বাধা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুটি-রুজি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবি আদায়ের জন্য ব্যবস্থা বদলের জন্য বিভিন্ন দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
সমাজকে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হলে গুণগত ও পরিমাণগত দিক থেকে শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির জাগরণ এবং উত্থান ঘটানোর এই প্রচেষ্টায় শামিল হতে দলটি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর সারা দেশের ৪৫ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন এবং এরপর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
দলটির নেতারা আরও জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন, অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন এবং কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। আগামীকাল সোমবার সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন শেষে কন্ট্রোল কমিশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাজিত করে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হলে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা দরকার। তাই এই পরিবর্তনকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশবাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণমুখী, প্রগতিশীল, জাতীয় স্বার্থের অনুকূল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও বিপ্লবী ধারার বিকল্প কর্মসূচি উত্থাপন ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা, সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করার চেষ্টা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টাকে গুরুতর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে সিপিবিকে এসব বিপদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে আপসহীন, দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর শোষণ ও অপশাসন, গণতন্ত্রের পথে বাধা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুটি-রুজি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবি আদায়ের জন্য ব্যবস্থা বদলের জন্য বিভিন্ন দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
সমাজকে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হলে গুণগত ও পরিমাণগত দিক থেকে শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির জাগরণ এবং উত্থান ঘটানোর এই প্রচেষ্টায় শামিল হতে দলটি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর সারা দেশের ৪৫ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন এবং এরপর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
দলটির নেতারা আরও জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন, অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন এবং কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। আগামীকাল সোমবার সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন শেষে কন্ট্রোল কমিশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাজিত করে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হলে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা দরকার। তাই এই পরিবর্তনকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশবাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণমুখী, প্রগতিশীল, জাতীয় স্বার্থের অনুকূল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও বিপ্লবী ধারার বিকল্প কর্মসূচি উত্থাপন ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা, সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত করার চেষ্টা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টাকে গুরুতর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে সিপিবিকে এসব বিপদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে আপসহীন, দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর শোষণ ও অপশাসন, গণতন্ত্রের পথে বাধা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুটি-রুজি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবি আদায়ের জন্য ব্যবস্থা বদলের জন্য বিভিন্ন দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
সমাজকে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হলে গুণগত ও পরিমাণগত দিক থেকে শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির জাগরণ এবং উত্থান ঘটানোর এই প্রচেষ্টায় শামিল হতে দলটি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর সারা দেশের ৪৫ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন এবং এরপর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
দলটির নেতারা আরও জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন, অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন এবং কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হবে। আগামীকাল সোমবার সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন শেষে কন্ট্রোল কমিশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন
৫ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দ
৭ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়ো
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরিফ সোহেল বলেন, ‘১৮৫৭ থেকে ৭১, ৭৫ এমনকি ২৪-এও আমরা সিপাহি-জনতার একটি বিপ্লবী ঐক্য দেখতে পাই; কিন্তু বিদ্যমান কলোনিয়াল শাসন ও শোষণকাঠামোকে পুরোপুরি উৎখাত না করায় এই ঐক্য অভ্যুত্থান থেকে বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি। ৭ নভেম্বরে হাজির হওয়া সিপাহি-জনতার লড়াইকে সত্যিকার বিপ্লবে রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক সচেতনতা নির্মাণ জরুরি।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি, চিন্তক ও অ্যাকটিভিস্ট সাঈদ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে রাষ্ট্রীয় স্থিতির প্রতীক হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এটি জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এই ধারাবাহিকতার নামে শাসকগোষ্ঠী পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামোই টিকিয়ে রেখেছে। ফলে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন না হয়ে কেবল মুখোশ পাল্টেছে, গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আটকে গেছে।
সভায় জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরিফ সোহেল বলেন, ‘১৮৫৭ থেকে ৭১, ৭৫ এমনকি ২৪-এও আমরা সিপাহি-জনতার একটি বিপ্লবী ঐক্য দেখতে পাই; কিন্তু বিদ্যমান কলোনিয়াল শাসন ও শোষণকাঠামোকে পুরোপুরি উৎখাত না করায় এই ঐক্য অভ্যুত্থান থেকে বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি। ৭ নভেম্বরে হাজির হওয়া সিপাহি-জনতার লড়াইকে সত্যিকার বিপ্লবে রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক সচেতনতা নির্মাণ জরুরি।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি, চিন্তক ও অ্যাকটিভিস্ট সাঈদ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে রাষ্ট্রীয় স্থিতির প্রতীক হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এটি জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এই ধারাবাহিকতার নামে শাসকগোষ্ঠী পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামোই টিকিয়ে রেখেছে। ফলে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন না হয়ে কেবল মুখোশ পাল্টেছে, গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আটকে গেছে।
সভায় জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক...
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দ
৭ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়ো
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দেওয়া যাবে না।
আজ শুক্রবার শহরের নিজ বাসভবনে জেলা শ্রমিক দলের পরিচিত সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সুযোগ জাতীয় রাজনীতিতে রয়েছে। সবাই মিলে সে সুযোগ নিয়ে কাজ করি। আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। যেন দেশে নির্বাচন না হয়, সে জন্য হাসিনা ও তার দল দেশে-বিদেশে বসে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। চক্রান্ত করছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত কাজে আসবে না। সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এ্যানি আরও বলেন, হাসিনা রাজনীতি করেননি, করেছেন দুর্নীতি ও লুটপাট। তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুঃশাসনে জড়িত ছিলেন।
দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হাসিনা দেশের মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। এ কারণে দলের শত্রু, জনশত্রু ও গণশত্রুতে পরিণত হতে হয়েছে তাঁদের। এত কিছুর পরও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে শ্রমিকেরাও নির্যাতন, গুম ও খুন থেকে বাঁচতে পারেননি। তাঁদের ওপর কঠিন নির্যাতন করা হয়েছে। নতুন একটা বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ, তাদের রাজনীতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
এ্যানি আরও বলেন, ‘ইদানীং বিভিন্ন স্থানে দুই-চারজন মিলে হঠাৎ একটি মিছিল বের করে। আবার মিনিটের মধ্যে উধাও। এটা সাময়িক, এটা হবে না। এদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে সবাইকে মিলে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপী, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, জজকোর্টের প্রসিকিউটর আহমদ ফেরদৌস মানিক, শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সোহেল হোসেন।

জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দেওয়া যাবে না।
আজ শুক্রবার শহরের নিজ বাসভবনে জেলা শ্রমিক দলের পরিচিত সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সুযোগ জাতীয় রাজনীতিতে রয়েছে। সবাই মিলে সে সুযোগ নিয়ে কাজ করি। আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। যেন দেশে নির্বাচন না হয়, সে জন্য হাসিনা ও তার দল দেশে-বিদেশে বসে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। চক্রান্ত করছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত কাজে আসবে না। সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এ্যানি আরও বলেন, হাসিনা রাজনীতি করেননি, করেছেন দুর্নীতি ও লুটপাট। তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুঃশাসনে জড়িত ছিলেন।
দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হাসিনা দেশের মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। এ কারণে দলের শত্রু, জনশত্রু ও গণশত্রুতে পরিণত হতে হয়েছে তাঁদের। এত কিছুর পরও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে শ্রমিকেরাও নির্যাতন, গুম ও খুন থেকে বাঁচতে পারেননি। তাঁদের ওপর কঠিন নির্যাতন করা হয়েছে। নতুন একটা বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ, তাদের রাজনীতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
এ্যানি আরও বলেন, ‘ইদানীং বিভিন্ন স্থানে দুই-চারজন মিলে হঠাৎ একটি মিছিল বের করে। আবার মিনিটের মধ্যে উধাও। এটা সাময়িক, এটা হবে না। এদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে সবাইকে মিলে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপী, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, জজকোর্টের প্রসিকিউটর আহমদ ফেরদৌস মানিক, শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সোহেল হোসেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক...
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন
৫ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়ো
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০ কোটি টাকা না থাকলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। মানে বাংলাদেশের যে বর্তমান বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে কারোর আসলে নির্বাচন করা কঠিন।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নভেম্বর থেকে জুলাই: বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বা অন্য কারোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি ইলেকশন করেন, তাহলে আপনাকে তার স্বার্থ দেখতে হবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদেরও বারবার চিন্তা করতে হয় যে ইলেকশন করব নাকি করব না। করলে কীভাবে করব; মানুষ কি টাকা ছাড়া ভোট দিবে বা বিদ্যমান যে কাঠামো, এই কাঠামোতে ইলেকশন করা আমাদের জন্য আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে জোহরান মামদানির কথা তুলে বলেন যে এমনটা সম্ভব। কিন্তু এটা এক্সেপশনাল কেস। এক্সেপশনাল কেস তো ৩০০ আসনে ঘটা সম্ভব না।’
আলোচনা সভায় কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নেই। নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণসার্বভৌমত্বের প্রয়োজন পড়ে; যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ হয়।

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০ কোটি টাকা না থাকলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। মানে বাংলাদেশের যে বর্তমান বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে কারোর আসলে নির্বাচন করা কঠিন।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নভেম্বর থেকে জুলাই: বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বা অন্য কারোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি ইলেকশন করেন, তাহলে আপনাকে তার স্বার্থ দেখতে হবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদেরও বারবার চিন্তা করতে হয় যে ইলেকশন করব নাকি করব না। করলে কীভাবে করব; মানুষ কি টাকা ছাড়া ভোট দিবে বা বিদ্যমান যে কাঠামো, এই কাঠামোতে ইলেকশন করা আমাদের জন্য আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে জোহরান মামদানির কথা তুলে বলেন যে এমনটা সম্ভব। কিন্তু এটা এক্সেপশনাল কেস। এক্সেপশনাল কেস তো ৩০০ আসনে ঘটা সম্ভব না।’
আলোচনা সভায় কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নেই। নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণসার্বভৌমত্বের প্রয়োজন পড়ে; যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক...
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন
৫ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দ
৭ ঘণ্টা আগে
ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়ো
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ দূর করতে পেরেছি বা পরাজিত করতে পেরেছি ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে। এরপর আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্যে ঢুকেছি। কিন্তু ব্যক্তি ও সমাজের পরিবর্তন ছাড়া আপনি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদ দূর করতে পারবেন না বা দূর করলেও সেটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।’
এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ব্যক্তির চিন্তার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের ওপর রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে। সামাজিক ফ্যাসিবাদ ও ব্যক্তির চিন্তার ভেতরেও যে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে, সেটা ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা। এই লড়াইটা, এই কার্যক্রমটা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি। আমরা ভাঙার কাজটা করেছি, আমরা গড়ার কাজটা করতে পারিনি। এখন আমাদের এই গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদের।’
জুলাই সনদের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না। যা ঐকমত্য হয়েছে, তার বাকিটা ঠিক করবে জনগণ। জনগণ যদি বলে, তাহলে সেগুলো বাস্তবায়িত হবে।
খুব দ্রুত সময়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেই সংসদ নতুন সংবিধানের জন্য কাজ করবে। যাঁরা শিক্ষক আছেন, অবশ্যই তাঁদের সেখানে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, আগামী দিনের যে সংসদ ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ, সেখানে তরুণ, শিক্ষক, আলেম, নারী, সংখ্যালঘুসহ সমাজের নানা পেশাজীবীসহ সবাই মিলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। এর আগে অবশ্যই তাঁদের এখনকার দাবি গণভোট। জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইউটিএফের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জুলাই চেতনায় অনুপ্রাণিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে এই ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ইউটিএফের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। সদস্যসচিব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শামীম হামিদী। অনুষ্ঠানে ইউটিএফের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।

ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ দূর করতে পেরেছি বা পরাজিত করতে পেরেছি ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে। এরপর আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্যে ঢুকেছি। কিন্তু ব্যক্তি ও সমাজের পরিবর্তন ছাড়া আপনি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদ দূর করতে পারবেন না বা দূর করলেও সেটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।’
এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ব্যক্তির চিন্তার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের ওপর রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে। সামাজিক ফ্যাসিবাদ ও ব্যক্তির চিন্তার ভেতরেও যে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে, সেটা ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা। এই লড়াইটা, এই কার্যক্রমটা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি। আমরা ভাঙার কাজটা করেছি, আমরা গড়ার কাজটা করতে পারিনি। এখন আমাদের এই গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদের।’
জুলাই সনদের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না। যা ঐকমত্য হয়েছে, তার বাকিটা ঠিক করবে জনগণ। জনগণ যদি বলে, তাহলে সেগুলো বাস্তবায়িত হবে।
খুব দ্রুত সময়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেই সংসদ নতুন সংবিধানের জন্য কাজ করবে। যাঁরা শিক্ষক আছেন, অবশ্যই তাঁদের সেখানে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, আগামী দিনের যে সংসদ ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ, সেখানে তরুণ, শিক্ষক, আলেম, নারী, সংখ্যালঘুসহ সমাজের নানা পেশাজীবীসহ সবাই মিলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। এর আগে অবশ্যই তাঁদের এখনকার দাবি গণভোট। জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইউটিএফের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জুলাই চেতনায় অনুপ্রাণিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে এই ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ইউটিএফের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। সদস্যসচিব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শামীম হামিদী। অনুষ্ঠানে ইউটিএফের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।

গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক...
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন
৫ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দ
৭ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে