Ajker Patrika

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ করুন: সরকারকে ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শুক্রবার আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র যাঁরা করছেন, তাঁদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা, পুলিশ ও প্রশাসন বসে রয়েছে। নির্বাচনের আগে যদি আওয়ামী লীগ কোনো ষড়যন্ত্র করে, তাহলে এর দায়ভার অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শুক্রবার সকালে গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তায় ধস নামে। শেখ মুজিবের অবদানকে আমি অস্বীকার করি না। তবে যে শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, তাঁকে আমি পছন্দ করি না। যে দলের জন্য, যাঁদের রক্ষার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করার সুযোগ করে দিলেন, সেই লোকগুলো কি তাঁর মৃত্যুর পর বলেছিল, “চলো যাই রাস্তায় নামি?’’ কেউ নামেনি। এক মিনিটের জন্য শেখ মুজিবুরের জন্য তারা মিছিল করেনি।’

তিনি বলেন, নব্য ফ্যাসিবাদের জন্ম হচ্ছে—যাঁরা এই অপবাদ দিচ্ছেন, তাঁরা অপবাদ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেননি। বিএনপি একটি আদর্শের দল। এই দল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছে, এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এই দলের নেতা-কর্মীরা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হলেও মেরুদণ্ড সোজা করে তিনি নির্বাচনের কথা বলেছেন।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী নবীন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাক্কার আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হোসেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক শরফাত আলী শফু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিআরের জন্য নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাবে অনড় জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জুলাই সনদে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আগামীকাল জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। জুলাই সনদ ঘিরে যেসব বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলো আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের কোনো সুযোগ যদি দেখি, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় সেমিনার বাস্তবায়ন কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তা-ও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত না নিয়ে এটাকে উপেক্ষা করবেন কীভাবে?

‘কেউ কেউ বলছেন, এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হবে। এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে মেজর কিছু সমস্যা আছে। সে জন্য কোনোভাবে এক দিনে গণভোট করা যাবে না। নভেম্বরে গণভোট করতে হবে।’

গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দু-একজন উপদেষ্টা গণতন্ত্রে উত্তরণের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে একটি বিশেষ দলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রেখে প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে বলেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এত সংস্কার করে লাভটা কী হবে, যদি একটা দলের পকেটে রাষ্ট্রকে ঢোকানোর জন্য এখনই বদলির একটা ডিজাইন সাজিয়ে নেওয়া হয়? প্রধান উপদেষ্টা এখনই যদি এ ব্যাপারে খেয়াল না করেন, তাহলে আমাদের সব রক্তদান, অভ্যুত্থান ও চার্টার বৃথা হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুত্রসন্তানের জনক হলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।

এক ফেসবুক পোস্টে রিফাত রশিদ লিখেছেন, ‘আমাদের হাসনাত আবদুল্লাহ ভাইয়ের পুত্রসন্তান হইসে। জাতির ভাতিজার সুস্থতা কামনা করছি।’

এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। হাসনাত ও তাঁর স্ত্রী দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত আমিরের সঙ্গে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে হাইকমিশনার জামায়াত আমিরের শারীরিক খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কানাডার সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় হবে বলে উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন।

হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে আরও ছিলেন—হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মার্কাস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস ও পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার মি. নিসার আহমেদ।

বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন—সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটা যুব, আরেকটা মায়েদের: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটা আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেল। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা মোতাবেক পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে হ্যান্ডেল করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রায়োরিটি আছে। ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটা ইনক্লুসিভ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।

‘আমরা এমন একটা সমাজ চাইছি, যে সমাজের শাসকেরা মাফ চাইবে জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি, ঘাটতির জন্য। তারা কারও কাছ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত