মতামত

মানবসভ্যতার শুরু থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে নারীদের অবদান অবস্মরণীয়। তেমন একজন নারী গণিতবিদের নাম হাইপেশিয়া। তিনি মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। সময়টা ছিল ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ (মতান্তরে ৩৭০ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি ছিলেন ইতিহাসে প্রথম নারী গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাঁর বাবা থিওন ছিলেন বিখ্যাত গণিতবিদ ও

১০০ বছর আগে (২ মে, ১৯২১) সত্যজিৎ রায় জন্মেছিলেন পরাধীন এক দেশে। ১০০ বছর পরে সত্যজিতের মাতৃভূমি পরাধীন নয়, কিন্তু বিভক্ত কাঁটাতারে। তবে সত্যজিৎ, তাঁর কর্ম ও উত্তরাধিকার অবিভক্ত ও অখণ্ড দুই বাংলায়।

করোনাকালে পথ হারানো মধ্যবিত্তের জীবনযাপন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। মধ্যবিত্তের জীবন শুরুই হয় মোটামুটি শূন্য অবস্থা থেকে। আমাদের অর্থনীতির যে কাঠামো তাতে, নিম্নমাত্রার আয়ের সঙ্গে উচ্চমাত্রার ব্যয়ের কোনো সমন্বয় নেই। এই আয়-ব্যয়ের বৈষম্যের ফারাকের কারণে মধ্যবিত্তকে সেই প্রথম জীবন থেকেই টেনেটুনে সং

এই তো সেদিন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কারণ, পবিত্র রমজানে পণ্যটির দাম সহনীয় রাখা। পরিপত্র জারির ঘোষণায় সবাই বেশ আশ্বস্ত হলেন যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে।

‘ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই যেতে হবে’, আমি কোনো কথা বলার আগেই খপ করে আমার হাতটা জোরসে ধরে বললেন তিনি। ভালো করে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। সবে কলাভবনের পেছনে গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে ঢোকার জন্য দু সিঁড়ি মাড়িয়েছি মাত্র। ডান দিকের ইতিহাস বিভাগের সামনের বারান্দা দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে এসে পাকড়েছেন তিনি আমাকে ওই সিঁড়িতেই

১ মে, মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের জন্য এক ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময়ের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান ১০ জন শ্রমিক। পরবর্তী সময়ে ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন

আমি মার্কসবাদী হিসেবে সম্প্রতি মুনিয়া নামের একটি মৃত্যু নিয়ে আমার কিছু ভাবনার কথা তুলে ধরছি। এটা হত্যা না আত্মহত্যা—তার ফয়সালা আইন-আদালতই করুক।

আমাদের দেশে যাঁরা দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকেন, থাকেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে—তাঁরা সাধারণত কখনো নিজের ভুল স্বীকার করেন না। তাঁদের কোনো কাজে অবহেলা বা গাফিলতি থাকে না। থাকে তুষ্টির কথা। সাফল্যের কথা। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে।

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই এবার একটি ব্যাংক চেয়েছে। ব্যবসায়ীরা তো এমনিতেই অনেক ব্যাংকের মালিক। দফায় দফায় তাঁরা ব্যাংক নিচ্ছেন নিজেদের মালিকানায়। বেশির ভাগ ব্যাংকই এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। এখন খবর হয়েছে যে, খোদ এফবিসিসিআই একটি ব্

কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘুরছে। ভারতের ধনকুবের রতন টাটার একটি বাণী ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘শুধু ১৫০০ কোটি রুপিই নয়; আমার দেশ যদি সংকটে পড়ে, তাহলে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তিও দিয়ে দিতে রাজি আছি।’ কখনও কখনও দেশটির আরেক ধনাঢ্য ব্যক্তি আজিম প্রেমজির বক্তব্যও দেখা যাচ্ছে।

তাঁর লেখার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় প্রয়াত ঋতু গুহের গানের মাধ্যমে। সত্তরের দশকের প্রথম দিক থেকে প্রচুর শুনতে শুরু করেছিলাম ঋতু গুহের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত। কণ্ঠের, সুরের এবং বোধের অমন সুনন্দ সমন্বয় বড় একটা দেখা যায় না। কিছু কিছু গান তো তাঁর কণ্ঠে অনন্য মনে হতো—‘কাঙাল, আমারে কাঙাল করেছো’ কিংবা ‘আহা, ত

যতই বয়স বাড়ে ততই মানুষের নিজেকে বড় বেশি নিঃসঙ্গ মনে হয়। মাঝেমধ্যে মনে হয়, পৃথিবীতে না এলেই বা কি হতো এমন। কিছু মানুষের পৃথিবীতে আসা নেহাত অকারণে, অপ্রয়োজনে বলে মনে হয়। কারও কোনো কাজে না এলে, কাজে না লাগলে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয়! ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে যে অবহেলা-অনাদর কাজ করে, কিছু কি

শার্লক হোমস অথবা এরকুল পুয়ারো এসে ঢাকা মহানগরীর গুলশানে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারতেন কি না, তা আমাদের জানা নেই। যে বিশাল বিত্তের দাপটে একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি যা ইচ্ছে তাই করার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন, সে বিত্ত-বৈভব তাঁকে তাঁর অপরাধ থেকে মুক্তি দেয় কি না, সেটাই দেখার বিষয

২৪ এপ্রিল ছিল বই দিবস। কথাটা মনে করিয়ে দিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহার বই পড়ার স্মৃতি নিয়ে একটি সুন্দর প্রবন্ধ লিখে। আমি সারাক্ষণ ভাবি, আমাদের মতো বেদনাক্রান্ত দরিদ্র মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য বই-ই হয়তো সত্যিকার সাহায্য করেছে।

সারেং বউ হলে গিয়ে দেখেছি। বগুড়ায় ‘মধুবন’ হল নাকি ‘মেরিনা’ টকিজে ঠিক মনে নেই। সারেং বউ মানেই আমার কাছে আবদুল জব্বারের ‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া।’ পরিচালকের নামও মনে পরে না। যতটা মনে পড়ে কবরী, ফারুক আর বদমাইশ চরিত্রে অভিনয় করা আরিফুল হকের কথা।

একদিকে করোনা আতঙ্কে মানুষ দিশাহারা, অন্যদিকে গত কদিন ধরে চলছে প্রচণ্ড গরম। বৃষ্টির দেখা নেই। বাড়ছে তাপমাত্রা। ঘরে এবং ঘরের বাইরে কোথাও একটু স্বস্তি পাচ্ছে না মানুষ। তীব্র দাবদাহ আগুনের তাপ ছড়াচ্ছে শরীরে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষার ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি ঘরের চার দেয়ালে অবরুদ্ধ থেকে শিশু-কিশোরেরা এক বিশেষ শারীরিক-মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে।