সম্পাদকীয়
৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন যে নারীরা, সখিনা বেগম ছিলেন তাঁদের অন্যতম। পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন তিনি। সুকৌশলে সেই বন্দিদশা থেকে একটা দা নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফিরে এসে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে সেই দা দিয়েই কুপিয়ে মেরেছিলেন। সেই দা এখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
একটা সময় আসবে, যখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউই আর বেঁচে থাকবেন না। প্রকৃতির নিয়মেই একে একে তাঁরা চলে যাবেন। কিন্তু যে অকুতোভয় সাহস বুকে নিয়ে তাঁরা একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, সেই রাষ্ট্র সব সময়ই তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। সখিনা বেগম ছিলেন নেত্রকোনার গর্ব। তাঁকে দেখলেই এলাকাবাসী নিশ্চয়ই বুকে সাহস পেতেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত মহিমা নিয়ে রাজনীতি চলেছে। যে যারমতো করে ইতিহাস লিখতে চেয়েছে। এটি যে ছিল এক জনযুদ্ধ, সে কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ কথা তো সত্যিই, ১৯৬৬ সালের ৬ দফার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান যে আন্দোলন শুরু করেন, তারই সফল পরিণতিতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্রের চক্রান্তে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ছলে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল এই বাংলায়। বাংলার জনগণ তা রুখে দিয়েছিল। গুটিকয় পাকিস্তানি দালাল ব্যতীত পুরো দেশটাই তখন একতাবদ্ধ হয়ে দেশের মুক্তি কামনা করেছে। সেই ইতিহাস ভুলে যাওয়ার নয়।
গত বছর আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর কী করে কেন যেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি চক্র হঠাৎ করে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এরা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার এদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর বার্তা দেয়নি। ফলে এরা মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করছে এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপমানসুলভ কথাবার্তা বলছে। সখিনা বেগমদের মতো মানুষেরাই এই অপমানের মোক্ষম জবাব। স্বাধীনতার দলিলগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে বোঝা যাবে, কতটা আত্মত্যাগের ফলে এ দেশে স্বাধীনতা এসেছে। যে যেখানে পেরেছে, সেখান থেকেই মুক্তিসংগ্রামে যুক্ত হয়েছে।
সখিনা বেগম কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার একজন অবিস্মরণীয় মানুষ। তিনি মারা গেলেও তাঁর কীর্তি বেঁচে থাকবে। এ প্রসঙ্গে প্রস্তাব রাখা যায়, প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় এলাকার সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোকে স্মৃতিফলকে জায়গা করে দেওয়া হোক। এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং সম্ভব হলে ছবি স্থানীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হোক। মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাসের বই সুলভে ছাপানো হোক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে তা বিলি করা হোক।
প্রতিটি জাতি তার মহান ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে। আমাদের দেশেই আশ্চর্যজনকভাবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বলে একটি অশুভ শক্তি রয়েছে এবং ক্রমেই সেই শক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই অশুভ প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অনেক অকাজ সাধন করা হয়েছে। এবার মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলোর দিকে নতুন করে তাকাতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন সখিনা বেগমদের আত্মত্যাগকে অনুভব করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা খুবই দরকার।
৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন যে নারীরা, সখিনা বেগম ছিলেন তাঁদের অন্যতম। পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন তিনি। সুকৌশলে সেই বন্দিদশা থেকে একটা দা নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফিরে এসে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে সেই দা দিয়েই কুপিয়ে মেরেছিলেন। সেই দা এখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
একটা সময় আসবে, যখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউই আর বেঁচে থাকবেন না। প্রকৃতির নিয়মেই একে একে তাঁরা চলে যাবেন। কিন্তু যে অকুতোভয় সাহস বুকে নিয়ে তাঁরা একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, সেই রাষ্ট্র সব সময়ই তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। সখিনা বেগম ছিলেন নেত্রকোনার গর্ব। তাঁকে দেখলেই এলাকাবাসী নিশ্চয়ই বুকে সাহস পেতেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত মহিমা নিয়ে রাজনীতি চলেছে। যে যারমতো করে ইতিহাস লিখতে চেয়েছে। এটি যে ছিল এক জনযুদ্ধ, সে কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ কথা তো সত্যিই, ১৯৬৬ সালের ৬ দফার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান যে আন্দোলন শুরু করেন, তারই সফল পরিণতিতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্রের চক্রান্তে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ছলে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল এই বাংলায়। বাংলার জনগণ তা রুখে দিয়েছিল। গুটিকয় পাকিস্তানি দালাল ব্যতীত পুরো দেশটাই তখন একতাবদ্ধ হয়ে দেশের মুক্তি কামনা করেছে। সেই ইতিহাস ভুলে যাওয়ার নয়।
গত বছর আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর কী করে কেন যেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি চক্র হঠাৎ করে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এরা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার এদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর বার্তা দেয়নি। ফলে এরা মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করছে এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অপমানসুলভ কথাবার্তা বলছে। সখিনা বেগমদের মতো মানুষেরাই এই অপমানের মোক্ষম জবাব। স্বাধীনতার দলিলগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে বোঝা যাবে, কতটা আত্মত্যাগের ফলে এ দেশে স্বাধীনতা এসেছে। যে যেখানে পেরেছে, সেখান থেকেই মুক্তিসংগ্রামে যুক্ত হয়েছে।
সখিনা বেগম কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার একজন অবিস্মরণীয় মানুষ। তিনি মারা গেলেও তাঁর কীর্তি বেঁচে থাকবে। এ প্রসঙ্গে প্রস্তাব রাখা যায়, প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় এলাকার সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোকে স্মৃতিফলকে জায়গা করে দেওয়া হোক। এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং সম্ভব হলে ছবি স্থানীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হোক। মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাসের বই সুলভে ছাপানো হোক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে তা বিলি করা হোক।
প্রতিটি জাতি তার মহান ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে। আমাদের দেশেই আশ্চর্যজনকভাবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বলে একটি অশুভ শক্তি রয়েছে এবং ক্রমেই সেই শক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই অশুভ প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে অনেক অকাজ সাধন করা হয়েছে। এবার মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারগুলোর দিকে নতুন করে তাকাতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন সখিনা বেগমদের আত্মত্যাগকে অনুভব করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা খুবই দরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১১ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১১ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদী হলো পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য সম্পদ আহরণ, যোগাযোগব্যবস্থা ও সেচের অন্যতম মাধ্যম। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা অনেক। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন কারণে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে যখন নদীকে দূষিত করা হয়, তখন বোঝা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু...
১১ ঘণ্টা আগে