সম্পাদকীয়
করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। প্রায় দেড় বছর হতে চলল, এর মধ্যে ২২ দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেও আর সেটা হয়নি। ফলে দেশের বিভিন্ন স্তরের কয়েক কোটি শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের দেশে কোনো সমীক্ষা হয়েছে বলে শোনা যায় না।
করোনার কারণে শিল্প-বাণিজ্য বা আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ আছে। এসব ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা-প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যাঁরা আয়-উপার্জন হারিয়েছেন, তাঁদের পাশেও সরকার দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা নিয়ে সরকারের চিন্তা বা পরিকল্পনার কথা শোনা যায় না।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টানা বন্ধ থাকায় প্রাক্-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০ লাখ শিশু স্কুলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে বছরাধিককাল ধরে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজে যাওয়ার অপেক্ষায়ও কম শিক্ষার্থী বসে নেই।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে, যত বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে রাখা হবে; ততই তাদের মধ্যে সহিংসতা, শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়া, বাল্যবিবাহের ঝুঁকি বাড়বে। এতে অনেকেরই আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসা সম্ভব না-ও হতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
গত দেড় বছরে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। লকডাউন দিয়ে জনচলাচল সীমিত রাখার উদ্যোগ নিয়ে একাধিকবার তা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। সবাইকে লকডাউন মানতে বাধ্য করা যায়নি। সব জায়গায় ছাড় দিয়ে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যাপারে কেন কঠোর অবস্থান, তা বুঝতে কষ্ট হয়।
হাটবাজার, শপিং মল, দোকানপাট, অফিস, ব্যাংক, শিল্পকারখানা খোলা, গণপরিবহন চলছে, মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছে কোনো বাধা বা বিধিনিষেধ না মেনে। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে দিনের পর দিন। প্রশ্ন উঠেছে, করোনাভাইরাস কি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে বাসা বেঁধেছে? শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নেওয়া থেকে সরকার বিরত রয়েছে। করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপের মহামারির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা কি ভেবে দেখার সময় হয়নি?
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিগগিরই ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এই ‘শিগগির’ যেন অনির্দিষ্ট সময় না হয়ে দাঁড়ায়। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার সাহস আমাদের দেশের মানুষের আছে। শিক্ষাকে অনিশ্চিত রেখে, শিক্ষার প্রতি অবহেলা দেখিয়ে আর কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই টেকসই হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ক্ষতি পোষানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে যেন কার্পণ্য করা না হয়।
করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। প্রায় দেড় বছর হতে চলল, এর মধ্যে ২২ দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেও আর সেটা হয়নি। ফলে দেশের বিভিন্ন স্তরের কয়েক কোটি শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের দেশে কোনো সমীক্ষা হয়েছে বলে শোনা যায় না।
করোনার কারণে শিল্প-বাণিজ্য বা আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ আছে। এসব ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা-প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যাঁরা আয়-উপার্জন হারিয়েছেন, তাঁদের পাশেও সরকার দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা নিয়ে সরকারের চিন্তা বা পরিকল্পনার কথা শোনা যায় না।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টানা বন্ধ থাকায় প্রাক্-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০ লাখ শিশু স্কুলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে বছরাধিককাল ধরে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজে যাওয়ার অপেক্ষায়ও কম শিক্ষার্থী বসে নেই।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে, যত বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে রাখা হবে; ততই তাদের মধ্যে সহিংসতা, শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়া, বাল্যবিবাহের ঝুঁকি বাড়বে। এতে অনেকেরই আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসা সম্ভব না-ও হতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
গত দেড় বছরে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। লকডাউন দিয়ে জনচলাচল সীমিত রাখার উদ্যোগ নিয়ে একাধিকবার তা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। সবাইকে লকডাউন মানতে বাধ্য করা যায়নি। সব জায়গায় ছাড় দিয়ে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যাপারে কেন কঠোর অবস্থান, তা বুঝতে কষ্ট হয়।
হাটবাজার, শপিং মল, দোকানপাট, অফিস, ব্যাংক, শিল্পকারখানা খোলা, গণপরিবহন চলছে, মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছে কোনো বাধা বা বিধিনিষেধ না মেনে। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে দিনের পর দিন। প্রশ্ন উঠেছে, করোনাভাইরাস কি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে বাসা বেঁধেছে? শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নেওয়া থেকে সরকার বিরত রয়েছে। করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপের মহামারির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তা কি ভেবে দেখার সময় হয়নি?
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিগগিরই ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এই ‘শিগগির’ যেন অনির্দিষ্ট সময় না হয়ে দাঁড়ায়। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার সাহস আমাদের দেশের মানুষের আছে। শিক্ষাকে অনিশ্চিত রেখে, শিক্ষার প্রতি অবহেলা দেখিয়ে আর কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই টেকসই হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ক্ষতি পোষানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে যেন কার্পণ্য করা না হয়।
আপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
২ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅপরাধ করেছে সন্তান। আর নাকে ‘খত’ দিয়েছেন মা। এ রকম ‘অভিনব’ বিচার হয়েছে ফেনীতে। বিচার করেছেন বিএনপির এক নেতা। অনেকে বলেন, সন্তানের অপরাধের সাজা নাকি মা-বাবা ভোগ করেন। সেই সাজা মূলত মানসিক পীড়া। সন্তানের অপরাধের শাস্তি হলে মা-বাবার মনোবেদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা সাজার চেয়ে তো কম কিছু না।
৩ ঘণ্টা আগে