সম্পাদকীয়
মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেব ঠিক কথাটাই বলেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!’ এই নির্ভীক সত্যকথনের জন্য ওসি মহোদয় সাধুবাদ পেতেই পারেন। কে আর এত সুন্দর করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল-হকিকতের বয়ান করতে পারতেন? সত্যিই তো! এত দামি ফোন দেখলে পথের মাস্তানের কি সেটা ব্যবহার করতে ইচ্ছে হবে না? এই লোভেই কি সেই মাস্তান যেকোনো মূল্যে ফোনটি করায়ত্ত করার চেষ্টা করবে না? ঢাকা শহরের প্রতিটি স্পটে কি পুলিশি পাহারা বসানো সম্ভব? রবীন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় এক পণ্ডিতের পরামর্শ ছিল, পুরো দেশটাই চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার। তেমনি পুরো রাজধানী কি পুলিশের নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব? তাই বুঝি ছিনতাই এড়াতে কম দামি ফোন ব্যবহার করাই বেহতর। ছিনতাইকারীর তাতে দোষ কী?
ঢাকার মোহাম্মদপুরে মোবাইল ফোন ছিনতাই, এরপর থানায় ঘটা নাটক নিয়ে এক ভুক্তভোগী তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে যা লিখেছেন, তা নিয়ে সংবাদ বেরিয়েছে ২৬ জুলাইয়ের আজকের পত্রিকায়।
শুধু ওসি নন, থানায় যাঁদের সঙ্গে কাজ ছিল, তাঁরা সবাই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। তাচ্ছিল্য করেছেন। ফেসবুকে ভুক্তভোগীর পোস্ট দেখে তাঁদের কয়েকজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বটে, কিন্তু তাতে কি ভবিষ্যতে তাঁদের এই নিষ্ঠুর আচরণ কমবে? ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীর শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলেছিল, সেটা দেখেও ‘সহৃদয়’ পুলিশ সদস্য শার্টের বোতাম লাগাতে বলেছেন। অকুস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার পরও পুলিশ তা পাত্তা দেয়নি। পরে এসে চুলচেরা তদন্ত হবে বলে সেখান থেকে বিদায় নিয়েছে। পুলিশের উপযুক্ত কাজই বটে!
এবার একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। একজন ওসির বেতন কত? সৎভাবে জীবনযাপন করলে একজন ওসির হাতে কত টাকা দামের মোবাইল ফোন থাকা উচিত? আমাদের দেশে থানা-পুলিশ করতে গেলে অনেক সময় কীভাবে টাকার শ্রাদ্ধ হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। এমনও শোনা গেছে, কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বেতনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়, নানাভাবে অর্থ উপার্জনের যে অলিগলিগুলো আছে, তার সন্ধান পেলেই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। সম্প্রতি পুলিশের একজন সাবেক বড় কর্মকর্তার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে মালপত্র জব্দ করা হয়েছে, আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পেলেও একসঙ্গে এনে তা হাজির করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এই হিসেবে ওসি সাহেব নিজের কম মূল্যমানের ফোনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভালো করেছেন। তাঁকে অন্তত তাঁর পূর্বতন ‘বস’-এর মতো দুই হাতে টাকা কামানোর যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, থানা ও ছিনতাইয়ের স্পটে পুলিশের লোকেরা যা বললেন, যা করলেন, তার কোনোটাই কি তাঁদের কর্তব্যপরায়ণতা, সততা কিংবা নিয়মানুবর্তিতার পরিচয় দেয়? এই যদি হয় সেবার নমুনা, তাহলে জনগণ যাবে কোথায়?
মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেব ঠিক কথাটাই বলেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!’ এই নির্ভীক সত্যকথনের জন্য ওসি মহোদয় সাধুবাদ পেতেই পারেন। কে আর এত সুন্দর করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল-হকিকতের বয়ান করতে পারতেন? সত্যিই তো! এত দামি ফোন দেখলে পথের মাস্তানের কি সেটা ব্যবহার করতে ইচ্ছে হবে না? এই লোভেই কি সেই মাস্তান যেকোনো মূল্যে ফোনটি করায়ত্ত করার চেষ্টা করবে না? ঢাকা শহরের প্রতিটি স্পটে কি পুলিশি পাহারা বসানো সম্ভব? রবীন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় এক পণ্ডিতের পরামর্শ ছিল, পুরো দেশটাই চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার। তেমনি পুরো রাজধানী কি পুলিশের নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব? তাই বুঝি ছিনতাই এড়াতে কম দামি ফোন ব্যবহার করাই বেহতর। ছিনতাইকারীর তাতে দোষ কী?
ঢাকার মোহাম্মদপুরে মোবাইল ফোন ছিনতাই, এরপর থানায় ঘটা নাটক নিয়ে এক ভুক্তভোগী তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে যা লিখেছেন, তা নিয়ে সংবাদ বেরিয়েছে ২৬ জুলাইয়ের আজকের পত্রিকায়।
শুধু ওসি নন, থানায় যাঁদের সঙ্গে কাজ ছিল, তাঁরা সবাই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। তাচ্ছিল্য করেছেন। ফেসবুকে ভুক্তভোগীর পোস্ট দেখে তাঁদের কয়েকজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বটে, কিন্তু তাতে কি ভবিষ্যতে তাঁদের এই নিষ্ঠুর আচরণ কমবে? ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীর শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলেছিল, সেটা দেখেও ‘সহৃদয়’ পুলিশ সদস্য শার্টের বোতাম লাগাতে বলেছেন। অকুস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার পরও পুলিশ তা পাত্তা দেয়নি। পরে এসে চুলচেরা তদন্ত হবে বলে সেখান থেকে বিদায় নিয়েছে। পুলিশের উপযুক্ত কাজই বটে!
এবার একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। একজন ওসির বেতন কত? সৎভাবে জীবনযাপন করলে একজন ওসির হাতে কত টাকা দামের মোবাইল ফোন থাকা উচিত? আমাদের দেশে থানা-পুলিশ করতে গেলে অনেক সময় কীভাবে টাকার শ্রাদ্ধ হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। এমনও শোনা গেছে, কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বেতনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়, নানাভাবে অর্থ উপার্জনের যে অলিগলিগুলো আছে, তার সন্ধান পেলেই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। সম্প্রতি পুলিশের একজন সাবেক বড় কর্মকর্তার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে মালপত্র জব্দ করা হয়েছে, আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পেলেও একসঙ্গে এনে তা হাজির করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এই হিসেবে ওসি সাহেব নিজের কম মূল্যমানের ফোনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভালো করেছেন। তাঁকে অন্তত তাঁর পূর্বতন ‘বস’-এর মতো দুই হাতে টাকা কামানোর যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, থানা ও ছিনতাইয়ের স্পটে পুলিশের লোকেরা যা বললেন, যা করলেন, তার কোনোটাই কি তাঁদের কর্তব্যপরায়ণতা, সততা কিংবা নিয়মানুবর্তিতার পরিচয় দেয়? এই যদি হয় সেবার নমুনা, তাহলে জনগণ যাবে কোথায়?
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
৩ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে